Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter
Follow palashbiswaskl on Twitter

Friday, August 15, 2014

লগ্নি টানতে মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফর

पूंजी की खोज में दीदी चलीं सिंगापुर

पूंजी की खोज में दीदी चलीं सिंगापुर

बंगाल में अब तृणमूल वाम गठबंधन का इंतजार


লগ্নি টানতে মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফর

শিল্পপতিরা যাচ্ছেন নিজের খরচায়

এক্সকেলিবার স্টিভেন্স বিশ্বাস

एक्सकैलिबर स्टीवेंस विश्वास

আজকালের প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কথা বলে খুশি অস্হায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্যাথলিন স্টিফেনস৷‌ বৃহস্পতিবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার অনুমতি চেয়েছিলেন৷‌ সেই মতো এদিন বিকেলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন৷‌ পরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্ব জুড়ে দীর্ঘস্হায়ী মজবুত অর্থনীতি তৈরি করার চেষ্টা করতে হবে৷‌ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এমনটাই চান৷‌ ওবামার মতে এই বিষয়ে এগোতে হলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে৷‌ যদিও দু'দেশের সম্পর্ক শক্ত বুনিয়াদের ওপরেই দাঁড়িয়ে৷‌ পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেও তাঁদের মধুর সম্পর্ক, যদিও তা আরও ভাল করতে হবে৷‌ তবে এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহারে তিনি খুব খুশি৷‌ কলকাতায় তাঁর দু'দিনের সফর ভাল কেটেছে৷‌ এই শহরের সৌন্দর্যে তিনি মুগ্ধ৷‌

আজকালের প্রতিবেদন: শিল্পে লগ্নি টানতে সিঙ্গাপুর সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷‌ ওই সফরে তাঁর সঙ্গে যাচ্ছে দুটি দল৷‌ একটি সরকারি, অপরটি শিল্পপতিদের নিয়ে তৈরি৷‌ শিল্পপতিরা সম্পূর্ণ নিজেদের খরচেই মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হচ্ছেন৷‌ বৃহস্পতিবার নবান্নে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র৷‌ তিনি বলেন, সরকারি দলে তিনি ছাড়াও থাকবেন মুখ্য সচিব ও বিভিন্ন দপ্তরের সচিবেরা৷‌ থাকবেন একজন সাংসদও৷‌ তবে কোন সাংসদ যাচ্ছেন, তা স্পষ্ট করেননি অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী৷‌ আবাসন, হোটেল, বিনোদন, পর্যটন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, চা, স্বাস্হ্য প্রভৃতির সঙ্গে যুক্ত এমন শিল্পোদ্যোগীরাও যাবেন৷‌ থাকবেন দেশের প্রথম সারির বণিক সংগঠনের সভাপতিরা৷‌ তবে সব মিলিয়ে কতজন যাচ্ছেন, তা এখনও চূড়াম্ত হয়নি৷‌ তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সে দেশের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং ও বিদেশমন্ত্রী কে সম্মুগমের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷‌ প্রসঙ্গত, সেখানে গিয়ে ক্ষমতায় আসার পর ৩ বছরে রাজ্যে কী ধরনের পরিকাঠামোর কাজ হয়েছে, তা সে দেশের বণিক মহলের সামনে তুলে ধরবেন তিনি৷‌ ১৭ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছচ্ছেন৷‌ সেখানে গিয়ে পরের দিন তিনি পুরো প্রতিনিধি দলকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত সমুদ্রের তলার জাদুঘর মেরিটাইম দেখবেন৷‌ বিখ্যাত স্যান্টোসা বিনোদন পার্ক এবং নদীর দু'ধারে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্রও তাঁকে দেখানো হবে৷‌ পাশাপাশি ওই দিনই এ রাজ্যে এ ধরনের পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা যায় কিনা, তা নিয়ে সিঙ্গাপুরের পাবলিক ইউটিলিটি এবং পর্যটন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকও করবেন মুখ্যমন্ত্রী৷‌ ১৯ আগস্ট বিকেল ৫.৩০ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হবে৷‌ তার পর দু'দেশের বাণিজ্যিক ও বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নতির ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক৷‌ ওই দিন রাতে সিঙ্গাপুরের আম্তর্জাতিক মানের শিল্পসংস্হার কর্তাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা৷‌ বায়ো-টেকনোলজি পার্ক, তথ্যপ্রযুক্তি ও বিনিয়োগক্ট এ সব বিষয়ে আলোচনা হবে৷‌ ২০ আগস্ট একটি সামিটের আয়োজন করা হয়েছে৷‌ সেখানে উপস্হিত থাকবেন সে দেশের তাবড় শিল্পমহল৷‌ ২১ আগস্ট শিল্পতালুক জুরং এবং সিঙ্গাপুর পার্ক দেখতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী৷‌ ২২ তারিখ কলকাতায় ফেরার আগে সিঙ্গাপুরের অত্যাধুনিক বিমানবন্দর 'চাঙ্গি' ঘুরে দেখার কথা তাঁর৷‌ প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিল্পমহলে রাজ্য সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দিতে মুখ্যমন্ত্রী সচেষ্ট৷‌ রাজ্যে কয়েকটি শিল্প সম্মেলনও তিনি করেছেন৷‌ বিনিয়োগ টানতে পাড়ি দিয়েছেন বাণিজ্য নগরী মুম্বইতেও৷‌

আজকালের প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গে শিল্প বিনিয়োগের জন্য সবরকম সুযোগ-সুবিধা দিতে আমরা প্রস্তুত৷‌ কন্যাশ্রীর অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে একথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷‌ বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠানে তিনি যখন দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসুং কোম্পানি স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের উল্লেখ করছিলেন তখনই শিল্পে বিনিয়োগের প্রসঙ্গটি তোলেন৷‌ বলেন, এ রাজ্যে শিল্পের জন্য জমি আছে, দক্ষ কারিগর আছে, উপযুক্ত পরিবেশ আছে৷‌ সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে৷‌ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করুন৷‌ এটা ঘটনা, এ রাজ্যে কারিগরি শিক্ষাপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৫০টি প্রকল্প খুলছে দক্ষিণ কোরিয়ার আম্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ও বিক্রয়কারী সংস্হা স্যামসুং৷‌ রাজ্যে কলকারখানার শ্রমিকদের ন্যূনতম কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিধান রায়ের আমলেই আই টি আই খোলা হয়েছিল৷‌ পরবর্তী কালে শিল্পের ধরন বদলের সঙ্গে সঙ্গে এই সব কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষার মান উন্নত করা হয়৷‌ এমনকী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংও পড়ানো হয়৷‌ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিস্ফোরণের পরই কারিগরি শিক্ষাকেও সময়োপযোগী করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়৷‌ বাম আমলে ওয়েবেল ও কিছু বেসরকারি শিক্ষা কেন্দ্র এই ধরনের দক্ষতা বৃদ্ধি সহায়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়৷‌ রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পর অনেক বেশি পরিমাণ আই টি আই শিক্ষাকেন্দ্র খোলার ওপর জোর দিয়েছে৷‌ তাদের শিক্ষাক্রমকে সময়োপযোগী করার জন্য স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রজে' চালু করা হচ্ছে৷‌ এই প্রকল্পে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্হার সাহায্য নেওয়া হবে৷‌ স্যামসুংয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রজে' তেমনি এক উদ্যোগ৷‌

সারদা-কাণ্ডে সি বি আইয়ের নোটিস রাজনীতিকদের


সব্যসাচী সরকার: সারদা-কাণ্ডে রাজনীতিকদের যোগসাজশ ও যোগাযোগের সূত্র খুঁজতে ৪ রাজ্যে দিনভর তল্লাশি চালাল সি বি আই৷‌ বাংলা, দিল্লি, ওড়িশা ও আসামের ২৮টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সি বি আই৷‌ বস্তুত, সি বি আই তল্লাশি চালিয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেতে চায়৷‌ রাজনীতিকদের সম্পর্কেই মিলেছেও কিছু বলে বৃহস্পতিবার রাতে জানা গেছে৷‌ সি বি আই ৪ রাজ্যে ৫০০ জনকে নোটিস পাঠাচ্ছে৷‌ আছে প্রভাবশালীরা, এজেন্টরাও৷‌ সিমেন্ট কারখানায় সারদার লগ্নি নিয়ে রাজ্যের এক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে নোটিস পাঠিয়েছে ই ডি৷‌ রাতে সি বি আই জানায়, এবার রাজনীতিকদের নোটিস দেওয়া হবে৷‌ ২৮টি জায়গার মধ্যে কলকাতাতেই ২২ জায়গায় হানা দিয়েছে৷‌ সি বি আই দল গেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত (ওরফে নীতু) সরকারের বাড়ি, প্রাক্তন পুলিসকর্তা রজত মজুমদারের বাড়িতে৷‌ তল্লাশি চলেছে প্রায় ৭ ঘণ্টা৷‌ কতকগুলি নির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন সি বি আই কর্তারা৷‌ বিকেলের পর আরও কয়েকজনের বাড়ি হানা দেয় সি বি আই৷‌ পিয়ালি সেনের বাড়ি, সুদীপ্ত সেনের দু'টি অফিসে, তরুণ রায়ের বাড়ি, রমেশ গান্ধী ও নরেশ ভালোটিয়ার বাড়ি, অফিসে যায়৷‌ সি বি আই তল্লাশি চালিয়েছে জেনাইটিসের কর্তা শাম্তনু ঘোষের বাড়ি, অফিসে৷‌ শাম্তনু ঘোষ এখন জেল হেফাজতে৷‌ সারদার কর্মী, অ্যাকাউন্ট্যান্ট তরুণ রায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কিছু ফাইলপত্র৷‌ এগুলি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রাম্ত৷‌ সি বি আইয়ের তদম্ত দলটি যায় সারদার পদস্হ কর্মী অজিতেশ ব্যানার্জির বাড়িতে, সুদীপ ঘোষ দস্তিদারের বাড়িতে, পৌলমী মুখার্জির বাড়ি এবং কৌশিক পাহাড়ির বাড়িতে৷‌ সারাদিনই তদম্ত দলটি দফায় দফায় কলকাতা চষে বেড়িয়েছে৷‌ সি বি আই এতদিন সারদা-কাণ্ডে ওই সংস্হার কর্মীদের এবং সংশ্লিষ্ট লোকেদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করছিল৷‌ কিন্তু ক্রমশ ব্যবসায় বাড়বাড়ম্তে রাজনীতিক ও পুলিসকর্তাদের একাংশের সরাসরি যোগসূত্র পায়৷‌ এদিনের তল্লাশি রাজনীতিকদের কী ভূমিকা তার তথ্যপ্রমাণ নিতেই৷‌ যে ৫০০ জনকে নোটিস দিয়ে ডাকতে চলেছে সি বি আই, তাদের সম্পর্কে নানা ফাইলেই একাধিকবার নাম মিলেছে৷‌ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট যে তথ্য এতদিন ধরে জোগাড় করেছিল, তার সূত্র ধরেই সি বি আই তদম্ত প্রক্রিয়া চালিয়েছে৷‌ সারদা-কাণ্ডে সি বি আই কলকাতায় একদিনে ২২ জায়গায় তদম্ত চালিয়েছে, এমন ঘটনা আগে ঘটেনি৷‌ সি বি আইয়ের দিল্লির যুগ্ম্মঅধিকর্তা পদমর্যাদার এক অফিসার রাতে জানান, যা যা কাগজপত্র পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতেই তল্লাশি চলছে৷‌ যত বড় নেতানেত্রীই হোন, প্রমাণ পেলেই ডাকা হবে৷‌ সুপ্রিম কোর্টকে আমাদের জবাব দিতে হবে৷‌ সারদা-কাণ্ডে এ যাবৎ গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জন ছাড়া মাতঙ্গ সিং, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী মনোরমা সিংকে ই ডি একাধিকবার জেরা করেছিল৷‌ এবার সি বি আই তল্লাশিতে নামল৷‌ বৃহস্পতিবারের তল্লাশি থেকে স্পষ্ট, সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে বড় ব্যবসায়ীরাও সরাসরি জড়িত৷‌ তাঁদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অত্যম্ত গভীর বলেই মনে করছে সি বি আই৷‌ ব্যাঙ্কের ভূমিকা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল৷‌ এদিন গোলপার্কের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে তল্লাশিতে সেদিকটিই স্পষ্ট৷‌ সি বি আই সূত্রে জানা গেছে, ওই নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক থেকে ২০১২ সালে ৭ দিনে ৯১ বারের বেশি টাকা তোলা ও জমার কাজ চলে৷‌ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা সরানোর জটিল প্রক্রিয়ার তত্ত্বতালাশ এসেছে সি বি আইয়ের হাতে৷‌ যাদের বাড়ি, অফিসে আজ তল্লাশি চালানো হল, কেন এবং তাদের ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে সি বি আই সূত্রে রাতে কয়েকটি ব্যাখ্যা মিলেছে৷‌ তা হল– রজত মজুমদার, প্রাক্তন এই পুলিসকর্তা বীরভূমে তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছিলেন বলে সি বি আই জেনেছে৷‌ কুণাল ঘোষের লেখা ৯১ পাতার চিঠিতে নাকি জানানো হয়েছিল, রজতবাবু সারদার ব্যবসা সম্পর্কে অনেকটাই জানতেন৷‌ রজতবাবু সংবাদমাধ্যমে অবশ্য জানিয়েছেন, ওঁরা ডেকেছেন, তাই এসেছি৷‌ কী জানতে চান দেখি৷‌ দেবব্রত সরকার সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ওরা আমার আয়কর সংক্রাম্ত কাগজপত্র ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন৷‌ তরুণ রায় সারদার মিডল্যান্ড পার্কের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন৷‌ সমস্ত হিসেবপত্র তিনি রাখতেন৷‌ আগামী সপ্তাহে আরও কয়েকজন প্রভাবশালীর সঙ্গে কথা বলবে সি বি আই৷‌


স্বাধীনতা দিবসে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা 'প্রধান সেবক'-এর

15 Aug 2014, 09:14

স্বাধীনতা দিবসে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা 'প্রধান সেবক'-এর ৬৮তম স্বাধীনতা দিবসে মেড ইন ইন্ডিয়ার স্লোগান তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বজুড়ে ভারতীয় বস্তুর রপ্তানি জোরদার করার কথা বললেন নমো। পাশাপাশি কাম মেক ইন ইন্ডিয়ার কথাও বললেন তিনি। আবার লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে 'রাজনীতির মঞ্চ নয় বরং রাষ্ট্রনীতির মঞ্চ' থেকেই দরিদ্র পরিবারের জন্য নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন তিনি। আবার এদিন সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনার কথাও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রথম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বার বারই উঠে এসেছে পরিচ্ছন্নতা এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রসঙ্গ। ধর্ষণ, কন্যাভ্রুণ হত্যা, মাওবাদের প্রতিবাদেও সরব ছিলেন তিনি।

প্রয়াত সিপিএম নেতা অমিতাভ নন্দী

15 Aug 2014, 09:46

শুক্রবার সকালে মৃত্যু হল প্রাক্তন সাংসদ এবং সিপিএম নেতা অমিতাভ নন্দীর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

সিঙ্গাপুর সফরের আগে ফের লগ্নির আহ্বান মমতার

14 Aug 2014, 21:58

রাজ্যে সমস্ত ক্ষেত্রেই বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের তালিকায় মন্ত্রী, আমলা ছাড়াও রয়েছেন রাজ্যের একাধিক শিল্পপতি এবং শিল্পকর্তা৷


कामरेड ज्योति बसु और कामरेड बुद्धदेव भट्टाचार्य के पद चिन्हों का अनुसरण करते हुए मां माटी मानुष सरकार की मुख्यमंत्री ममता बनर्जी पूंजी की खोज में विदेश यात्राओं का सिलसिला शुरु करने जा रही हैं। पीपीपी माडल के मुताबिक विदेशी पूंजी के बिना विकास जाहिर है कि असंभव है और दीदी ने सत्ता में आने के बाद वाम नेताओं की तरह इस चरम सत्य की उपलब्धि कर ली है।

तमाम उद्योग कारोबारी मेलों, उत्सवों के बावजूद पूजी निवेश बंगाल में हो नहीं रहा है। नई शहरीकरण नीति के तहत निरंकुश प्रोमोटर राज के बंदोबस्त-शापिंग माल हास्पीटल हब नालेज इकोनामी को खुल्ला छूट और विकास की सुनामी के सरकारी दावों के बावजूद बंगाल में उद्योग और कारोबार का माहौल सुधर नहीं रहा है। दूसरी ओर राजनीति तौर पर वाम दलों की तरह दीदी का जनाधार भी खिसकने लगा है।

खास बात लेकिन यह है कि सुषमा स्वराज स्मार्ट सिटी परियोजना में सिंगापुर को शामिल करने की संभावना तलाशेंगी और यह भी देखेंगी कि क्या अन्य भारतीय शहरों के पुनरुद्धार में सिंगापुर भागीदारी कर सकता है या नहीं। इन अन्य शहरों में बंगाल के कितने शहर हो सकते हैं, कहना मुश्किल है।

वैसे यह रोचक तथ्य है कि सिंगापुर आसियान समूह में भारत का सबसे बड़ा व्यापारिक साझीदार है और साथ ही यह भारत में एफडीआई का सबसे बड़ा स्रोत है जो पिछले वर्ष 5.9 अरब डॉलर रहा। इसी एफडीआई राज के खिलाफ तोपें दागने से दीदी अघाती नहीं।

लेकिन यह भी सच है कि पिछले दशक में सबसे अधिक भारतीय निवेश आकर्षित करने में भी सिंगापुर अग्रणी देश रहा और वहां 4,000 से 4,500 भारतीय कंपनियों के कार्यालय हैं।

दरअसल देश की दो बड़ी राजनेत्रियों का सिंगापुर जाने का कार्यक्रम है। विदेश मंत्री सुषमा स्वराज 15 अगस्त को सिंगापुर की यात्रा पर जाएंगी तो पश्चिम बंगाल की मुख्यमंत्री ममता बनर्जी 17 अगस्त को वहां जाएंगी। सुषमा स्वराज की यात्रा के एजेंडा में सिंगापुर के साथ सहयोग बढ़ाना विशेषकर सरकार की महत्वाकांक्षी स्मार्ट सिटी परियोजना का क्रियान्वयन और दोनों देशों के बीच राजनयिक रिश्तों की 50वीं वर्षगांठ का जश्न मनाना शामिल है। अपनी तीन दिवसीय सिंगापुर यात्रा के दौरान सुषमा वहां के प्रधानमंत्री ली सिएन और विदेश मंत्री के. षणमुगम सहित शीर्ष नेताओं के साथ बैठक करेंगी। मोदी ने जिन सौ स्मार्ट सेज सिटी का ऐलान किया है, संयोग से उनमें से दस दीदी बंगाल में चाहती हैं। नये कोलकाता से लेकर शांतिनिकेतन तक को स्मार्ट सिटी बनाना चाहती हैं दीदी। लेकिन इस संयोग के अलावा फिलहाल दोनों नेताओं की सिंगापुर यात्रा के साझे रसायन का फार्मूला अभी अनजाना है

राजनीति में कुछ भी असंभव नहीं है। दीदी का भाजपा के साथ गठबंधन रहा है और माकपाइयों का कांग्रेस के साथ।

मुश्किल यह है कि केंद्रीकृत सत्ता और आर्थिक मदद अनुदान के लिए विपक्षी राज्य सरकारों को भी केंद्र की नीतियों पर चलना पड़ता है।

इससे भी बड़ी मुश्किल यह है कि जिस पीपीपी माडल के विकास और राजनीति पर निर्भर है सत्तादखल का खेल,उस पिच पर आर्थिक नीतियों के खिलाफ बगावत नहीं की जा सकती। राजनीतिक जिहाद से इस देश में कोई किसी को रोकता नहीं है।

मोदी सरकार के पीपीपी माडल के विकास के लिए ही दीदी सिंगापुर जा रही हैं जैसे कामरेड नेता सकल यूपीए की आर्थिक नीतियों के तहत ही पूंजीवाद के स्वर्णिम राजपथ पर विचारधारा गंगा में डालकर दौड़ते रहे थे।

गौरतलब है कि पश्चिम बंगाल की मुख्यमंत्री ममता बनर्जी ने राखी पूर्णिमा की पूर्व संध्या पर शनिवार को भाजपाई राज्यपाल केसरी नाथ त्रिपाठी तथा फिल्म अभिनेता शाहरूख खान को राखी बांधी। लेकिन वोट की राजनीति भारी बला है। हर कदम पर कदमबोशी करते रहो, लेकिन खुदा को भी मालूम न हो, सत्ता की राजनीति दरअसल कुल मिलाकर यही है। दीदी गुजरात विकास माडल लागू करने के लिए गुजराती पीपीपी धूमधड़ाके के लिए बेसब्र बेताब जरूर हैं, लेकिन जनतामध्य उन्हें भी वामदलों से ज्यादा धर्मनिरपेक्ष दिखना है।

जाहिर है कि भाजपा से जैसे वामदलों का आपातकाल अवसान जैसा गठबंधन का समीकरण फिलहाल बन नहीं रहा है और उनकी धर्मनिरपेक्ष राजनीति उन्हें केसरियाखेमे के साथ खड़ा नहीं होने देती, भले ही केसरिया कारपोरेट से परहेज न दीदी को है और न वाम को। आवाम को बेवकूफ बनाने के लिए इन्हीं दो धर्मनिरपेक्ष खेमों के रसायन आविष्कार की प्रतीक्षा है।

इस पर तुर्रा यह कि वामदलों की तरह संघ परिवार भी कैडरबेस है और उनके स्वयंसेवक सत्ता बदलने से भेड़धंसान भी नहीं हैं। वे बंगाल में पहले से ही सक्रिय रहे हैं और मौसम बदलते ही जमीन से बाहर निकल आये हैं। वामपक्ष और तृणमूल के लिए यही सबसे बड़ी प्राकृतिक विपदा है।

अब भाजपा को स्पेस दिया तो गैरभाजपाई दलों के लिए मुश्किल हो जायेगी। दूसरी ओर कांग्रेस अभी घनघोर मंदी के दौर में है। इसलिए बंगाल में अनेक लोगों को अगले चुनाव तक तृणमूल कांग्रेस गठबंधन का इंतजार है।

संघी सक्रियता के मद्देनजर आपसी विवाद सत्ता संघर्ष भूलकर अपना-अपना वजूद बचाने के लिए लाजिक के हिसाब से इससे बेहतर कोई दूसरा चारा है ही नहीं।

नवान्न में भोज खाकर कामरेडों ने इस समीकरण का दरवाजा पहले ही खोल दिया है। इसपर तुर्रा यह कि शारदा समूह के एकके बाद एक कबार्ड से नरकंकालों की बदबू जो फैलने लगी है, उससे दीदी को सिंगापुर आकर पूंजी मिले या नहीं, चैन मिलना भी मुश्किल है।

गौरतलब है कि ममता बनर्जी 17 अगस्त से छह दिवसीय सिंगापुर यात्रा पर जाएंगी। उनकी यह यात्रा सांस्कृतिक और व्यापारिक रिश्ते सुधारने के लिए सिंगापुर के निमंत्रण पर हो रही है।

वर्ष 2011 में पदभार संभालने के बाद से यह उनकी पहली विदेश यात्रा होगी।

उनके साथ 'बहुत उच्च स्तरीय' सरकारी और व्यापारिक शिष्टमंडल जाएगा। वह इस मौके का इस्तेमाल राज्य में विदेशी निवेश आकर्षित करने के लिए करेंगी।

यात्रा के बारे में संवाददाताओं को जानकारी देते हुए राज्य के वित्त मंत्री अमित मित्र ने कहा है कि सिंगापुर के विदेश मंत्री के. षनमुगम ने रिश्तों में सुधार के लिए बनर्जी को आमंत्रित किया था और उन्होंने आमंत्रण स्वीकार कर लिया।

उन्होंने कहा कि मुख्यमंत्री मजबूत रिश्ते बनाना चाहती हैं और वह सिंगापुर के प्रधानमंत्री और विदेश मंत्री से मुलाकात करेंगी।

उन्होंने कहा कि सरकारी प्रतिनिधिमंडल में वित्त मंत्री, राज्य के प्रमुख सचिव और कुछ अन्य विभागों के सचिवों तथा एक सांसद शामिल होगा। उन्होंने सांसद का नाम नहीं बताया। उन्होंने कहा कि मुख्यमंत्री के साथ जाने वाले व्यापारिक प्रतिनिधिमंडल में बड़े उद्यमी शामिल होंगे। वे अपने खर्चे पर जाएंगे।

कल कारखानों, चायबागानों के अलावा अब बंगाल के अस्पतालों में भी मृत्यु जुलूस निकलने लगा है। जंगलमहलमें शांति बहाल है फिलहाल और वहां के सलवा जुड़ुम भूगोल में चाकचौबंद सुरक्षा इंतजाम भी है, लेकिन खिलखिलाता हुआ पहाड़ बेदखल है।

यूनियनें बेकाबू होती जा रही हैं और बस मालिकों ने तीन दिनों की हड़ताल की घोषणा कर रखी है। पार्टी नेताओं में मारामारी से वाम दल जितने परेशान हैं, उनसे कम परेशान नहीं है दीदी। भाजपाइयों का हौसला बुलंद है और राज्य में अब राजनीतिक हिंसा की वजह वाम तृणमूल संघर्ष के बजाये या तो तृणमूल-तृणमूल संघर्ष है या फिर तृणमूल-भाजपा संघर्ष है।

आज जिन भारी पुलिस अफसर रजत मजुमदार के यहां छापे पड़े, वे राज्य के एक अतिचर्चित मंत्री के खासमखास हैं जो शारदा वकील पियाली की रहस्यमय मौत के सिलसिले में कटघरे में हैं। मतंग सिंह और उनकी पत्नी से भी सत्ता समूह के उतने ही मधुर संबंध हैं, जितने कि उद्योगपति रमेश गांधी से। अपनी खालें बचाने के लिए घोषित अघोषित ना तृणमूली वाममोर्चा वक्त का तकाजा है।

दैनिक देशबंधु की यह रपट भी देखें -

पश्चिम बंगाल की सरकार के बड़े-बड़े वादों के बावजूद राज्य में बड़ी परियोजनाओं के लिए कोई निवेश नहीं हो रहा है, पुरानी प्रतिष्ठित इकाइयां बंद हो चुकी हैं और लूट-खसोट चरम पर है। सूक्ष्म, लघु और मध्यम उद्यम (एमएसएमई) क्षेत्र में हालांकि कुछ उम्मीद की किरण दिखाई पड़ रही है। पिछले सप्ताह राज्य के वित्त और उद्योग मंत्री अमित मित्रा ने कहा था, बंगाल में लगने वाली औद्योगिक परियोजनाओं की सूची इतनी लंबी है कि उसे पढऩे में पूरा एक दिन लग सकता है।

उन्होंने हालांकि जिन परियोजनाओं का जिक्र किया है, उनमें से अधिकतर की योजना पूर्व वामपंथी सरकार के कार्यकाल में बनी थी।

कोलकाता के एक उद्योगपति ने बताया,  यदि बड़ी परियोजनाएं नहीं आती हैं, तो सहायक गतिविधियों का विकास नहीं होगा। नया रोजगार पैदा नहीं होगा। दुर्भाग्य से इस तरह का निवेश नहीं हो रहा है। उन्होंने कहा कि हाल में एक मात्र बड़ा निवेश हुआ है-हल्दिया पेट्रोकेमिकल्स लिमिटेड। इसकी स्थापना वामपंथी सरकार द्वारा हुई थी। वह भी खराब स्थिति में है।

उद्योगपति ने लूट खसोट का चित्रण करते हुए कहा, वामपंथी सरकार के दिनों में उद्योगपतियों को सिर्फ एक आदमी को पैसे देने होते थे। अब यदि आप एक को पैसे देते हैं, तो दो और सामने आ जाएंगे और दोगुना अधिक मांगेंगे। यह प्रक्रिया आगे चलती रहेगी। एंबेसडर कार निर्माता हिंदुस्तान मोटर्स, टायर निर्माता डनलप और रंग विनिर्माता शालीमार पेंट्स जैसी अंग्रेजी राज के दिनों की कंपनियों ने अपना संचालन स्थगित कर दिया है।

अर्थशास्त्री दीपांकर दासगुप्ता ने कहा, लंबे समय से राज्य में बड़ी परियोजनाएं नहीं आ रही हैं। एक मात्र अपवाद थी टाटा मोटर्स की नैनो परियोजना। उन्होंने हालांकि कहा कि उम्मीद की किरण हालांकि तीन परियोजनाओं में दिखाई पड़ रही है। ये हैं – बर्दमान जिले के अंदर की आगामी एरोट्रोपोलिस परियोजना, एमएसएमई को मजबूत करने की राज्य सरकार की कोशिश और अगस्त में होने वाली मुख्यमंत्री ममता बनर्जी की सिंगापुर यात्रा। एरोट्रोपोलिस ऐसे नगर क्षेत्र को कहते हैं, जिसकी अर्थव्यवस्था के केंद्र में एक हवाईअड्डा होता है।

আজকালের প্রতিবেদন: অন্ডাল বিমানবন্দর নগরী শিল্পনগরী হতে চলেছে৷‌ নীতিগতভাবে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধাম্ত নিয়েছে৷‌ বৃহস্পতিবার মহাকরণে এ কথা জানান পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷‌ চাঙ্গি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের সহযোগী বেঙ্গল এয়ারট্রোপলিস সংস্হা এখানে বিমাননগরী তৈরি করছে৷‌ তারা এবার সেখানে শিল্পনগরী তৈরির প্রস্তাব দেয়৷‌ সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পর এই সিদ্ধাম্ত নেওয়া হয়েছে৷‌ এদিন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে৷‌ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও করা হবে৷‌ তার পর বিধানসভায় এই প্রস্তাবটি পাঠানো হবে৷‌ প্রসঙ্গত, আগের বামফ্রন্টের আমলে শিল্পায়নের লক্ষ্যে বর্ধমানের অন্ডালে বিমানবন্দর নগরীর সিদ্ধাম্ত নেওয়া হয়৷‌ বিমানবন্দর ছাড়াও সেখানে উপনগরী তৈরির কাজও শুরু হয়৷‌ প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধাম্ত হয়৷‌ বিমানবন্দরটি তৈরি করছে চাঙ্গি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট সংস্হা৷‌ প্রথম দিকে জমি জটের জন্য কিছুটা কাজ ব্যাহত হলেও পরে বিমানবন্দর নগরীর মানচিত্রে কিছুটা বদল করে কাজ শুরু হয়৷‌ বিমানবন্দরের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে৷‌ ইতিমধ্যে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হয়েছে৷‌ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিমানবন্দরটির নাম রেখেছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে৷‌ যেহেতু এই বিমানবন্দর উপনগরীর খুব কাছেই পাওয়া যায় কয়লা এবং লৌহ আকরিক৷‌ তাই এখানে শিল্প গড়ার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে৷‌ বিমান পরিষেবা চালু হয়ে গেলে অন্যান্য অনুসারি শিল্পও সেখানে গড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকছে৷‌ বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তির মতো শিল্প৷‌ তাই এই উপনগরীকে শিল্পনগরীতে স্হানাম্তর করার ভাবনা চিম্তা করছে রাজ্য সরকার৷‌ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে এই শিল্পনগরী তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷‌ কী কী ধরনের শিল্প এখানে হতে পারে তারও একটি রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে৷‌ তবে বিমানবন্দর নগরীকে শিল্পনগরীতে রূপাম্তর করতে গেলে মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন৷‌ প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলে রাজ্যে অন্যতম শিল্পনগরী হিসেবে গড়ে উঠবে অন্ডাল৷‌

প্রাক্তন ডিজি ও ক্লাবকর্তার বাড়িতে তল্লাশি

চুনোপুঁটি থেকে রাঘব বোয়াল, সারদা কেলেঙ্কারিতে জাল ক্রমশ গুটিয়ে আনছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার দিনভর যে তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, তাতে এই ছবিটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সিবিআই গোয়েন্দারা তল্লাশির তালিকায় এক দিকে যেমন সুদীপ্ত সেনের সংস্থার অ্যাকাউন্ট্যান্ট থেকে ডিরেক্টরকে রেখেছিলেন, অন্য দিকে আবার হানা দিয়েছেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন আইপিএস অফিসার থেকে ক্লাবকর্তার বাড়িতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

১৫ অগস্ট, ২০১৪

e e e


বোলপুর থেকে ডেকে আনা হল রজতকে

বৃহস্পতিবার সকাল দশটা। নিজাম প্যালেসের চত্বর থেকে বেরোতে শুরু করল একের পর এক গাড়ি। প্রতিটিতে সওয়ার চার-পাঁচ জন সিবিআই অফিসার। নিজাম প্যালেসের বিশাল ফটক পেরিয়ে এজেসি বসু রোডে পড়ে কোনওটা ঘুরে গেল ডাইনে। কোনওটা বাঁয়ে। কোনও গাড়ি গিয়ে থামল প্রায় লাগোয়া পদ্মপুকুর রোডে, রাজ্য পুলিশের এক প্রাক্তন ডিজি'র ফ্ল্যাটবাড়ির সামনে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

১৫ অগস্ট, ২০১৪

e e e


সারদায় এ বার ইডি-র তলব রাজ্যের মন্ত্রীকে

সারদা তদন্তে যে দিন সকাল থেকে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই, সে দিনই রাতে ইডি-এর (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) চিঠি পেলেন রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়। সুদীপ্ত সেনকে সিমেন্ট কারখানা বিক্রি করা নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রের খবর। সেই জন্য আগামী সোমবার মন্ত্রীকে কলকাতা অফিসে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

১৫ অগস্ট, ২০১৪

e e e


আজকালের প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রা শুভ হোক৷‌ শিল্পী নিয়ে শিল্প টানতে যাচ্ছেন, যান৷‌ কিন্তু দেখবেন সিঙ্গাপুর যাতায়াতের খরচ যেন উঠে আসে! বিনিয়োগ টানতে মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে এ ভাবেই কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা ডাঃ সূর্যকাম্ত মিশ্র৷‌ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কাল স্বাধীনতা দিবসের পর ছুটির দিন পড়ে যাচ্ছে৷‌ তাই আজই জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছে৷‌ তিনি সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন বিনিয়োগ টানতে৷‌ কামনা করি উদ্দেশ্য সফল হবে৷‌ খুশি মনে ফিরবেন৷‌ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ঠিকই, কিন্তু বিভিন্ন কাগজপত্রে যা দেখছি, যা বুঝছি তাতে এ রাজ্যে বিনিয়োগ টেনে আনা সহজ কাজ নয়৷‌ আমি তো খুব একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না৷‌ এন টি পি সি, ডি ভি সি-র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্হা রাজ্যে বসে আছে, শিল্প করতে চায়৷‌ কিন্তু এগোতেই পারছে না৷‌ সাধারণভাবে এ রাজ্যে শিল্পায়নের যা দুরবস্হা চলছে তা গত ৪০-৪৫ বছরে দেখা যায়নি৷‌ নতুন কাজের সম্ভাবনা তো হচ্ছেই না৷‌ যা ছিল তা-ও নির্মূল হয়ে যাচ্ছে শাসক দলের তোলাবাজিতে৷‌ এদিন সূর্যকাম্ত মিশ্র দাবি করেন, বামফ্রন্ট সরকারের শেষ বছরে এ রাজ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছিল৷‌ আর এখন তো ৫০০ কোটি না ১৫০০ কোটি তা সরকারও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না! মুখ্যমন্ত্রী শিল্পী নিয়ে শিল্প আনতে যাচ্ছেন৷‌ ওঁর কাছে অবশ্য শিল্পী আর শিল্পের সংজ্ঞা অন্যরকম৷‌ নিশ্চয়ই বিনোদন শিল্পের জন্য বিনিয়োগ টানার কথা ভেবেছেন৷‌ যা-ই হোক, রাজ্যের যা হাল তাতে এখন তোলাবাজি ছাড়া এ রাজ্যে কোনও শিল্পের পরিবেশ নেই বলেই মনে হচ্ছে৷‌ এদিন আলুর রপ্তানি বন্ধ করা নিয়ে তিনি বলেন, যা হচ্ছে তা নিজের পায়ে কুড়ুল মারা ছাড়া কিছু নয়৷‌ আলু আমাদের রাজ্যে উদ্বৃত্ত৷‌ কিন্তু সমস্ত কিছু তো আর উদ্বৃত্ত নয়৷‌ সেক্ষেত্রে আমাদের রাজ্যের বাজারকে অন্য রাজ্যের ওপর নির্ভর করতে হয়৷‌ যে ঝাড়খণ্ডে এখন আলু পাঠানো বন্ধ করেছে সরকার, সেই ঝাড়খণ্ড থেকেও আমাদের রাজ্যে আলু আনতে হয় বছরের একটা সময়ে৷‌ হঠাৎ আলু পাঠানো বন্ধ করে কোন উপকার করছে সরকার? সূর্যকাম্ত এদিন বলেছেন, হলদিয়াতে আড়াই হাজার অনুসারী শিল্প বিপন্ন৷‌ কাঁচামাল মিলছে না৷‌ ১৯৭৭ সালে অনেক চেষ্টা করে হলদিয়া পেট্রোকেম হয়েছে৷‌ এত বড় শিল্প, এ ভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে? আই ও সি-র মতো সংস্হা নিজে এসে কাজ করতে চাইছে৷‌ সময় চলে যাচ্ছে৷‌ অথচ কিছুই হচ্ছে না৷‌ এক মাস ধরে এই দুরবস্হা চলছে৷‌ এটা তৈরি করা হয়েছে৷‌


No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors