বাংলায় শাহী সময়,আবার সেই দাঙ্গার রাজনীতি তুঙ্গে
আগামী সপ্তাহেই সারদাকাণ্ডের চার্জশিট পেশ করছে সিবিআই, নাম রয়েছে ৮ জনের বেশি প্রভাবশালীর
|
পলাশ বিশ্বাস
বাংলায় শাহী সময়,আবার সেই দাঙ্গার রাজনীতি তুঙ্গে।উত্তর প্রদেশে দুই তৃতীয়াংশ বহুমতের জন্য অমিত শাহ বলে ফেলেছেন,যদি গো বলয়ে দাঙ্গা পরিশ্তিতি চলতে থাকে,তাহলে বিজেপি ইউপিতে দুই তৃতীয়াংশ ভহুমত পেয়ে ক্ষমতা থেকে সমাজবাদী পার্টিকে বেদখল করছেই।গত লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহের উত্তর প্রদেশ জয়ের নিরিখে এই দাবি নাকচ করার জায়গা নেই।
ঠিক কি বলেছেন মোদী,ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেশের এই রিপোর্টটি পড়ুনঃ
Shah hit out at Congress President Sonia Gandhi for blaming his party for the rise in communal clashes in the
country. (Source: PTI)
If communal tension continues in Uttar Pradesh, BJP will form the next government in the state, party president Amit Shah has said.
He also hit out at Congress President Sonia Gandhi for blaming his party for the rise in communal clashes in the country and her charge that over 600 communal incidents had taken place during the NDA regime.
Shah instead put the blame on the "one-sided approach" of the Uttar Pradesh police for the rise in communal tension.
"Maharashtra and Haryana are going to the polls. Why is there no communal tension? Why only in UP? If communal tension continues in UP, I can tell you, BJP will form the next government in UP with a clear majority," Shah told Rajat Sharma on his programme 'Aap Ki Adalat' on India TV, according to a release from the channel.
The BJP President also debunked media reports about Ministers in the Narendra Modi government as "misleading and baseless" and charged the media with making an unsuccessful attempt at tarnishing the image of the BJP-led government.
"A large section of media is trying to tarnish our government's image but has failed." he said while talking about "baseless" reports on Home Minister Rajnath Singh's son and Union Ministers Prakash Javadekar and Dharmendra Pradhan.
"If the newspapers think their reports are correct, let them at least name the ministers and the sources of their reports," he said.
Denying reports of any differences in the BJP government over who was "Number 2″, he said, "Rajnathji is No 2 and it is clear from the seating arrangements. There is no confusion."
Notwithstanding the the setback the party had received in the recent Assembly bypolls, Shah claimed the BJP will get a two-third majority in Haryana and will form governments in Maharashtra, Jharkhand and Jammu and Kashmir as well.
"Though our party suffered some reverses in the recent Assembly bye-elections, I am confident that the forthcoming Assembly polls in four states will make everything clear (doodh ka doodh, paani ka paani). All these four states will have BJP governments," he said.
Shah said, "Formation of governments in these four states will be the achievement of the next stage of our agenda of Congress-free India (Congress-mukt bharat)."
- See more at: http://indianexpress.com/article/india/politics/if-communal-tension-persists-bjp-will-form-govt-in-up-amit-shah/#sthash.Kqnr04nA.dpuf
সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বহাল থাকলে উত্তরপ্রদেশে সরকার গড়বে বিজেপি, দাবি অমিতের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Saturday, 06 September 2014 09:26 PM
নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বহাল থাকলে রাজ্যে বিজেপি পরবর্তী সরকার গড়বে বলে দাবি করলেন অমিত শাহ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, একটি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এই দাবি করেছেন বিজেপি সভাপতি। দেশে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ার জন্য তাঁর দলকে অভিযুক্ত করায় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সমালোচনা করেন অমিত। কেন্দ্রে পূর্বতন এনডিএ জমানায় ৬০০-রও বেশি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে, সনিয়ার এহেন দাবি উড়িয়ে দেন তিনি। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা মাথাচাড়া দেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশের 'একপেশে আচরণ'ই দায়ী বলে অভিমত জানান অমিত। সাক্ষাত্কারে অমিত সওয়াল করেন, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানাতেও তো ভোট হতে চলেছে।তাহলে ওখানে কেন কোনও সাম্প্রদায়িক হিংসা নেই কেন? শুধু উত্তরপ্রদেশেই কেন উত্তেজনা? আমি বলছি, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চলতেই থাকলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি পরবর্তী সরকার গড়বে।
কেন্দ্রের কয়েকজন মন্ত্রীর ছেলেদের নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার বিড়ম্বনায় পড়েছে বলে মিডিয়ার একাংশে প্রকাশিত খবরও অস্বীকার করেন বিজেপি সভাপতি।বলেন, সব বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার।মিডিয়ার একটা বড় অংশ আমাদের সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে।কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।খবরের কাগজগুলি যদি ভাবে, তারা যা লিখছে, সেটাই ঠিক, তাহলে সাহস করে সেই মন্ত্রীদর নাম জানাক না! তাদের খবরের সূত্র কী, তাও প্রকাশ করুক!
মানে ক্ষমতা দখলের জন্য দাঙ্গা পরিস্থিতি অনিবার্য,ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ।
বাংলায় বামাসুরমর্দিনী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে বেদখল করতে শুধু উগ্র হিন্দুত্বই যথেষ্ট নয় বুঝে তিনি পার্টি সমর্থকদের অভয় বার্তা দিতে বলেছেন,সিবিআই তদন্ত আরো জোরালো হবে। জ্ঞাতব্য,সিবিআই অবশ্যই কেন্দ্র সরকারের আধীন,কিন্তু তার কর্তব্য স্থির করছেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের অধ্যক্ষ।
সারদা কেলেন্কারিতে প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।মমতা ব্যানার্জি ও তাঁর সঙ্গী সাথীরা দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের সাজা দেশের আইন মোতাবেক হওয়া সমীচীন।কিন্তু যারা তদন্ত করছেন তাঁদের কর্তব্য স্থির করার মহত কাজ কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল করছে,ইহা জানার পর স্বাভাবতঃ প্রশ্ন ওঠে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই তদন্ত সত্যিই কি জনগণের টাকা জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বা অপরাধিদের শায়েস্তা করার জন্যই চলছে।
উত্তর প্রদেশে ক্ষমতা দখলের রহস্য জানার পর বাংলার কি হয় এখন তাহাই বিবেচ্য।বাংলার ও ভারতের ইতিহাস ঘাটলে,ভারত বিভাজনের পটভূমি মনে রাখলে অশনিসংকেত স্পষ্টই ধরা পড়বে। বাংলার জনবিন্যাসে সর্বত্রই কমবেশি সংখ্যালঘুদের অবস্থান,ধর্মোন্মাদী সামপ্রদায়িক রাজনীতিক মূল উদ্দেশয যদি উত্তর প্রেদেশের ধাঁচে ক্ষমতাদখলই হয়,তাহলে এর চেয়ে বড় বিপর্যয় আর কিছুই হতে পারে না।
মমতা ব্যানার্জি যদি সত্যিই চুরি করে থাকেন,তাহলে তাঁর শাস্তি অবশ্যই কাম্য।অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ তদন্তের অতি প্রয়োজন।
কিন্তু মমতাকে বেদখল করতে এই সাম্প্রদায়িক ও সরাসরি ধর্ম সম্প্রদায় ভিত্তিক বিভাজনের রাজনীতিতে বাঙালির জড়িয়ে পড়া ভারত বিভাজনেরচাইতেও বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে,সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।
টার্গেট ২০১৬। বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ক্ষমতা দখলই এখন বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য।
তাই আজ থেকে শহরে শুরু হল রাজ্য কমিটির বর্ধিত বৈঠক। সেখানেই দলের নয়া এই মিশনের কথা জানালেন কেন্দ্র ও রাজ্যের নেতারা।
কাল ওই বৈঠকে ভাষণ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
রাজ্য কমিটির বর্ধিত বৈঠকে হাজির হয়েছেন কমবেশি ৩০০ প্রতিনিধি। এসেছেন কংগ্রেস ছুট নেতারা। হাজির প্রাক্তন আমলারাও। তৃণমূলের অপশাসনের অভিযোগ তুলে সভায় মুখর হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। এবার মিশন ২০১৬। জনতার দরবারে বিকল্প প্রশাসনের ছবি তুলে ধরতে চায় বিজেপি। কী সেই বিকল্প, তাও এদিন জানিয়ে দেন রাজ্য সভাপতি।
ক্ষমতা দখলের জন্য চাই জবরদস্ত সংগঠন। কীভাবে গড়ে উঠবে সেই সাংগঠনিক বিন্যাস? সর্বভারতীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের ভাষণে স্পষ্ট হল তারই রূপরেখা।
কাল এই বৈঠকেই ভাষণ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। মিশন ২০১৬-র নীল নকশা আরও স্পষ্ট করে দেবেন তিনিই, আশাবাদী বিজেপি নেতারা।
সৌজন্য সাতদিনঃ
আগেই তাঁকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি করা হয়েছিল। এবার দলের জাতীয় পরিষদের বৈঠকে অমিত শাহকে দলের সভাপতি করার বিষয় সিলমোহর পড়ল মাত্র।
তাঁর ভাষণে বিজেপির নতুন সভাপতি অমিত শাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি পাখির চোখ করেছেন ৫ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভার ভোটকে। উত্তরপ্রদেশে দলের লোকসভা আসনকে ১০ থেকে ৭০ পৌঁছে দেওয়া অমিত শাহ এখন বিজেপির সম্পদ। তাঁকে নিয়ে যতই বিতর্ক থাতুক না কেন, বিজেপির অন্যতম সেরা কৌশলী হিসাবে নিজেকে তিনি প্রমাণ করেছেন অমিত শাহ।তবে গুজরাটের দাঙ্গার দুঃস্বপ্ন এখনও অনেককে তাড়া করে বেড়ায়। আর যে দলের বিরুদ্ধে এই দাঙ্গায় মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বাড়বাড় সেই দলের একদা মন্ত্রী অমিত শাহ উত্তরপ্রদেশে দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও উত্তেজনা বেড়ে গেছে। এটা কি নিতান্তই কাকতালীয়?
জিবাংলার খবরঃ আগামী সপ্তাহে সারদাকাণ্ডে প্রথম চার্জশিট জমা দিচ্ছে সিবিআই. কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর ৮ জনের বেশি নাম থাকবে চার্জশিটে। তাঁরা প্রত্যেকে সারদা চিটফাণ্ড কাণ্ডের ফায়দা তুলেছেন। সারদাকাণ্ডে রাজ্য পুলিসের ভূমিকা নিয়েও রিপোর্ট থাকবে চার্জশিটে।
এদিনই সারাদা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের জড়িত থাকার কথা স্পষ্ট করেন কুণাল ঘোষ। আদালত কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সারদা-প্রভাবশালী নেতার যোগের কথা উল্লেখ করলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। তিনি আদালতকে জানান, ""যদি ষড়যন্ত্র খুঁজতে হয়, আমাকে-সুদীপ্ত সেন ও প্রভাবশালী নেতাদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হোক।''
জি বাংলার খবরঃ আবারও বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। সারাদা কেলেঙ্কারিতে এবার আরও স্পষ্ট তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের যোগ। আদালত কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সারদা-প্রভাবশালী নেতার যোগের কথা উল্লেখ করলেন বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। তিনি আদালতকে জানান, ""যদি ষড়যন্ত্র খুঁজতে হয়, আমাকে-সুদীপ্ত সেন ও প্রভাবশালী নেতাদের একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হোক।''
সেই সঙ্গে তিনি নিজে কোনও ষড়যন্ত্র করেননি বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। তিনি আরও বলেন, ""যাঁরা বাইরে আছে, তাঁদের ঘর গোছাতে দেবেন না।''
কুণালের এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই হইচই পরে যায় রাজনৈতিক মহলে।
কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান: প্রভাবশালী নেতাদের জেরা করলে সুদীপ্ত জট আরও পরিষ্কার হবে। প্রভাবশালী নেতাদের পরিবারের এত টাকা কী ভাবে এল তার তদন্ত হোক।
তথাগত রায়: কুণাল ঘোষকে সারদা কেন ১৬ লক্ষ টাকা মাইনে দিত? সেটা তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতারা জানতেন। কুণাল ঘোষের এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাপ কখনও চাপা থাকে না। এর আগে কুণাল ঘোষকে চেপে দেওয়া হচ্চিল।
মহম্মদ সেলিম: কুণাল ঠিক কথা বলেছেন। যারা পাপের টাকা ভাগ করেছেন, তাঁদের রেহাই নয়।
অন্যদিকে জি বংলার খবর মোতাবেক এবার রাস্তায় নেমে সারদা কাণ্ডের মোকাবিলা করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কুত্সা রটানো হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। তারই প্রতিবাদে এবার রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করবেন দলের মহিলা সংগঠনের কর্মীরা।
বিক্ষোভ দেখানো হবে দিল্লিতেও। রাস্তায় নেমে আন্দোলনই রাজনীতিতে জমি শক্ত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন একাধিক ইস্যুতে পথে নেমে আন্দোলনই ডিভিডেন্ড দিয়েছে আজকের মুখ্যমন্ত্রীকে। সারদা ইস্যুকে বিরোধীরা বার বার সামনে আনলেও মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তিতে কোনও প্রভাব পড়েনি। পঞ্চায়েত বা লোকসভা নির্বাচন তারই প্রমাণ। সারদা ইস্যুতে বার বার অভিযোগের আঙুল উঠলেও বিরোধীদের মোকাবিলায় এখনও সেভাবে রাস্তায় নামেনি শাসকদল। কিন্তু সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তে নামার পর থেকে ক্রমশ চাপ বাড়ছে তৃণমূলের ওপর। জড়িয়ে পড়ছে দলের একাধিক নেতানেত্রীর নাম। বিধানসভা ভোটের আর দেড় বছর বাকি । চুপ করে বসে থাকার ঝুঁকি নিতে চাইছে না তৃণমূল। তাই এবার ফের পথে নামার সিদ্ধান্ত। আক্রমণই আত্মরক্ষার সেরা উপায়, এই কৌশলকেই হাতিয়ার করতে চলেছে শাসকদল।
দলের মহিলা সংগঠনকে দিয়ে শুরু করলেও, ক্রমশ এই আন্দোলনে শাসকদল যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
দিল্লি, ৫ সেপ্টেম্বর (সংবাদ সংস্হা)– ভারতের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে আবদ্ধ হল অস্ট্রেলিয়া৷ এর ফলে ভারতে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইউরেনিয়াম জোগান সুনিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি হল৷ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট দু'দিনের সফরে ভারতে এসেছেন৷ সফরের শেষ দিনে আজ স্বাক্ষরিত হয় এই চুক্তি৷ অস্ট্রেলিয়া পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম ইউরেনিয়াম উৎপাদক দেশ৷ ভারত পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি বলে এদেশে ইউরেনিয়াম রপ্তানিতে আপত্তি ছিল অস্ট্রেলিয়ার৷ ২০০৮-এ ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ সেই থেকে পরিস্হিতি বদলাতে থাকে৷ গত দু'বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চুক্তির উদ্যোগ-আয়োজন চলছিল৷ এবার তা সম্পন্ন হল৷ গতকাল মুম্বইয়ে এসে অ্যাবট বলেন, পরমাণু শক্তির শাম্তিপূর্ণ ব্যবহারের ব্যাপারে ভারত আশ্বস্ত করেছে৷ পরমাণু অস্ত্র প্রসাররোধে ভারতের রেকর্ডও সন্দেহাতীত৷ আজ দিল্লিতে অ্যাবট বলেন, বাণিজ্যিক ও কৌশলগত দিক থেকে বাঁধা রয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আজ বৈঠক করেছেন অ্যাবট৷ মোদি তাঁকে উপহার দিয়েছেন গীতা৷ জাপান সফরে গিয়ে সে দেশের সম্রাটকেও একই উপহার দিয়েছিলেন মোদি৷ অ্যাবট মোদিকে দিয়েছেন অস্ট্রেলীয় উলে বোনা একটি নেহরু কোট৷ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গেও আজ দেখা করেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী৷ বৈঠক হয়েছে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে৷
তিরুবনম্তপুরম, ৫ সেপ্টেম্বর (সংবাদ সংস্হা)– সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি পালানিস্বামী সদাশিবম কেরলের রাজ্যপাল-পদে শপথ নিলেন৷ শীলা দীক্ষিতের ইস্তফার পর এই পদ ফাঁকা হয়৷ অবসরের কয়েক মাসের মধ্যেই সদাশিবমকে রাজ্যপাল-পদে নিয়োগ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ বিচারপতি, আইনজীবী এবং রাজনৈতিক মহল নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা করে৷ সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে রাজ্যপাল-পদে নিয়োগ এই প্রথম৷ অভিযোগ ওঠে, অবসরের পর এই ধরনের পদের প্রলোভন বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করতে পারে৷ প্রধান বিচারপতির পদ থেকে গত এপ্রিলে অবসর নিয়েছেন সদাশিবম৷ বলেছিলেন, তামিলনাড়ুতে নিজের গ্রামে চাষবাস নিয়েই থাকবেন৷ কিন্তু রাজ্যপাল-পদে নিয়োগের প্রস্তাব আসতে তা গ্রহণ করতে দ্বিধা করেননি৷ বরং বলেছেন, রাজনীতিকদের চেয়ে ভালভাবে কাজটা করতে পারবেন৷ বি জে পি-র বর্তমান সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে সোহরাবউদ্দিন শেখ হত্যা মামলায় আলাদা করে দ্বিতীয় বারের জন্য এফ আই আর তিনি খারিজ করে দিয়েছিলেন৷ সংশয় ছড়ায় নানা মহলে, সে-রায়েরই 'পুরস্কার' দেওয়া হল সদাশিবমকে? এই নিয়োগ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে কংগ্রেস৷ অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশন এবং কেরলের বার অ্যাসোসিয়েশনও বিরোধিতা করেছে এই নিয়োগের৷ সুপ্রিম কোর্টের আরেক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বিশ্বেশ্বরনাথ খাড়ের মতে, একবার এমনটা হলে বিচার-ব্যবস্হায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ শুরু হয়ে যাবে৷ সুপ্রিম কোর্টের অন্য এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আজিজ মুসাব্বের আদমাদি মনে করেন, এ-ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা না থাকলেও কোনও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির এই ধরনের পদে নিযুক্ত হওয়া উচিত নয়৷ কিন্তু কোনও অভিযোগ, আপত্তিই টলাতে পারেনি সদাশিবমকে৷ তাঁর বক্তব্য, কোনও রাজনৈতিক সংযোগ তাঁর ছিল না৷ আজ তাঁর শপথগ্রহণের পর কেরলের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ চেন্নিথালা বলেন, রাজ্যপাল হিসেবে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন, এখন আর বিতর্ক নয়৷ শপথ অনুষ্ঠান ঘিরেও আজ কিছুটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সি পি এমের ভি এস অচ্যুতানন্দন বা এল ডি এফের নেতারা কেউ উপস্হিত ছিলেন না অনুষ্ঠানে৷ বিরোধী দলনেতার দপ্তর সূত্রে জানানো হয়, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তাঁকে৷ রাজ্য সরকারের বক্তব্য, কথাটা ঠিক নয়৷ অচ্যুতানন্দনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷
আজকালের প্রতিবেদন: দিল্লি, ৫ সেপ্টেম্বর– শিক্ষক দিবসে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ, প্রশ্নোত্তর ঘিরে বিতর্কের মধ্যে এ খবর পাওয়া গেছে যে, কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সমস্ত রাজ্যের জন্য একটি লিখিত নির্দেশিকা জারি করেছে৷ এতে বলা হয়েছে, সমস্ত স্কুল যেন এই সম্প্রচার দেখার ব্যবস্হা করে৷ সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, কোন কোন স্কুল এই সম্প্রচার দেখার ব্যবস্হা করল এবং কোন ছাত্রছাত্রীরা তা দেখল, তার হিসেব নেওয়া হবে৷ মন্ত্রক থেকে সমস্ত রাজ্যের শিক্ষা সচিবদের কাছে এই সার্কুলারটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ২৭ আগস্ট৷ সার্কুলারটি ইস্যু করেন রাজর্ষি ভট্টাচার্য, স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা বিভাগের সচিব৷ এতে বলা হয়েছে, কত সংখ্যক স্কুল ও ছাত্রছাত্রী এই অনুষ্ঠান দেখেছে সে ব্যাপারে একটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হবে৷ অনুষ্ঠানটি শেষ হওয়ার পর একটি ফিডব্যাক নেওয়া হবে৷ তাতে জানতে চাওয়া হবে, কতজন ছাত্রছাত্রী ও ক'টি স্কুল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সম্প্রচার দেখেছে৷ প্রধানমন্ত্রী আজ স্কুল-ছাত্রছাত্রীদের বলেন, যখন আমি ভাবি আমার সমস্ত দেশবাসী আমার পরিবারেরই অংশ, তখন আমি ক্লাম্তি অনুভব করি না এবং আরও বেশি কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত হই৷ আমি বেশি কাজ করতে চাই৷ ভারতের জনগণ আমার পরিবার৷ তাদের সুখ আমার সুখ, তাদের দুঃখ আমার দুঃখ৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিকে পেশা হিসেবে দেখা উচিত নয়৷ এটা হল সেবা করার সুযোগ৷ এক ছাত্রের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ণিমার রাতে বাড়ির বাইরে যাবে না কেন এবং সুচে সুতো পরানোর প্রতিযোগিতা হবে না কেন? এতে দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষাও হয়ে যাবে৷ নাগপুরের মেয়র রাস্তার সব আলো বন্ধ করে দেন পূর্ণিমার রাতে৷ এবং জনগণ এটা উপভোগ করেন৷ আমরা প্রকৃতির সঙ্গে এক হয়ে বাঁচতে ভুলে গেছি৷ প্রকৃতির সঙ্গে সম্প্রীতি রেখে আমাদের বাঁচা শুরু করতে হবে৷ বিদ্যুৎ বাঁচানো, বৃক্ষরোপণ এই সব ছোট ছোট কাজ দেশের সেবা করতে সাহায্য করে৷ মানুষের উচিত প্রভৃতিকে ভালবাসা৷ তাকে ধ্বংস করা নয়৷ প্রকৃতির সঙ্গে মিতালির কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন আবহাওয়ার বদলের তত্ত্বকেই খারিজ করে দেন৷ তাঁর মতে, আবহাওয়া নয়, আমাদের অভ্যাস, সহিষ্ণুতাই বদলে যায়৷ বুড়ো মানুষরা তাই অভিযোগ করেন, এ বছর বড্ড শীত৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন শিশুরাও আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে কথা বলে৷ আসামের তিনসুকিয়া থেকে একজন ছাত্র জানতে চায়, শিশুরা কীভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে পারে এবং পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সেবা করা মানেই সব সময় বিশাল বড় কাজ নয়৷ ছোট ছোট কাজের মধ্যে দিয়েও দেশের বড় সেবা করা যায়৷ ছাত্ররাও বিদ্যুৎ বাঁচাবে, দেশের ভালর জন্য কাজ করবে৷ পোর্ট ব্লেয়ারের একজন ছাত্র প্রশ্ন করে, দেশের উন্নয়নে আমরা কীভাবে যোগদান করতে পারব? প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা সবাই ভাল ছাত্র হও৷ সেটাই হবে সবচেয়ে বড় যোগদান৷ তিনি প্রসঙ্গাম্তরে বলেন, মেয়েদের স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়া বন্ধ করতে হবে৷ আমরা নানা রকম ব্যবস্হা নিয়েছি৷ দেখা যাক তার ফল কী হয়৷ শৌচালয়ের অভাব মেয়েদের স্কুল ছেড়ে চলে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ৷ নারীশিক্ষা খুবই জরুরি৷ একটি মেয়ে শিক্ষিত হলে সে দুটি পরিবারকে শিক্ষিত করে৷ মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা থেকে ছাত্রের প্রশ্ন পেয়ে মোদি বলেন, আমি সত্যিই আনন্দিত যে তুমি ওই এলাকা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন করছ, যেখানে মাওবাদীরা যথেষ্ট রক্তপাত ঘটিয়েছে৷ সাঁতেওয়াড়া থেকে এই প্রশ্নটি পেয়ে মোদি ছত্তিশগড়ের মুখমন্ত্রী ড. রমন সিংয়ের প্রশংসা করেন৷ লে থেকে একটি ছাত্র প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করে, তিনি ও তাঁর বন্ধুরা স্কুলজীবনে দুষ্টুমি ও রঙ্গকৌতুক করতেন? প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ওই প্রশ্নের উত্তরে না গিয়ে বলেন, শিক্ষকদের বৈষম্য করা উচিত নয়৷ সবাই শিক্ষকদের ছাত্র৷ এবং প্রত্যেক ছাত্রেরই কিছু না কিছু প্রতিভা আছে৷ তিনি বলেন, জাপানে প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক মনোভাবের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়৷ জাপানে ওরা শিক্ষণের ওপর জোর দেয়৷ আমি দেখেছি, বাবা-মা ওখানে ছেলেমেয়েদের স্কুলে ছাড়তে যান না৷ বাবা-মা সব শিশুকেই সমান চোখে দেখেন৷ জাপানে শিক্ষকতা কোনও কিছুর সমান নয়৷ কিন্তু জ্ঞান অর্জন ১০০ শতাংশ৷ একটি ছাত্র জিজ্ঞেস করে, আপনি তো জাপানে স্কুল দেখেছেন৷ ওদের আর আমাদের স্কুলের মধ্যে তফাত কী? প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে-কোনও ছাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন৷ যদি তিনি সারা দেশের বিশ্বাস অর্জন করতে পারেন৷ ইম্ফল থেকে একটি ছাত্র প্রশ্ন করে, তিনি কী করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন? প্রধানমন্ত্রী হেসে বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য তৈরি হও এবং আমাকে তোমার শপথগ্রহণে আমন্ত্রণ জানিও৷ এর মানে এটাও হয় যে, ততদিন পর্যম্ত আমার কোনও বিপদ নেই৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, শাস্ত্রে বলে প্রত্যেকেই জানতে চায় 'কে আমি'? অফিসারদের আমি বলেছি, তাঁরা যদি ১২ ঘণ্টা করতে পারেন আমি ১৩ ঘণ্টা কাজ করার জন্য তৈরি৷ আমি কাজের লোক৷ নিজেও যথেষ্ট কাজ করি এবং লোককে কাজ করাই৷ একটি ছাত্র জিজ্ঞেস করে, প্রকৃত জীবনে তিনি কেমন লোক? মোদি বলেন, আমার সবচেয়ে বড় লাভটা কী? যে, তোমরা শিশুরা আজ সারাদিন টিভিতে৷ দেশের মানুষ আমাদের মুখ টিভিতে দেখতে দেখতে ক্লাম্ত হয়ে গেছেন৷ আজ তাঁরা অনেক ছাত্রছাত্রীর মুখ দেখতে পাবেন৷ আমি মিডিয়াকে স্বাগত জানাই, তারা ছাত্রছাত্রীদের বলছে তারা আমাকে কী প্রশ্ন করতে চায় বলুক৷ আমাকে যদি লাভ করতে হত তাহলে আমি আসতাম না৷ জীবনে সব কিছুই লাভের নয়৷ 'লাভ' ছাড়া কাজ করুন৷ আনন্দটাই আলাদা৷ একজন ছাত্র মোদিকে জিজ্ঞেস করে, আজ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে আপনার কী লাভ হবে? এরই উত্তর দেন মোদি৷ তরুণ বয়সে আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ভাবিওনি৷ স্কুলে ক্লাস মনিটর হওয়ার জন্যও ভোটে দাঁড়াইনি৷ আমরা স্বপ্ন দেখব, তবে কেউকেটা হওয়ার জন্য নয়, কিছু করার জন্য৷ আর কে পুরম থেকে একটি ছাত্র প্রশ্ন করেছিল, শিশু হিসেবে কখনও ভেবছিলেন যে একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং সারা বিশ্বে আপনার পরিচিতি হবে? পরের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শিক্ষক৷ কিন্তু একজনের অভিজ্ঞতা নির্ভর করে তার শিক্ষার ওপর৷ আমার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে৷ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিজ্ঞতার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি দিল্লি দেখার সময় পাইনি৷ সারাদিন শুধু বাড়ি থেকে অফিস আর অফিস থেকে বাড়ি৷ তিনি বলেন, ছাত্রদের মনীষীদের জীবনী পড়া উচিত৷ কত ছাত্র জীবনী পড়তে চায় জিজ্ঞেস করেন, খুব বেশি হাত ওঠেনি৷
আজকালের প্রতিবেদন: প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তা পল্টু দাসের বাড়িতে ফের তল্লাশি চালাল সি বি আই৷ সূত্রের খবর, তল্লাশি চালিয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কলেজ স্ট্রিট শাখার লকারের চাবি উদ্ধার করেছে সি বি আই৷ সেই লকারের সঙ্গে সারদা গোষ্ঠীর বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে৷ উল্লেখ্য, সুদীপ্ত সেনও সি বি আই-কে যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতেও তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর দুই ড্রাইভার আমহার্স্ট স্ট্রিটের একটি বাড়িতে টাকা পৌঁছে দিতেন৷ এর আগেও পল্টু দাসের বাড়িতে দীর্ঘ তল্লাশি চলেছিল৷ উদ্ধার হয়েছিল দুই প্রভাবশালীর সঙ্গে সারদার লেনদেনের নথিপত্র৷ শুক্রবারই কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় সি বি আইয়ের বিধাননগরের অফিসে যান৷ সারদা-কাণ্ডে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে বেআইনি লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছেন প্রকাশ৷ এর আগেও তিনি ই ডি এবং সি বি আই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন৷ সারদা-তদম্তে বেশ কিছুটা এগিয়ে গেছে সি বি আই এবং ই ডি৷ সারদার বেআইনি লেনদেন কীভাবে চলত, তার ছবিটা স্পষ্ট হচ্ছে তদম্তকারীদের কাছে৷ কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে টাকা যেত, তা-ও বুঝতে পারছেন গোয়েন্দারা৷ সেই সব প্রভাবশালীদের জেরা করবে সি বি আই৷ ইতিমধ্যেই অনেককে জেরা করা হয়েছে৷ সন্দেহের তালিকার বাইরে নেই সারদার বড় এজেন্টরাও৷ তাঁদের থেকেও সারদার ব্যবসার বিভিন্ন তথ্য জানা যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্হা৷ মঙ্গলবার দিল্লির সি বি আইয়ের বৈঠকেও পরিষ্কার জানানো হয়েছে, সারদার তদম্তে কোনও শিথিলতা রাখা চলবে না৷ সংস্হার পদস্হ কর্তারা সি বি আইয়ের এ রাজ্যের তদম্তকারীদের নির্দেশ দিয়েছেন, সারদার বিষয় সব জানতে প্রয়োজনে জনগণের সাহায্য নিন৷ এমনকি হেল্পলাইন খোলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে৷ সারদা তদম্তে নেমে এ রাজ্যের পাশাপাশি আসাম, ওড়িশা, এমনকি মুম্বইতেও তল্লাশি চলেছে সি বি আইয়ের৷ আসামের গায়ক সদানন্দ গগৈয়ের বাড়িতে তল্লাশি চলেছে৷ তাঁকে পর পর চার দিন কলকাতায় ডেকে জেরাও করা হয়েছে৷ তিনি সারদা গোষ্ঠীর একটি বিস্কুটের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন৷ একইভাবে ই ডি-ও বেশ কয়েকজনকে জেরা করেছে৷ জেরা করা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখার্জিকেও৷ তিনি সারদা গোষ্ঠীকে একটি সিমেন্ট কারখানা বিক্রি করেছিলেন৷ সেই কারখানার বিষয় জানতে বাঁকুড়াতেও হানা দেয় ই ডি-র একটি দল৷
আজকালের প্রতিবেদন: আজ, শনিবার দু'দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন বি জে পি-র সভাপতি অমিত শা৷ সন্ধের বিমানে কলকাতায় আসছেন অমিত শা৷ কলকাতায় এসে রাজ্য পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ রবিবার সকাল ৭টায় প্রথমে তিনি বেলুড়মঠে যাবেন৷ সেখান থেকে দক্ষিণেশ্বরে যাবেন৷ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সেখান থেকে রেড রোডে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন৷ সেখান থেকে মহেশ্বরী সদনে রাজ্য পদাধিকারীদের বৈঠকে যোগ দেবেন৷ দুপুর ২টোয় বৌবাজারে জনসভায় যোগ দেবেন অমিত শা৷ বিকেলের বিমানে তিনি রাঁচির উদ্দেশে রওনা দেবেন৷ এদিকে শুক্রবার দুই কেন্দ্রে অবাধ শাম্তিপূর্ণ উপনির্বাচনের দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্হ হলেন বি জে পি-র রাজ্য পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থ নাথ সিংয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল৷ বি জে পি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিন্হা জানান, মঙ্গলবার বি জে পি-র চৌরঙ্গি কেন্দ্রের প্রার্থী রীতেশ তেওয়ারির ওপর হামলা চালানো হয়৷ থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিসের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি৷ তাঁর অভিযোগ, উল্টে প্রার্থীর বিরুদ্ধে পার্কস্ট্রিট থানায় মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে৷
হাইকোর্টে বি জে পি-র মামলা: মেদিনীপুর শহরে জনসভা করতে বাধা দেওয়ায় রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করল বি জে পি৷ রাজ্য বি জে পি-র পক্ষে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়ার এজলাসে পুলিসি অতিসক্রিয়তার মামলা রুজু করা হয়েছে৷ এই মামলায় সওয়াল করবেন কলকাতা হাইকোর্টের কনিষ্ঠতম সিনিয়র গাউন প্রাপক আইনজীবী কৌশিক চন্দ৷ সহযোগিতা করবেন আইনজীবী রাহুল সরকার৷ গত ২৭ আগস্ট মেদিনীপুর শহরে বি জে পি-র ডাকে একটি জনসভা হওয়ার কথা ছিল৷ পুলিস গান্ধীমূর্তির কাছে জনসভা করার অনুমতি দেয়নি৷ তখন বি জে পি মেদিনীপুরে গির্জার মাঠে জনসভার আয়োজন করে৷ কিন্তু ২৬ আগস্ট রাতে পুলিস এসে জানিয়ে দেয় এখানেও অনুমতি নেই৷ পুলিসই মঞ্চ ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ৷ কৌশিক চন্দ বলেন, কোথাও জনসভা খারিজ করতে গেলে পুলিসকে ১৪৪ ধারা জারি করাতে হয়৷ তা ছাড়া কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন জমিতে সভা করার জন্য কোনও প্রশাসনিক অনুমতির প্রয়োজন নেই৷ পুলিস গির্জার মাঠের সভা ভেঙে দিল কী করে৷ জেলার পুলিস সুপার ও কোতোয়ালি থানার আই সি-র শাস্তি দাবি করেছে বি জে পি৷ একসঙ্গে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের৷
বিজয়প্রকাশ দাস: বর্ধমান, ৫ সেপ্টেম্বর– রাজ্যে গণতন্ত্রকে রক্ষার স্বার্থে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিলেন সি পি এমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত৷ শুক্রবার বিকেলে বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে সি পি এমের প্রয়াত চার নেতা জ্যোতি বসু, হরেকৃষ্ণ কোঙার, সুবোধ চৌধুরি ও বিজয় পালের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য অনুষ্ঠানে প্রকাশ কারাত কেন্দ্রের বি জে পি এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন৷ রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোক্কার করে বলেন, তিন বছর আগে এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাম কর্মী-সমর্থকদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে ওরা৷ কর্মীদের খুন করা হচ্ছে, অফিস ভাঙচুর করে দখল করছে, ঘরছাড়া করে দিচ্ছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে৷ সাধারণ মানুষও তাদের অত্যাচার থেকে বাদ পড়ছেন না৷ দলীয় কর্মীদের ওপর এই হামলার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়তে হবে৷ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে৷ কেন্দ্রের বি জে পি সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, বিদেশি পুঁজিপতিদের এ দেশে নিয়ে আসতে চাইছে কেন্দ্র৷ বিদেশি পুঁজি আসছে রেল, বিমা, প্রতিরক্ষাতেও৷ তাঁর মারাত্মক অভিযোগ, আর এস এস নামের হিন্দু সংগঠন বি জে পি সরকারের মাধ্যমে শিক্ষায় সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আনার চেষ্টা করছে৷ বি জে পি ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছে৷ আর এস এস বি জে পি-কে দিয়ে যে খেলা শুরু করেছে তাতে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে৷ তাই আমাদের, বামপম্হীদের কেন্দ্রের বি জে পি এবং রাজ্যের তৃণমূল উভয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ অনুষ্ঠানে দীর্ঘ ৭ মাস পর দেখা গেল প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনকে৷ তিনি হুইল চেয়ারে বসেই প্রয়াত চার নেতাকে স্মরণ করে তাঁদের পথে চলার নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদের৷ ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মদন ঘোষ, অঞ্জু কর, অমল হালদার, অচিম্ত্য মল্লিক প্রমুখ৷
দেশ ভট্টাচার্য: বসিরহাট, ৫ সেপ্টেম্বর– 'বাংলা মমতার আছে৷ আগামী দিনেও মমতার থাকবে৷ মমতার কোনও বিকল্প বাংলার হবে না৷' বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়৷ এদিন বসিরহাট শহরে উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দীপেন্দু বিশ্বাসের সমর্থনে বর্ণাঢ্য রোড শোয়ে অংশ নেন মুকুল রায়৷ ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ ইদ্রিস আলি, ছাত্র নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা, বিধায়ক এ টি এম আবদুল্লা রনি, সুজিত বসু, শিউলি সাহা প্রমুখ৷ রোড শো শুরুর আগে বসিরহাট টাউন হলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করেন মুকুল রায়৷ তিনি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বসিরহাট দক্ষিণ উপ-নির্বাচনে 'পাখির চোখ' করে নেমে পড়তে বলেন৷ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, বাংলার ফুটবলে অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার দীপেন্দুর ঝুলিতে ২৪৫টা গোল৷ আর ৫টা গোল হলে চুনী গোস্বামীকে ছুঁয়ে ফেলবে৷ আমরা আর একটা গোল চাই দীপেন্দুর পা থেকে৷ আপনারা ঠিকমতো বল পাস করুন ওকে৷ ঠিক গোল করে বেরিয়ে আসবে৷ এদিন বসিরহাটে সভা ছিল বি জে পি সাংসদ এম এস আলুওয়ালিয়ার৷ দীপেন্দুর রোড শো যখন ত্রিমোহনীতে তখন এস এস আলুওয়ালিয়ার গাড়ি রোড শোয়ের মধ্যে পড়ে যায়৷ মুকুল, জ্যোতিপ্রিয়রা নেমে আলুওয়ালিয়াকে ভিড় সরিয়ে রাস্তা করে দেন৷ শঙ্কুদেব বি জে পি সাংসদের গাড়ি মিছিল পার করিয়ে দেন নিজে৷
আজকালের প্রতিবেদন: পুলিসের আপত্তি উড়িয়ে কলকাতায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই সভা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কলকাতা জেলা সি পি এম৷ ঠিক যেখানে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস কিছুদিন আগেই ২১ জুলাই সভা করেছে, সেখানেই বাবরি মসজিদ ভাঙার কলঙ্কময় দিনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ডাক দিয়ে সভা করতে চায় সি পি এম৷ একই সঙ্গে তা হবে শাসকদলের গণতন্ত্র ধংসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ৷ শুক্রবার এই সভার ব্যাপারে কলকাতা পুলিসের নগরপাল সুরজিৎ কর পুরকায়স্হের কাছে অনুমতি চাইতে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সি পি এমের এক প্রতিনিধি দল৷ ছিলেন নেপালদেব ভট্টাচার্য, মানস মুখার্জি ও সুভাষ মুখার্জি৷ উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২ বাবরি মসজিদ ভেঙে দেশের সাম্প্রদায়িক ঐক্যে আঘাত হেনেছিল বি জে পি ও আর এস এসের করসেবকরা৷ ঘটনাক্রমে সেই সাম্প্রদায়িক দল আজ দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায়৷ প্রত্যেকবারই বিশ্বের কাছে মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার সেই কুখ্যাত দিনটিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দিবস হিসেবে পালন করে বামফ্রন্ট৷ এবার অনেক আগে থেকেই ৬ ডিসেম্বর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এই সম্প্রীতি সভা করার কথা ঘোষণা করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সি পি এম৷ সাম্প্রদায়িক বি জে পি এবং অগণতান্ত্রিক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই এই সভার ডাক দেওয়া হয়৷ সেইমতো এদিন কলকাতার নগরপালের কাছে সভার অনুমতির আবেদন নিয়ে গিয়েছিলেন সি পি এম নেতারা৷ নেপালদেব বলেন, নগরপাল আমাদের বলেছেন ওখানে সভা করতে অনুমতি দিতে তাঁদের অসুবিধে রয়েছে৷ আমরাও বলি, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস কিছুদিন আগেই ওখানে সভা করেছে৷ রাজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্য বিভিন্ন নিয়ম হতে পারে না৷ নগরপাল বলেন, আপনারা শহরে অন্য জায়গা বাছুন৷ একটি রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হলেও অন্য কাউকে ওখানে সভা করতে দেওয়া যাবে না৷ নেপালদেব তাঁকে জানান, আপনি সভা করতে না দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত কারণ দেখান৷ গণতন্ত্রে সবার জন্য একই আইন হওয়া উচিত৷ আমরা ওখানেই সভা করব৷ পরে নেপালদেবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের এই অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদ জানাতেই তো আমরা সভা করব৷ ফলে, সভা আমরা করবই৷ বিশেষ করে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সভা৷ অগণতান্ত্রিকভাবে এই সভার অনুমতি না দিলে মানুষ বুঝবে এই সরকারের রাজনৈতিক অবস্হান৷ উল্লেখ্য, সরকারে আসার আগে থেকেই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এই তৃণমূল কংগ্রেস ওখানে সভা করে৷ এ বছরেও করেছে৷ নিশ্চয়ই পুলিস সেই সভার অনুমতি দিয়েছে৷ পুলিসের অনুমতি না পেয়ে অন্যত্র সভা করতে হয়েছে এমন ঘটনা তো কখনও ঘটেনি! নেপালদেবের প্রশ্ন, তা হলে ওখানে কেন সি পি এম বা অন্য কোনও দল সভা করতে পারবে না? আমরা পুলিসকে জানিয়ে দিয়েছি ভাবাভাবির কিছু নেই, আমরা ওখানেই সভা করব৷ কিন্তু যদি পুলিস শেষ পর্যম্ত কিছুতেই অনুমতি না দেয়? নেপালদেব জানান, ওখানে সভা করতে দেবে না এমনটা পরিষ্কার ভাবে পুলিস এখনও জানায়নি৷ বলেছে ওখানে সভা করতে দিতে কিছু অসুবিধে আছে৷ কী অসুবিধে তা পরিষ্কার ভাবে পুলিস বলুক৷ আর যদি প্রয়োজন হয়, আইন ভাঙতে হবে৷ যে রাজ্য সরকার নিজেই আইন ভাঙছে, গণতন্ত্র মানছে না, সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে দরকারে আইন ভাঙতে হবে আমাদের৷ সভা ওখানেই হবে৷
আজকালের প্রতিবেদন: 'আগে প্রমাণ হোক কে চোর৷ তার আগেই চোর চোর বলে কুৎসা রটানো হচ্ছে৷ এটাই ওঁদের কাজ৷' শুক্রবার এই মম্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ এদিন শিক্ষক দিবসে নেতাজি ইনডোরের এক অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে বলেন, 'আমরা কোনও অন্যায় করি না৷ অন্যায় করা, চুরি করা আমাদের সংস্কৃতিতে নেই৷ বাংলার মাটি, সংস্কৃতির মাটি, শিক্ষার মাটি, ন্যায়ের মাটি, অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মাটি৷ আমরা বাংলার মাটিতে এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর৷ কুৎসা করে, মিথ্যা রটনা করে আমাদের ধ্বংস করা যাবে না৷ জয় আমাদের হবেই৷ কারণ এই মাটিতে জন্মেছেন রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, ক্ষুদিরাম, বিনয়-বাদল-দীনেশ৷' মুখ্যমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে ছাত্র ও শিক্ষক সমাজকে কুৎসা ও রটনা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলেন৷ আরও বলেন, সত্যিকারের শিক্ষা দেয় সংস্কৃতি, সংস্কৃতি দেয় ভাষা, ভাষা দেয় আশা, আশা তৈরি করে দিশা৷ আমাদের দিশা ঠিক ছিল, ঠিক আছে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এ রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য নেই৷ কোথাও একটা ছোট ঘটনা হয়ত ঘটছে কিন্তু সেটাকেই বাংলার শিক্ষাব্যবস্হার সামগ্রিক চেহারা বলে এক ধরনের সংবাদমাধ্যম তুলে ধরছে৷ যেটা অন্যায়, যেটা খারাপ তার জন্য কঠোর ব্যবস্হা নেব৷ রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ রাজ্যে শিক্ষার মান ও পরিবেশ অত্যম্ত উন্নতমানের এবং সুশৃঙ্খল৷ আমেরিকা, ইউরোপে বাংলার পড়ুয়াই আজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে৷ তাদের তৈরি করেছে এখানকার শিক্ষকরাই৷ শিক্ষকদের সম্মান করা, শ্রদ্ধা করাই ঐতিহ্য৷ এখনও কোনও শিক্ষকের সঙ্গে দেখা হলে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করি৷ বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের এটাই ঐতিহ্য৷ এই ঐতিহ্যের পরম্পরা নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে নানা জায়গায়৷ ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে গন্ডগোল লাগিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে৷ মিথ্যা রটনা হচ্ছে৷ আমরা অন্যায়ের সঙ্গে আপস করি না, প্রশ্রয় দিই না৷ কিন্তু ভালটাকে তো ভাল বলতেই হবে৷ একটি আমের ঝুড়িতে একটি মাত্র আম হয়ত খারাপ তা বলে গোটা ঝুড়ির সব আমকে খারাপ বলতে হবে? আমরা ওই খারাপ আম-কে ফেলে দেব৷ ৯৯টি বাঁচাব৷ তিনি বলেন, শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য রাজ্যে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হতে চলেছে৷ দু'বছরের মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে৷ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নানা রকম মান ও পদ্ধতি৷ সে-সবকে এক ছাতার তলায় আনার জন্য আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার সিদ্ধাম্ত নিয়েছি৷ এদিন দেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ড. সর্বেপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন পালন করে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজ্য বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে৷ রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ১০০ জন শিক্ষককে শিক্ষারত্ন উপাধি দেওয়া হয়৷ প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকার চেক, শাল ও মানপত্র দেওয়া হয়৷ ৪২টি বিদ্যালয়কে সেরা বিদ্যালয়ের স্বীকৃতিও দেওয়া হয়৷ তাদেরও দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকার চেক৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি৷ তিনিও বলেন শিক্ষাক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না৷ শিক্ষাক্ষেত্রে যে প্রসার গত ৩৪ বছরে হয়নি, স্বাধীনতার পর থেকে হয়নি, তা গত তিন বছরে এ রাজ্যে হয়েছে৷ শিক্ষাবিদ ও প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য গবেষক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, একমাত্র ভারতীয় সংস্কৃতিতে শিক্ষককে পিতা ও মাতার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে৷ অনেক কিছুর পরিবর্তন হলেও আমাদের সমাজ ব্যবস্হায় এই পরম্পরা এখনও অক্ষত৷ শিক্ষক দিবসে সেটা বজায় রাখার শপথই নেওয়া উচিত৷
বর্ধমান: সারদার সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সিবিআইয়ের তদন্তেই প্রকৃত সত্য ফাঁস হবে। বর্ধমানে দলীয় কনভেনশনে এই ভাষাতেই শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগাতার সন্ত্রাসের অভিযোগ আনেন তিনি। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন প্রকাশ কারাট।
সারদা কাণ্ডে ইডির তদন্ত প্রায় শেষপর্যায়ে। জালগুটোচ্ছে সিবিআইও।বর্ধমানে সিপিআইএমের দলীয় কনভেনশনে এসে সারদা কান্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া তোপ দাগলেন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। সিপিআইএম নেতার অভিযোগ, সারদার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ দীর্ঘদিনের। সিবিআই তদন্তে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন সভামঞ্চ কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন প্রকাশ কারাট। বিজেপিকে সাম্রদায়িক শক্তি হিসাবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে গোটা দেশটাকেই বেচে দেওয়ার পথে এগোচ্ছে কেন্দ্রের মোদী সরকার।
কনভেনশনে হাজির ছিলেন প্রবীন সিপিআইএম নেতা নিরুপম সেন, মদন ঘোষ সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেন সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট।
দশ বছর অন্তত ক্ষমতায় আছি, ছাত্রকে জবাব দিয়ে বিতর্কে মোদি
শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক তো ছিলই, এ বার বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন খোদ শিক্ষক প্রধানমন্ত্রীও। অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতার নামেও নরেন্দ্র মোদি রাজনীতিই করেছেন।
কিছুটা নজিরবিহীনভাবেই শুক্রবার, শিক্ষক দিবসের দিন গোটা দেশের ছাত্রছাত্রীদের সামনে বক্তব্য রাখবেন বলে ঠিক করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লিখিত নির্দেশ ছিল না। কিন্তু অলিখিতভাবে দিল্লী থেকে দেশের প্রতিটি স্কুলে নির্দেশ যায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। ছুটির ঘণ্টা বেজে গেলেও বসে থাকতে হবে পড়ুয়াদের। বাস্তবে হয়েছেও তাই। সকালে বসে এমন অনেক স্কুল শুক্রবার তাদের সময় পরিবর্তন করেছে। ছুটি হয়ে যাওয়ার পরেও অনেক স্কুল বসিয়ে রেখেছে ছাত্র-ছাত্রীদের। এমন ভোগান্তির কথা ভেবে অনেক অভিভাবকই আবার ছেলেমেয়েদের শুক্রবার স্কুলেই পাাঠাননি। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়াবে আশঙ্কা করে প্রথম থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর ক্লাস বসেছিল দিল্লীর মানেক শাহ প্রেক্ষাগৃহে। হাজির ছিলেন রাজধানীর সাত শ' পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকা। বিকেল তিনটা থেকে টানা দেড় ঘণ্টা চলে আলাপচারিতা। যোগাযোগ-প্রযুক্তির সৌজন্যে গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন মোদি। উত্তর দেন তাদের প্রশ্নের। তেমনই এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন মোদি।
ইম্ফলের এক ছাত্রের সিধেসাপটা প্রশ্ন ছিল, 'আগামী দিনে আমিও কী ভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারি?' মোদি এর যা জবাব দিয়েছেন, তাতেই বেধেছে বিতর্ক। তাঁর কথায়, 'তা হলে এখন থেকেই ২০২৪ সালের জন্য প্রস্তুতি শুরু কর এবং তোমার শপথ গ্রহণে আমাকে আমন্ত্রণ জানিও। এর মানে হলো, ওই সময় পর্যন্ত আমার (গদি হারানোর) কোনও ভয় নেই।' লোকসভা ভোটে জয়ের পরপরই প্রথমবার গুজরাত সফরে গিয়ে মোদি জানিয়েছিলেন, তিনি আগামী দশ বছরের রোডম্যাপ মাথায় রেখে কাজ শুরু করছেন। শুক্রবার ছোট এক স্কুলপড়ুয়ার কাছেও নিজের সেই রাজনৈতিক পরিকল্পনাই তুলে ধরেন তিনি। বুঝিয়ে দেন, পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও আগামী অন্তত দশ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এ দিন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সরাসরিই দেখানো হয়েছে এই আলাপচারিতা। মোদির ওই জবাবের পরপরই এ নিয়ে সরব হন কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রধান বিরোধী দলের বক্তব্য, আমাদের আশঙ্কা ছিল শিক্ষক দিবসেও রাজনীতি করতে ছাড়বেন না মোদি। বাস্তবেও তাই হলো। শিক্ষক দিবসে অনুষ্ঠানের নামে রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন মোদি। আর তার জন্য ভুগতে হলো ছোট ছোট বাচ্চাকে। কংগ্রেসের সলমন খুরশিদের কটাক্ষ, 'এ তো দেখছি, পরের লোকসভার ফলও জেনে গিয়েছেন উনি।' শিক্ষক দিবসে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়াটা এ দেশে কার্যত নজিরবিহীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টদের প্রায়ই স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। কিন্তু সে দেশে সেই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার হয় না। চাইলে পরে সেই অনুষ্ঠান টিভি বা ইন্টারনেটে দেখে নেয় ছাত্রছাত্রীরা। মোদির ক্লাস নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত, তাতে হাজির থাকা বাধ্যতামূলক করা নিয়ে। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী অবশ্য সেই দাবি নস্যাত করে জানিয়েছেন, 'শোনাটা বাধ্যতামূলক, এমন কোনও নির্দেশিকা পাঠানো হয়নি।' যদিও বাস্তব বলছে অন্য কথা। ছুটির পরেও ছাত্র-ছাত্রীদের বহুক্ষণ স্কুলে বসিয়ে রাখা নিয়ে বিরোধীদের ব্যাখ্যা, জেনেশুনে কে আর মন্ত্রককে চটানোর ঝুঁকি নেবে। মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে চলাটাই নিরাপদ বলে মনে করছে স্কুলগুলো।
মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের একাংশও স্বীকার করেছেন, সিবিএসসি স্কুলগুলোই শুধু নয়, দেশের ১৮ লাখ স্কুলের জন্যও বিষয়টি কার্যত বাধ্যতামূলক ছিল। কারণ, কোন্ স্কুলে কত জন ছাত্রছাত্রী আজ ওই ক্লাস শুনেছে সেই রিপোর্টও মন্ত্রক যোগাড় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যদিও এ বিষয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, 'দেশের কতগুলো স্কুলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে, আমরা এর মাধ্যমে সেটাও দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' -আনন্দবাজার অনলাইন
সি বি আই প্রধান নিজেই বিপন্ন |
সারদা-তদম্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন |
|
জাওয়াহিরির ঘোষণার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার
আজ জঙ্গী মনিটরিং সেলের বিশেষ বৈঠক বসছে
গাফফার খান চৌধুরী ॥ বাংলাদেশে আল কায়েদার শাখা খোলার ঘোষণাকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে বিস্তর অনুসন্ধান চলছে। পাশাপাশি সারাদেশে বাড়তি নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ রবিবার সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত বিশেষ বৈঠক বসছে। কোর কমিটির বিশেষ বৈঠকে আলোচনার মূল এজেন্ডাই থাকছে আল কায়েদার বিষয়টি। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জঙ্গী মনিটরিং সেলের সব সদস্যের উপস্থিত থাকা একপ্রকার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিকে জাওয়াহিরির ঘোষণার পর সীমান্ত পয়েন্ট, বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনসহ দেশের সব শহরে চলছে বাড়তি তল্লাশি। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সিসিটিভি ও গোপন মুভি ক্যামেরা স্থাপন, দেশজুড়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার অভিযান চলছে। আর বাড়তি নজরদারি চলছে জঙ্গী সংগঠনসহ বিস্ফোরক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর। সুউচ্চ ভবনগুলোর ছাদে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। টাওয়ার থেকে শক্তিশালী বাইনোকুলার দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিরও।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মুসলমানদের জিহাদের ডাক দিয়ে আল কায়েদা প্রধান আইমান আল জাওয়াহিরির ভিডিওবার্তা প্রকাশ পায়। এরপর সারাদেশে তোলপাড় চলে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই গত ৩ আগস্ট অনলাইনে পোস্ট করা ৫৫ মিনিটের ভিডিওবার্তায় উপমহাদেশে আল কায়েদার শাখা গঠনকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারতের অসম, গুজরাট, আহমেদাবাদ ও কাশ্মীরের মুসলমানদের জন্য 'আনন্দের খবর' বলে অভিহিত করেন আয়মান আল জাওয়াহিরি। আল কায়েদার এমন পদক্ষেপ উপমহাদেশে ইসলামিক আইনের প্রসার ও 'জিহাদের পতাকা সমুন্নত রাখবে' বলে ঘোষণা দেয়া হয় ওই বার্তায়। আল কায়েদার নতুন এই শাখা এ অঞ্চলের মুসলমানদের 'অবিচার ও আগ্রাসন থেকে উদ্ধার করবে বলেও বার্তায় বলা হয়। এমন ঘটনায় আবারও দেশে তোলপাড় শুরু হয়।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জনকণ্ঠকে বলেন, আগামীকাল (রবিবার) সচিবালয়ে কোর কমিটির বিশেষ বৈঠক বসছে। বৈঠকের মূল এজেন্ডায় থাকছে আল কায়েদার ডিভিওবার্তার বিষয়টি। আল কায়েদার এ ধরনের ঘোষণার বিষয়টি অধিক গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে। কি কারণে বা কিসের ভিত্তিতে আল কায়েদা প্রধান এ ধরনের ভিডিও প্রচার করেছে বা সত্যিই তাদের শাখা গঠনের কাজের কোন অগ্রগতি আছে কিনা সেসব দিক নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। রবিবারের বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হবে। জঙ্গী মনিটরিং সেলের সব শাখাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখতে এবং কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সারাদেশে বাড়তি সর্তকর্তা জারির পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোপূর্বেও আল কায়েদা একবার এ ধরনের বার্তা দিয়েছিল। কিন্ত এবারের বার্তার বিষয়টি ভিন্ন। আল কায়েদার শাখা খোলার ঘোষণার বিষয়টির নানাদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে কোনদিনই জঙ্গীবাদ স্থায়ী রূপ লাভ করতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ এ বিষয়ে খুবই সচেতন। বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনই জঙ্গীবাদকে প্রশয় দেবে না। আর সরকারও জঙ্গীবাদ নির্মূলে শতভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। এদেশ কোনদিনই জঙ্গীবাদের আস্তানা হবে না। এ ব্যাপারে সরকার শতভাগ আন্তরিক।
জঙ্গী মনিটরিং সেল সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাসহ সব গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয় সেলের সদস্য এমনকি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমও কমিটির সদস্য। বায়তুল মোকাররমের নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট রয়েছে। ইউনিটের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে জঙ্গীবাদ বিষয়ক নানা বিষয় মনিটরিং শুরু করেছে। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনকে কঠোর মনিটরিং করছে। বিশেষ করে আল কায়েদার এমন ঘোষণার পর রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে মনিটরিং সেলের সদস্যরা।
গোয়েন্দারা বলছে, প্রতিটি ইসলামী সংগঠন, উগ্র মৌলবাদী সংগঠন, জঙ্গী সংগঠনের শীর্ষ নেতা, কারাবন্দী জঙ্গী নেতাকর্মীদের ওপর নজরদারি চলছে। কারণ আল কায়েদার ঘোষণার পর অনেক উগ্র মৌলবাদী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আল কায়েদার শাখার খোলার ঘোষণার আগেই সত্যিকার অর্থেই শাখা খোলা হয়েছে কিনা বা শাখা খোলার পর শাখা খোলার বিষয়ে আল কায়েদা ঘোষণা দিয়েছে কিনা তা নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশে আল কায়েদার শাখা বিষয়ে বাংলাদেশের কোন কোন সংগঠন বা নেতারা যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করছেন কিনা সেসব বিষয়ে নজরদারি চলছে। এজন্য গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে উগ্র মৌলবাদীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের। এছাড়া কড়া নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে সারাদেশের বিস্ফোরক ব্যবসায়ী ও তাদের বিস্ফোরক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর।
গুরুত্বপূর্ণ ভবন, উপাসনালয়, স্থাপনা, কারাগারগুলোতে বসানো হচ্ছে অতিরিক্ত সিসি টিভি ও গোপন মুভি ক্যামেরা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে কড়া গোয়েন্দা নজরদারির আওতায়। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে হাই রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় চার আইএসআইয়ের জঙ্গী গ্রেফতারের খবরে সারাদেশে আরও তোলপাড় চলছে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশে আল কায়েদার শাখা খোলার ঘোষণাটি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এর নানাদিক ও বিষয় পর্যালোচনা করার কাজ চলছে। সারাদেশের বাড়তি সর্তকর্তা জারি করা হয়েছে। যেকোন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত ।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন জেএমবি, হুজি ও হিযবুত তাহরীরের তৎপরতা থেমে নেই। এই তিনটি সংগঠন আদর্শিকভাবেই আল কায়েদার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তারা বহুদিন ধরেই সে তা অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। আল কায়েদার সঙ্গে বা সহযোগী হিসেবে কাজ করতে যেকোন সংগঠনকে ন্যূনতম যোগ্যতার পরিচয় দিতে হয়। বিশেষ মারাত্মক ও দুর্ধর্ষ কাজের মধ্যদিয়ে কোন সংগঠন আত্মপ্রকাশ করলে সেসব সংগঠনকে আল কায়েদা প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত দল হিসেবে গণনায় ধরে।
সূত্র বলছে, দুঃসাহসিক কাজ দেখে আল কায়েদার এজেন্টরা ওসব সংগঠনকে টার্গেট করে। আল কায়েদার নজরে আসতে জেএমবি. হুজি ও হিযবুত তাহরীর বহু আগ থেকেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় জেএমবি ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় (মুন্সীগঞ্জ বাদে) একযোগে সিরিজবোমা হামলা চালায়। সিরিজ বোমা হামলা চালানোর পর জেএমবি আল কায়েদার নজরে আসে। সর্বশেষ ত্রিশালে জেএমবি তাদের সংগঠনের তিন জঙ্গীকে ছিনিয়ে নিয়ে আল কায়েদার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া সদ্য মারাত্মক জঙ্গী সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা আনসারুল্লাহ বাংলাটিমও আল কায়েদার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। দুঃসাহসিক কাজ দেখানোর অংশ হিসেবেই এরা ব্লগার ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ রাজীব হায়দার শোভনকে হত্যা করে থাকতে পারে।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান জনকণ্ঠকে বলেন, ইতোপূর্বে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরির বাংলাদেশে জিহাদের ডাক দিয়ে ভিডিওবার্তা প্রচারিত হয়েছিল। এবার আয়মান আল জাওয়াহিরি বাংলাদেশে আল কায়েদার শাখার খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। আগের জিহাদের ঘোষণা এবং পরে শাখা খোলার ঘোষণার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। ঘোষণাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন তারা।
তিনি বলছেন, দুই ঘোষণা দুই ধরনের হওয়ায় বিষয়টি তারা অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। বাংলাদেশে আল কায়েদার শাখা খোলার বিষয়ে এদেশের কোন সংগঠন বা বিশেষ কোন গোষ্ঠী কাজ করছে কিনা বা সত্যিকার অর্থেই শাখা খোলার কাজের কোন অগ্রগতি হয়েছে কিনা সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশে আল কায়েদার শাখা খোলার যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তারা বিস্তরভাবে কাজ করছেন। শাখা খোলার সঙ্গে বাংলাদেশের কোন সংগঠন আল কায়েদাকে সহযোগিতা করছে কিনা বা করতে পারে কিনা সেসব বিষয়ের পর্যালোচনা অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। এমনকি আল কায়েদার হয়ে কাজ করতে চায় বা আগ্রহ আছে এমন সংগঠনের বিষয়েও তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে।
কর্নেল জিয়াউল আহসান আরও বলেন, বাংলাদেশ কোনদিনই জঙ্গীবাদের আস্তানা হবে না। কারণ বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ জঙ্গীবাদে বিশ্বাস করে না। তাই এদেশে আল কায়েদা বা অন্যকোন আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের শাখা খুলে ঘঁাঁটি গেড়ে বসে তৎপরতা চালানো কঠিন। তারা জঙ্গীবাদ নির্মূলে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কাজ করছে। এদেশ কোনদিনই জঙ্গীবাদের চারণভূমি হবে না। সরকার জঙ্গীবাদ নির্মূলে শতভাগ আন্তরিক। সে মোতাবেক র্যাব আগাগোড়াই কাজ করে আসছে। তবে আন্তর্জাতিক কোন জঙ্গী সংগঠনের মদদে বা প্ররোচনায় এদেশেরই কোন জঙ্গী সংগঠন আচমকা ছোট ছোট চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে পারে। তবে তা সাময়িক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি এ ব্যাপারে সজাগ। র্যাব গুরুত্বের সঙ্গে এসব বিষয় অনুসন্ধান, তদারকি ও নজরদারি করছে। রাস্তায় টহল জোরদারের পাশাপাশি ও র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ব্যাপকভাবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশে আল কায়েদার শাখা খোলার ঘোষণার পর সারাদেশের মতো ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল, বাস টার্মিনাল, ঢাকার প্রতিটি প্রবেশপথ, মসজিদ, মন্দিরসহ সব স্পর্শকাতর জায়গা ও স্থাপনায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। চলছে বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি। ঢাকার প্রতিটি রাস্তায় বাড়তি চেকপোস্ট বসিয়ে সর্বক্ষণিক তল্লাশি চলছে। যাত্রীবাহী বাস থেকে শুরু করে সন্দেহভাজনদের দেহও তল্লাশি থেকে বাদ যাচ্ছে না।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2014-09-07&ni=184591
আইসিসকে ধ্বংস করব ॥ ওবামা
ইসলামী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ন্যাটোর কোর কোয়ালিশন গঠনের পর ওবামার ঘোষণা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত বড় বড় মিত্র দেশ ইরাকে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এ্যান্ড সিরিয়া (আইসিস) জঙ্গীদের পরাজিত করার সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ওবামা ওই জঙ্গী সংগঠনের নেতাদের নির্মূল করার সংকল্প ব্যক্ত করে বলেন যে, ওই দলটি পশ্চিমা জগতের প্রতি এক গুরুতর হুমকি। যুক্তরাষ্ট্র আইসিসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানোর অভিযানে যোগ দিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে, ইরাক ও সিরিয়ায় তৎপর ওই চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শেষ হতে তিন বছরও লাগতে পারে। খবর টেলিগ্রাফ ও ইয়াহু নিউজের।
ওবামা বলেন, ওয়াশিংটন আইসিসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সেটিকে গুঁড়িয়ে দেবে। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর যেভাবে আলকায়দার মোকাবেলা করেছিল এবং সোমালিয়ায় যেভাবে আল শাবাতের মোকাবেলা করছে, সেভাবেই আইসিসকে ধ্বংস করবে। আইসিস ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন ভূখ-ও দখল করে রয়েছে।
ওবামা বলেন, প্রধান প্রধান ন্যাটো মিত্র দেশ সামরিক ব্যবস্থা, গোয়েন্দা তৎপরতা, আইন কার্যকর করা এবং কূটনৈতিক চেষ্টার মাধ্যমে ওই সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। এর আগে ১০টি দেশের মন্ত্রী শুক্রবার ওয়েলসে ন্যাটোর এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ওয়াশিংটনের ভাষায় "একটি কোর কোয়ালিশন" গঠন করতে এক বৈঠকে মিলিত হন। ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, তুরস্ক, ইতালি, পোল্যান্ড, ডেনমার্ক ও ন্যাটো সদস্য অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রীরা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও চাক হেগেনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। ওবামা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে, মিত্ররা এরই মধ্যে ইরাকে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে এবং সেখানে আমরা আইসিসের অগ্রগতি প্রতিহত করেছি। আমরা ইরাকী অংশীদারদের অস্ত্র সরবরাহ করেছি এবং তাদের আক্রমণে যেতে সহায়তা করেছি।
ইরাকে আগামী সপ্তাহে এক নতুন সরকার গঠন করা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশা করে। সেটি জঙ্গীদের ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজনীয় দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে অনুকূল এমন এক কোয়ালিশন সরকারই হবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আস্থাশীল। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফাঁসোয়া ওলাঁদ নিশ্চিত করেন যে, আইসিসকে মোকাবেলা করার এক ব্যাপক আন্তর্জাতিক কৌশলের অংশ হিসাবে বাগদাদের কোন নতুন সরকার অনুরোধ জানালে প্যারিস মার্কিন বিমান হামলায় যোগ দেবে। তিনি সিরিয়াতেও জঙ্গীদের দমন করার অভিযান চালানো এবং সেখানে আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াইরত অন্যান্য বিদ্রোহীদের সহায়তা করার সম্ভাবনার কথা বলেন। যদিও ডেভিড ক্যামেরন জোর দিয়ে বলেন যে, ব্রিটেন আইসিস জঙ্গীদের ওপর বিমান হামলা চালানোর পর্যায়ে এখনও নয়, তথাপি তিনি মার্কিন নেতৃত্বে এক কোর কোয়ালিশনে" যোগ দেয়ার চুক্তিপত্রে সই দেয়ার সময় 'স্পষ্টত এক সামরিক প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন' বলে মন্তব্য করেন। আইসিস দমনে ওবামার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্যামেরন বলেন, আমি কোন সম্ভাবনাই নাকচ করে দিচ্ছি না। আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থে ব্যবস্থা নেব। আমরা অবশ্যই আমাদের মিত্রদের সঙ্গে কাজ করব। এর আগে কেরি ঘোষণা করেন যে, গণহত্যা ও ভূমি দখলে লিপ্ত এবং খিলাফত কায়েমের অভিলাষী আইসিস যোদ্ধাদের নির্মূল করতে কয়েকটি ন্যাটো সদস্য এক "কোর কোয়ালিশন" গঠন করেছে।
কেরি বলেন, এখন আইসিসকে রোধ করার কোন নীতি নেই। এতে তিনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আরও বিমান হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে আভাস দিলেন। কেরি বলেন, আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিকল্পনা চলতি মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক বৈঠকের আগেই অবশ্যই তৈরি করতে হবে। আমাদের প্রয়োজন তাদের এমনভাবে আক্রমণ করা, যাতে তারা ভূখ- দখল না করতে পারে। আমাদের প্রয়োজন আমাদের নিজস্ব সৈন্যদের মোতায়েন না করে ওই অঞ্চলের ইরাকী নিরাপত্তা বাহিনী এবং আইসিসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত এমন অন্যদের শক্তিশালী করা। তিনি বলেন, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আগামী দিনগুলোতে আইসিসকে ধ্বংস করার সামর্থ্য আমাদের থাকবে। এতে এক, দু' বা তিন বছর লাগতে পারে। কিন্তু আমরা ওই কাজে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সারদা-তদন্তে এবার সিবিআইয়ের হাতে লকারের চাবি, মিলবে গুরুত্বপূর্ণ নথি,দাবি তদন্তকারীদের
সারদা তদন্তে এবার সিবিআই-এর হাতে লকারের চাবি৷ প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার বাড়িতে তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত চাবি৷ মিলবে গুরুত্বপূর্ণ নথি, আশা তদন্তকারীদের৷ ... আরও»
সারদা মামলায় আদালতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার দাবি কুণাল ঘোষের
সারদা কেলেঙ্কারির প্রকৃত ষড়যন্ত্রের হদিশ পেতে হলে সিবিআইয়ের উচিত মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর এবং লাটে ওঠা অর্থ লগ্নি সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা। ... আরও»
ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠস্বর নকল করে তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে টাকা আদায়, গ্রেফতার মহিলা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠস্বর নকল করে ফোন করে খোদ তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকেই মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের অভিযোগ। এভাবে প্রতারণার করার দায়ে পুলিশের জালে এক মহিলা। ... আরও»
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটা-দুটো খারাপ ঘটনাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
ফের কার্যত সেই ছোট ঘটনার তত্ত্ব। এবার বিষয়-শিক্ষা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটা-দুটো খারাপ ঘটনা ঘটছে। অথচ শিক্ষা মানেই অশান্তি দেখানো হচ্ছে। শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে এ ভাবেই সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ... আরও»
সারদার সঙ্গে চুক্তির কথা স্বীকার আইআরসিটিসি-র, ভোলবদল মুকুলের
আইআরসিটিসি তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'ভারততীর্থ' প্রকল্পের অধীনে, তিনটি ট্যুরের মধ্যে দু'টিতে, অন্যান্য ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসও তাদের যাত্রীদের তুলেছিল। ... আরও»
থানায় 'চড়াও' অনুগামীরা, হাইকোর্টে ডিজির ক্লিনচিট অনুব্রতকে!
একই দিনে দুটো ছবি যেন প্রতীকি! রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ পদাধিকারী ডিজিপি হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতকে ক্লিনচিট দিচ্ছেন। আর সেই একই দিনে থানায় 'চড়াও' অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। ... আরও»
। ... আরও»
'পর্নোগ্রাফি করতে চাপ', স্বামীকে হত্যা, ধৃত দক্ষিণী অভিনেত্রী
স্বামীকে হত্যার অভিযোগে চেন্নাই পুলিশ ব্যাঙ্গালোর থেকে ২২ বছরের দক্ষিণী সিনেমা অভিনেত্রী শ্রুতি চন্দ্রলেখাকে গ্রেফতার করল। পর্নোগ্রাফি সিনেমার জন্য তাঁর ওপর জোরজবরদস্তি করার কারণেই তিতিবিরক্ত হয়ে স্বা ... আরও»
গ্রামের 'মঙ্গলের' জন্য কুকুরের সঙ্গে বিয়ে তরুণীর
ঝাড়খন্ডের এক গ্রামের মোড়লরা সন্দেহ করেন, ওই তরুণীর ওপর ভূত ভর করেছে। ভৌতিক প্রভাব কাটাতে তাঁরা ওই তরুণীর সঙ্গে কুকুরের বিয়ের নিদান দেন। ... আরও»
সল্টলেকে ফের ছিনতাইয়ের শিকার এক মহিলা, ঠিকানা জানার অজুহাতে কার্যসিদ্ধি
ফের সল্টলেকে ছিনতাই। বাড়ির কাছেই ছিনতাইবাজদের হামলার শিকার এক মহিলা। ঠিকানা জানার অজুহাতে মহিলার গলা থেকে সোনার হার ছিনতাই করে চম্পট বাইক আরোহী দুষ্কৃতীদের। অভিযোগ দায়ের বিধাননগর দক্ষিণ থানায়। ... আরও»
পরিচারিকাকে ধর্ষণ, ভিডিও রেকর্ডিং করে ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগে গ্রেফতার যুবক
পরিচারিকাকে আট মাস ধরে ধর্ষণ ও ভিডিও রেকর্ডিং করে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগে গ্রেফতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা এক যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারিণীর দাবি, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তিনি ওই বাড়িতে পরিচারিকার ... আরও»
গণপতিকে নিয়ে রসিকতার জন্য রামগোপালের বিরুদ্ধে মামলা
রাম গোপাল ভার্মার মন্তব্যে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ আহত হয়েছে বলে ওই অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। আন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। ... আরও»
এলিজাবেথ হার্লিকে চুম্বনের জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড!
স্বপ্ন-সুন্দরীর ঠোঁটে একবার চুম্বন এঁকে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার পাউন্ড খরচ করতেও পিছপা হলেন না এক ব্যক্তি। ... আরও»
গড়িয়াহাট রোডে আচমকা ধস নেমে যান চলাচলে বিপত্তি
গড়িয়াহাট রোডে হঠাত্ই ধস নেমে বিপত্তি। অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ যাদবপুরগামী একটি বাস ঢাকুরিয়া ব্রিজ থেকে নামার পরই গড়িয়াহাট রোডে ধস নামে। ... আরও»
পুজোর মুখে বন্ধ হল টিটাগড় ওয়াগন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্প কমিটির বৈঠক শেষ হওয়ার পরে ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। বন্ধ হয়ে গেল টিটাগড় ওয়াগন। নিয়মমতো শ্রমিকদের আর্থিক সুবিধা না দেওয়ার প্রতিবাদ জানানোয় শ্রমিক-মালিক টানাপড়েনের জেরে আচমকাই বন্ধ হয়ে গেল টিটাগড় ওয়াগন। মূলত ভারতীয় রেলকে ওয়াগন সরবরাহ করত এই সংস্থা। শুক্রবার মধ্য রাতে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে ওই কারখানার গেটে কর্তৃপক্ষ 'সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক'-এর নোটিস ঝুলিয়ে দেন। এর ফলে পুজোর মুখে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল কারখানার প্রায় সাতশো কর্মীর ভবিষ্যত্।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ধূপগুড়ির তদন্তে সর্বত্র 'ছায়াসঙ্গী' তৃণমূল
এ যেন ফুটবলের মতো 'ম্যান মার্কিং'। যেখানে মৃত ছাত্রীটিকে নিয়ে সভা, আলোচনা বা তদন্ত, সেখানেই পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁরা। বোঝানোর চেষ্টা করছেন: ধর্ষণ-টর্ষণ কিছু হয়নি, এ নিছকই আত্মহত্যা। স্কুলের শোকসভায় শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তাঁরা হাজির। আবার তদন্তকারীদের প্রশ্নের জবাব দিতেও সকলকে হটিয়ে তাঁরাই অগ্রণী।
নিজস্ব প্রতিবেদন
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
প্রতিবাদী মেয়েটির খাতায় শক্তির কবিতা
ভৌতবিজ্ঞান খাতার শেষ পৃষ্ঠায় নীল কালিতে লেখা কবিতার পঙ্ক্তি। 'নদী নদী নদী সোজা যেতিস যদি সঙ্গে যেতুম তোর আমি জীবনভর।" কিন্তু যার খাতা সে চলে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে বাড়ি থেকে সামান্য দূরে রেললাইনের পাশে পাওয়া গিয়েছে তার ক্ষতবিক্ষত বিবস্ত্র দেহ। কিছু দূরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল তার পোশাক।
অনির্বাণ রায়
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
মমতা-সারদা যোগের খুঁটিনাটি জানতে কুণালকে চায় সিবিআই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সারদা-রেলের চুক্তির নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ। তদন্তে নেমে এ রকমই তথ্য পেয়েছেন সিবিআই-এর গোয়েন্দারা। ইডি-কে লেখা চিঠিতে কালিম্পঙে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সারদা-কর্তার যে বৈঠকের কথা উল্লেখ করেছেন কুণাল, সিবিআই সে সম্পর্কেও সবিস্তার জানতে চায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
পল্টু দাসের বাড়িতে নিতুর লকারের চাবি পেল সিবিআই
সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে এগিয়ে এ বার নতুন আর একটি লকারের সন্ধান পেল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা জানান, দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুকে জেরা করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রয়াত কর্তা পল্টু দাসের সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই নানা নথিপত্রের সঙ্গে মিলেছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কলেজ স্ট্রিট শাখার একটি লকারের চাবি।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
জেরবার মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগলেন সংবাদমাধ্যমকেই
সারদা-তদন্তে জড়িয়ে গিয়েছে তাঁর নাম। তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগে তাঁর পদত্যাগের দাবি পর্যন্ত উঠতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির থেকে। এমন চাপের মুখে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং তাঁর চেনা কায়দায় নিশানা করলেন সেই সংবাদমাধ্যমকেই! তিনি নিজে, তাঁর সরকার বা দলকে 'নিষ্কলঙ্ক' প্রমাণের জন্য শুক্রবার অন্তত কোনও যুক্তিগ্রাহ্য তথ্য শোনা যায়নি মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বিদ্রোহ শিকেয়, সারদা কাঁটায় বেসামাল হিমন্ত
দলের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের গদি কার্যত টলিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এ বার সারদা-মামলায় টালমাটাল তাঁরই রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ! তিনি অসমের প্রাক্তন স্বাস্থ্য ও শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। দলীয় সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগেও গগৈয়ের সঙ্গে সমানে-সমানে টক্কর দেওয়া সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা এখন প্রদেশ কংগ্রেসে অনেকটাই কোণঠাসা। সারদা-তদন্তে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েক জন সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। আঙুল উঠছে হিমন্তের দিকেও। এ সবে তিনি আরও জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
রাজীবাক্ষ রক্ষিত
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
শিক্ষায় অশান্তির অভিযোগ ওড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী
দলের ছাত্র সংগঠনের বিশৃঙ্খল নেতা-কর্মীরা নন, একের পর এক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলার ঘটনা জনসমক্ষে তুলে ধরায় এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোপে পড়ল সংবাদমাধ্যমের একাংশ। শুক্রবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্য, শিক্ষাঙ্গনে দু'-একটি খারাপ ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সে জন্য ১০০ ভাগ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়কে 'আক্রমণ' করা চলবে না।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বঙ্গের ডাক, কিন্তু সিঙ্গাপুর আসছে গুজরাতে
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে রাজ্যের জন্য লগ্নি টানতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী জানুয়ারিতে 'ভাইব্র্যান্ট গুজরাত'-এ সহযোগী দেশ বা 'পার্টনার কান্ট্রি' হিসেবে অংশ নিচ্ছে সেই সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুরের প্রথম সারির শিল্প সংস্থার শীর্ষকর্তারা ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন। বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে লগ্নির বিষয়ে চুক্তি হবে বলেও আশা করছে গুজরাত সরকার।
প্রেমাংশু চৌধুরী
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
শিল্পের দেখা নেই, আরও ৯ কমিটি গড়ল রাজ্য
সরকার গঠনের এক মাসের মাথায় শিল্পপতিদের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বসে তিনি 'কোর কমিটি' গঠনের কথা ঘোষণা করে বলেছিলেন, লগ্নি টানার জন্য দ্রুত প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্য সরকার পিছপা হবে না। তাঁর মন্তব্য ছিল, 'ডু ইট ইমিডিয়েটলি'। সেই 'কোর কমিটি' গড়ার ৩৭ মাস ১৮ দিনের মাথায়, শুক্রবার সেই একই লক্ষ্যে আরও এক গুচ্ছ কমিটি তৈরি করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ক্ষমা চেয়ে নিক মহিলা কমিশন, দাবি বিশ্বভারতীর
কলাভবনের ভিন্-রাজ্যের ছাত্রীর নির্যাতনের ঘটনায় এ বার রাজ্য মহিলা কমিশনের সঙ্গে সংঘাতের পথে গেল বিশ্বভারতী। বুধবার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় বিশ্বভারতীতে পরপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অসহযোগিতার অভিযোগ করে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লেখেন। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিশাখা কমিটির চেয়ারপার্সন মৌসুমী ভট্টাচার্য প্রেস-বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাবি করেন, অসত্য অভিযোগ করে তাঁর 'মানহানি' করার জন্য মহিলা কমিশনকে ক্ষমা চাইতে হবে।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বিশ্বকাপের আগে মানসিকতা মজবুত করতে খাটুক ভারত
ব্রাউনওয়াশ হল না। বিশ্বকাপের আগে একটা বড় শিক্ষা হল। এত দিন আমরা দেখছিলাম, ভারতকে কোনও রকম চাপে ফেলতে পারছে না ইংল্যান্ড। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা প্রথমে ব্যাট করলে তিনশো তুলে দিচ্ছিল। আবার ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করলে, আড়াইশো পেরোতে পারছিল না। শুক্রবারই ওয়ান ডে সিরিজে প্রথম বার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল ধোনিরা, আর পারল না।
অশোক মলহোত্র
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ডেথ বোলিং আর উইকেট 'উপহার' নিয়ে অখুশি ধোনি
ফ্লাশিং মেডোয় সুইস-রাজ
ছাপ্পান্ন বছর পর ইতিহাসের সামনে সুব্রতর টালিগঞ্জ
ইব্রার ইতিহাস, স্পেনের লজ্জা বাড়ছে
দশ বছর অন্তত ক্ষমতায় আছিই, ছাত্রকে জবাব দিয়ে বিতর্কে মোদী
শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক তো ছিলই, এ বার বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন খোদ শিক্ষক প্রধানমন্ত্রীও। অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতার নামেও নরেন্দ্র মোদী রাজনীতিই করেছেন। কিছুটা নজিরবিহীন ভাবেই আজ, শিক্ষক দিবসের দিন গোটা দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে বক্তব্য রাখবেন বলে ঠিক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লিখিত নির্দেশ ছিল না। কিন্তু অলিখিত ভাবে দিল্লি থেকে দেশের প্রতিটি স্কুলে নির্দেশ যায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। ছুটির ঘণ্টা বেজে গেলেও বসে থাকতে হবে পড়ুয়াদের। বাস্তবে হয়েছেও তাই। সকালে বসে এমন অনেক স্কুল আজ তাদের সময় পরিবর্তন করেছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
নিশানায় চিন, এক ঢিলে তিন বার্তা মোদীর
সম্প্রতি জাপান সফরে গিয়ে চিন সম্পর্কে কড়া মন্তব্য করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। মনে করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে এক ঢিলে তিনটি বার্তার কৌশল নিয়েছেন তিনি। সাধারণ ভাবে বিদেশের মাটিতে গিয়ে তৃতীয় কোনও দেশের সম্পর্কে মন্তব্য করা কূটনৈতিক সহবত বা ঐতিহ্যের মধ্যে পড়ে না। সে কথা মোদী জানতেন না, এমনটা নয়। কিন্তু রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, চিন, জাপান এবং আমেরিকা এই তিনটি দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা এবং কূটনৈতিক ক্যালেন্ডার মাথায় রেখেই বেজিং-এর 'আগ্রাসী নীতি' নিয়ে কৌশলগত ভাবেই সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
আয়ুর্বেদকে গুরুত্ব, তোপের মুখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অ্যালোপ্যাথির মতো আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে তুলে ধরার বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। শুধু তাই নয়, ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে আয়ুর্বেদই সেরা মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে বলে তাঁর দাবি। এ বিষয়ে শীঘ্রই বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসবেন বলে জানান। শুক্র বার পানজিমে এক স্বাস্থ্য সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বার্তাকে ঘিরে চিকিৎসক মহলের এক অংশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সোমা মুখোপাধ্যায়
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
গোষ্ঠী-সংঘর্ষ কালিয়াচকে, মন্ত্রীকে যেতে নিষেধ পুলিশের
এলাকার দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে। রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রর দাবি, দু'পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে মালদহের কালিয়াচকের মোজমপুরে শাসক দলের এক পঞ্চায়েত সদস্যাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়েছে খবর পেয়ে এলাকায় যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি এই যুক্তিতে তাঁকে সেখানে যেতে দেননি পুলিশ-কর্তারা।
নিজস্ব সংবাদদাতা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ব্যবসা
সহারা জামিনের টাকা তুলতে
চায় হোটেল বন্ধক রেখেই
সুব্রত রায়কে জেল থেকে ছাড়ানোর টাকা জোগাড় করতে একেবারে প্রথম ধাপেই বিদেশের হোটেলগুলি বিক্রি করে দিতে চাইছে না সহারা। বরং এই মুহূর্তে সেগুলি বন্ধক রেখে জামিনের ১০ হাজার কোটি টাকা তুলতেই তারা বেশি আগ্রহী। সংস্থার নিউ ইয়র্ক ও লন্ডনের তিনটি হোটেল বিক্রি নিয়ে সুব্রতবাবুর আলাপ-আলোচনা চালানো প্রসঙ্গে শুক্রবার এই দাবিই করেছেন এক আধিকারিক।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
দেশ
দীর্ঘদিন বিচারাধীন
বন্দিদের মুক্তির নির্দেশ
অপরাধ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ যে শাস্তি, তার অর্ধেক ভোগ করা হয়ে গিয়েছে। অথচ, বিচার শেষ হচ্ছে না। ঘুচছে না জেলের বন্দিদশাও। দেশের বিভিন্ন জেলে এমন বন্দির সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। এই বন্দিদেরই আজ মুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, কোনও বিচারাধীন বন্দি যদি তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির অর্ধেকের বেশি কারাবাস ভোগ করে ফেলেন, তবে তাঁকে জামিনে মুক্তি দিতে হবে সংশ্লিষ্ট আদালতকে। বিচারাধীন বন্দিদের কারাগারের অন্তরালে বছরের পর বছর নির্বিচারে কাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এই প্রথম নয়। এর আগেও কয়েক বার এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
স্বাস্থ্য
জেই-তে ফের মৃত্যু,
দোসর ডেঙ্গিও
নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়েও রাজ্যে জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের দাপট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ওই মারণ রোগে আক্রান্ত বীরভূমের এক রোগী বৃহস্পতিবার কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। রফিকুল রহমান (৬৫) নামে বীরভূমের মুরারইয়ের ওই রোগী ২৬ অগস্ট নীলরতনে ভর্তি হয়েছিলেন। বুধবার রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মৃত্যু হয় পরের দিন সকালে। হাসপাতালের তরফে ওই দিন দুপুরেই মৃত্যুর খবর পাঠানো হয়েছিল স্বাস্থ্য ভবনে। তবে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী সরকারি ভাবে তা জানান শুক্রবার।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
রাজ্য
আজ শহরে
আসছেন অমিত শাহ
আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করে দিচ্ছে বিজেপি। আজ, শনিবার মধ্য কলকাতায় দলের সদর দফতর লাগোয়া মাহেশ্বরী সদনে শুরু হচ্ছে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির দু' দিনের বৈঠক। সেখানে ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আজ সন্ধ্যায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কলকাতায় আসছেন। সভাপতি হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম পশ্চিমবঙ্গ সফর। দলের সর্বোচ্চ নেতা রাতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
উত্তরবঙ্গ
নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে
ফের আক্রমণ গুরুঙ্গের
উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় থেকে নামার পরপরই ফেসবুকে নতুন করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। তারপর এ দিন, শুক্রবার শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একটি সভায় গুরুঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করে তাঁর বিরুদ্ধে ফের সুর চড়িয়েছেন।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
হাওড়া ও হুগলি
চার্জশিট সাত পুলিশকর্মীর
বিরুদ্ধে, নাম বাদ বিধায়কের
পুলিশি হেফাজতে তৃণমূল নেতা শেখ নাসিরুদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় ধনেখালি থানার তৎকালীন ওসি-সহ সাত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল সিবিআই। যদিও ওই ঘটনায় বারেবারেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল যে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে, ধনেখালির বিধায়ক সেই অসীমা পাত্রের নাম চার্জশিটে নেই বলেই সিবিআই সূত্রের খবর।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
দেশ
নেহরু নয়, মোদীময়
শিশু দিবস চায় কেন্দ্র
শিক্ষক দিবসের পরে নরেন্দ্র মোদীর গন্তব্য শিশু দিবস। আজ 'শিক্ষক দিবস'কে মোদীময় করে তোলার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বার 'শিশু দিবস'কে জওহরলাল নেহরুর ঐতিহ্য থেকে দূরে সরাতে উদ্যোগী হলেন তিনি। নেহরু-গাঁধীদের প্রভাব কমিয়ে কংগ্রেস-বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের গুরুত্ব বাড়ানোর কাজ গোড়া থেকেই শুরু করেছে মোদী সরকার।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা
কী ভাবে ফুটবলারদের সঙ্গে
খেলতে হয় জানা আছে, বললেন অহলুওয়ালিয়া
পাহাড়ের ভোটে তৃণমূল প্রার্থী ভাইচুং ভুটিয়াকে পরাস্ত করে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ এসএস অহলুওয়ালিয়া। বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রচারে এসে সেই প্রসঙ্গ তুললেন তিনি।
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
Amit Shah
Amit Shah | |
---|---|
President of the Bharatiya Janata Party | |
Incumbent | |
Assumed office 9 July 2014 | |
Preceded by | Rajnath Singh |
MLA, Naranpura | |
Incumbent | |
Assumed office 2012 | |
Constituency | Naranpura |
MLA, Sarkhej | |
In office 1997–2012 | |
Preceded by | Harishchandra Lavjibhai Patel |
Constituency | Sarkhej |
Personal details | |
Born | Amitbhai Anilchandra Shah 22 October 1964 (age 49)[1] Mumbai, India |
Political party | Bharatiya Janata Party |
Spouse(s) | Sonal Shah |
Children | Jay |
Alma mater | CU Shah Science College |
Religion | Jainism[2][3][4] |
Amit Shah (born Oct 22, 1964) is an Indian politician from Gujarat and the current president of Bharatiya Janata Party (BJP).[5]
Shah was elected as an MLA from Sarkhej in four consecutive elections: 1997 (bye-election), 1998, 2002 and 2007. He is a close associate of the Indian Prime Minister Narendra Modi, and held a number portfolios in Government of Gujarat, when Modi was the Chief Minister. In 2010, Shah was accused of orchestrating two fake police encounters, which happened during his tenure as the Gujarat Home Minister. He was forced to resign, and arrested. Shah maintains that all the accusations against him are false, and are the result of a "witch-hunt" by his political opponents belonging to the Indian National Congress. Shah was later granted bail, on the condition that he will not stay in Gujarat. He was allowed to return to Gujarat in 2012, and won Assembly elections from Naranpura.
For the 2014 Lok Sabha elections, BJP made Shah the party's in-charge forUttar Pradesh, where it had not done well in the past few elections. BJP emerged as the single largest party in the state, registering its best ever performance by winning 71 out of 80 seats. As a result, Shah rose to national prominence and was appointed as the party's President in July 2014.
Contents
Early life[edit]
Amit Shah was born in Mumbai, in a well-to-do family. His father Anilchandra Shah, a businessman from Mansa, owned a successful PVC pipe business.[6] Amit Shah did his schooling in Mehsana, and then moved to Ahmedabad to studybiochemistry at CU Shah Science College. He graduated with a B.Sc. degree in biochemistry, and then worked for his father's business.[6] He also worked as a stockbroker and in co-operative banks in Ahmedabad.[7]
Shah was involved with the Rashtriya Swayamsevak Sangh (RSS) since childhood, participating in the neighbourhoodshakhas (branches) as a boy. He formally became a RSS swyamsevak (volunteer) during his college days in Ahmedabad.[8]He first met Narendra Modi in 1982, in the Ahmedabad RSS circles.[8] At that time, Modi was a minor RSS pracharak, working as in-charge of youth activities in city.[6]
Early political career[edit]
Amit Shah started his political career as a leader of RSS's student wing Akhil Bharatiya Vidyarthi Parishad (ABVP) in 1983.[8][9] He joined BJP in 1986, one year before Modi joined the party.[6] He became an activist of BJP's youth wingBharatiya Janata Yuva Morcha (BJYM) in 1987. He then gradually rose in the BJYM hierarchy, holding various posts including that of ward secretary, taluka secretary, state secretary, vice-president, and general secretary.[8] He campaigned for Lal Krishna Advani in Gandhinagar during the 1991 Lok Sabha elections.[1]
In 1995, BJP formed its first government in Gujarat, with Keshubhai Patel as the Chief Minister. At that time, BJP's main rivalIndian National Congress was highly influential in rural Gujarat. Modi and Shah worked together to decimate Congress in the rural areas. Their strategy was to find the second most influential leader in every village, and get him or her to join BJP. They created a network of 8,000 influential rural leaders who had lost elections to the pradhan (village chief) post in their village.[8]
Shah and Modi used the same strategy to reduce Congress' influence over the state's powerful co-operatives, which play an important role in the state's economy. In 1999, Shah was elected as the President of Ahmedabad District Cooperative Bank (ADCB), the biggest cooperative bank in India. In Gujarat, such elections had traditionally been won on the casteconsiderations, and the co-operative banks had traditionally been controlled by Patels, Gaderias and Kshatriyas. Despite not belonging to any of these castes, Shah managed to win the election. At that time, the bank was on the verge of collapsing, having accumulated losses of 36 crore. Shah turned around the bank's fortune within an year's time: the next year, the bank registered a profit of 27 crore. By 2014, the bank's profit had increased to around 250 crore.[8] Shah also ensured that 11 of the Bank's 22 directors were his loyalists in the BJP.[6]
Modi and Shah also sought to reduce the Congress hold over sports bodies in the state.[8] Shah served as the President of Gujarat State Chess Association.[9] In 2009, he became the vice-president of the cash-rich Gujarat Cricket Association(GCA), when Narendra Modi served as its President.[6] Much later, in 2014, he became the President of GCA.
Modi, who had become a general secretary in the party's state unit by the early 1990s, used his influence to get bigger roles for Shah. He convinced Patel to appoint Shah as the chairman of the Gujarat State Financial Corporation, a public sector financial institution which finances small and medium-scale enterprises. After Shankersinh Vaghela and some other leaders complained about Modi's growing clout in the Gujarat government, the party leadership moved Modi out of Gujarat, to the BJP headquarters in Delhi. During this time (1995-2001), Shah served as Modi's informer in Gujarat.[6]
In 1997, Modi lobbied to get Shah a BJP ticket for the Gujarat Legislative Assembly by-election in Sarkhej.[10] Shah became an MLA in February 1997 after winning the by-election.[11] He retained his seat in the 1998 Assembly elections.
As a Gujarat minister[edit]
In October 2001, BJP replaced Keshubhai Patel with Narendra Modi as the chief minister of Gujarat, following allegations of inefficient administration. Over the next few years, Modi and Shah gradually sidelined their political rivals.[6]
Amit Shah contested the 2002 Assembly election from the Sarkhej constituency in Ahmedabad. He won by the highest margin among all candidates: 158,036 votes. In the 2007 Assembly election, he won from Sarkhej again, improving his margin of victory.[9]
During Narendra Modi's twelve-year tenure as the Gujarat CM, Shah emerged as one of the most powerful leaders in Gujarat. After winning the 2002 elections, he became the youngest minister in the Modi government, and was given multiple portfolios.[1] At one time, he held 12 portfolios: Home, Law and Justice, Prison, Border Security, Civil Defence, Excise, Transport, Prohibition, Home Guards, Gram Rakshak Dal, Police Housing, and Legislative and Parliamentary Affairs.[6]
In 2003, the Congress-led Central Government announced its intention to repeal the Prevention of Terrorism Act, calling it regressive. Amit Shah piloted the Gujarat Control of Organised Crime (Amendment) Bill through Gujarat state assembly amid an opposition walk-out.[12] Shah also played an important role in convincing the Narendra Modi government to pass theGujarat Freedom of Religion Act, which made religious conversions difficult in the Hindu-majority Gujarat. His opponents argued that the Act went against the rights guaranteed by the Indian Constitution, but Shah defended the bill, calling it a measure against forced conversions. His efforts in getting the bill passed impressed the senior leadership of RSS.[8]
Fake encounter case[edit]
In 2010, Amit Shah was accused of having orchestrated the extrajudicial killings of a criminal Sohrabuddin Sheikh, his wife Kauser Bi and his criminal associate Tulsiram Prajapati. According to the CBI, Sohrabuddin had been harassing somemarble traders of Rajasthan, by demanding hefty protection money. Two of these marble traders paid Amit Shah to eliminate Sohrabuddin. Amit Shah, along with the police officers DIG DG Vanzara and SP Rajkumar Pandian, allegedly hatched a plan to kill Sohrabuddin. In 2004, DCP Abhay Chudasama pressured Sohrabuddin and Tulsiram to fire at the office of two builder brothers - Raman Patel and Dashrath Patel. This was done so that a fresh criminal case could be registered against Sohrabuddin and Tulsiram. The next year, the police picked up Sohrabuddin, Kausar Bi and Tulsiram, and took them to a farmhouse near Ahmedabad. Sohrabuddin was killed in a staged attack, with Vanzara claiming that he was a Lashkar-e-Taiba operative. Kausar Bi was also killed and cremated for being a witness. Tulsiram was initially let off, as he was an informer of Vanzara. He was eliminated later, after Sohrabuddin's death was exposed as an extrajudicial killing by a journalist. CBI claimed that Amit Shah had transferred Vanzara to various places in order to facilitate these killings.[13][14]
Vanzara and several other officers were arrested in the case. As proof of Amit Shah's involvement in the crimes, the CBI presented phone call records, which showed that Shah had been in touch with the accused police officers when the victims were in their illegal custody. It also presented video tapes of Patel brothers' conversations with two of Amit Shah's associates at Ahmedabad District Cooperative Bank (ADCB). In the tape, ADCB Director Yashpal Chudasama and its Chairman Ajay Patel can be seen asking the brothers not to involve Amit Shah's name in the case. Yashpal Chudasama is the brother of the accused police officer Abhay Chudasama. According to CBI, Abhay used to run an extortion racket, with Sohrabuddin as his henchman.[15] The Patel brothers, who had several criminal cases against them, also spoke against Amit Shah. They claimed that the police had falsely implicated them into various cases between 2001-2005 in order to extort money from them. They also claimed that Vanzara made them talk to Amit Shah over phone, and Amit Shah threatened them into giving a statement against Sohrabuddin and Tulsiram. They further stated that, in 2006, Ajay Patel and Abhay Chudasama called them again on behalf of Amit Shah, asking them to give certain statements to CBI.[16]
Shah dismissed all the accusations against him as politically motivated. He pointed out that during his tenure as the Home Minister, Gujarat was one of the states with minimum number of police encounters in the country. He stated that he kept in touch with the police officers on the phone in the normal course of his duties as the home minister.[17] He accused the Congress of misusing CBI, and claimed that only the encounter cases in Gujarat were being scrutinized when the rest of the country had witnessed around 1500 encounters during the same period.[18] He said that if CBI had any solid evidence against him, it would have been able to frame him.[6] In 2010, Police Commissioner Geeta Johri, who first investigated the case, claimed that CBI was pressurizing her to falsely implicate Amit Shah in the Sohrabuddin case.[19]
DG Vanzara was also accused in the Ishrat Jahan fake encounter case, but the CBI gave Amit Shah a clean chit in the case.[20]
Other controversies[edit]
Shah and Modi have been accused of sidelining the police officers who testified against the Gujarat government in cases related to the fake encounters and the 2002 riots. Additional DGP R. B. Sreekumar, who gave evidence to the Nanavati-Shah commission, was allegedly denied promotion. Rahul Sharma, who handed over phone records of police officers and politicians to the Commission, was charged with violating the Official Secrets Act. Additional DGP Kuldeep Sharma alleged that he had been moved from the police department to Gujarat State Sheep and Wool Development Corporation, after he accused Shah of taking a bribe of Rs 2.5 crore to bail out a conman who fraudulently withdrew Rs 1,600 crore from the Madhavpura Mercantile Cooperative Bank. Kuldeep Sharma was later made advisor to the central home ministry by the Congress government. His brother Pradeep Sharma was imprisoned in Gujarat from 2010 to 2011 on corruption charges. The brothers claim that the Gujarat Government was harassing them.[6] Shah has also been accused of manipulated the electoral constituency delimitation exercise in Gujarat to favour BJP.[10]
Later, in 2013, Shah was accused of having ordered illegal surveillance on a woman in 2009, during his tenure as a home minister. The investigative websites Cobrapost and Gulail released a set of taped audio conversations between Amit Shah and police officer GL Singhal. The tapes had been submitted to the CBI in the Ishrat Jahan fake encounter case, and were leaked to these portals. The calls detail how the state machinery was used to surveil the woman and the IAS officer Pradeep Sharma (who was suspended by the Gujarat Government). Both Singhal and Shah repeatedly refer to a higher authority asSaheb, believed to be the Chief Minister Narendra Modi.[21] BJP's political opponents demanded a probe in this "Snoopgate" case. However, in May 2014, the woman approached the Supreme Court and stated that the surveillance on her was based on a "personal request", and she was thankful to the Gujarat government for ensuring her safety. She requested the court to block any investigation, stating that it would violate her privacy.[22]
Shah denied all the accusations against him, calling them political propaganda by his opponents.[6]
Arrest and exile[edit]
Amit Shah was arrested on 25 July 2010 in connection with the Sohrabuddin case. He was charged with the murder, extortion and kidnapping among other charges. At one time, Shah was considered as one of the main contenders for the Gujarat Chief Minister's post. However, his political career was hurt by the arrest. Many leaders in the Gujarat government distance themselves from him. His fellow ministers issued statements, criticizing him as an autocratic person, who did not have good relations with his colleagues.[9]
When Amit Shah applied for bail, the CBI raised concerns that he would use his political power to prevent justice from taking its course.[6] The Gujarat High Court granted him bail three months after his arrest, on Friday, 29 October 2010. However, the next day, when the courts were closed, Justice Aftab Alam took a petition at his residence to bar him from entering Gujarat.[8] Shah was thus forcibly exiled from the state from 2010 to 2012.[6] He and his wife moved to a room in Gujarat Bhawan, Delhi.[8] Later, the Supreme Court canceled his bail on a CBI plea. In September 2012, the Supreme Court granted him bail, and allowed him to return to Gujarat. He then contested and won the 2012 Assembly election from Naranpuraconstituency (the Sarkhej constituency had ceased to exist after delimitation).[9]
National politics[edit]
After Narendra Modi became the Prime Ministerial candidate of BJP, Shah's influence also increased in the party. The two have been accused of sidelining other senior BJP leaders such as Lal Krishna Advani, Sushma Swaraj, Murli Manohar Joshiand Jaswant Singh.[6] By this time, Amit Shah had gained recognition as an excellent election campaign manager, and had been dubbed a "modern day Chanakya and master strategist".[23] Shah was appointed as a BJP general secretary, and was given charge of Uttar Pradesh (UP). He was chosen not by Modi, but by Rajnath Singh, who had been impressed by the skills that Shah displayed in wresting control of various Congress-controlled organizations in Gujarat.[8] The decision did not go well down with many in the party, who saw him as a liability owing to the criminal charges against him. Political analysts such as Shekhar Gupta termed the decision as a blunder.[24]
Uttar Pradesh general elections[edit]
Amit Shah's political career, which had tanked after his arrest in 2010, revived after BJP's massive victory in the 2014 general election. In UP, where Shah was the in-charge, BJP won 71 out of 80 seats. Shah had been made in-charge of BJP's UP campaigning on 12 June 2013, less than an year before the elections.[6] Since February 2012, Shah had spent considerable time in UP, trying to understand the reasons for the Samajwadi Party's winning performance in the 2012 UP Assembly elections. Shah realized that the voters were dissatisfied with the Samajwadi Party, which he believed had failed to keep its election promises after the win. He also took advantage of the OBC vote bank's displeasure with the UP government's decision to create 4.5% reservation for the minorities within the 27% OBC quota.[6]
Shah personally oversaw the candidate selection, emphasizing on the candidate's local clout and winning potential as the only criteria for selection, as opposed to the candidate's party loyalty or ideology. His team estimated that only 35% of the BJP's traditional supporters had actually voted in the UP elections. Therefore, he focused on door-to-door campaigning at the booth-level. He set up a 7-to-10 member management committee for each of the 140,000 voting booths in the state. For each booth, his team collated lists of voters and reached out to them.[6] Shah's team used 450 GPS-enabled mobile vans ("video raths") to reach out to the masses in remote areas, where media reach was negligible.[25] Shah personally covered 76 out of 80 Lok Sabha constituencies. He also insisted on Modi contesting election from Varanasi.[26]
Shah convinced Modi to utilize RSS volunteers for grassroots campaigning, which proved highly beneficial for BJP.[26]Although RSS officially did not get involved in electioneering, Shah used its volunteers to mobilize and monitor the campaigners. For example, the RSS volunteers would cross-check a BJP worker's claims of having targeted a given number of households.[6] Shah also helped organize "mega rallies" for Modi. Like other major political parties, BJP provisioned one van per village to transport people to the rally venue. However, unlike others, Shah decided that BJP would not provide money for hiring these vehicles. Instead, he declared that the party workers organizing the transportation would be made the leader of the BJP unit in their respective villages. This strategy ensured that a number of local village leaders developed a stake in Modi's victory.[8]
Critics accused Amit Shah of trying to polarize the UP voters along the religious lines. While visiting Ayodhya for a meeting with the party's local committee, he raised the Ram Janmabhoomi temple issue (see Ayodhya dispute). BJP fielded three candidates accused of inciting violence during the 2013 Muzaffarnagar riots. These were seen as attempts to target the party's Hindu nationalist base.[6] An FIR was registered against Shah for a speech in Muzaffarnagar, where he urged the voters to seek "revenge" through their votes.[10]
Shah also played an important role in BJP's election campaigning strategy outside Uttar Pradesh. He focused on building Modi's larger-than-life image as a strong leader. At times, he opposed even Modi on several strategic campaigning issues. For example, when Modi praised his opponent and prospective post-poll ally Mamata Banerjee, Shah insisted that BJP must not divert from the "Modi-versus-all" tactic.[26] Shah was also responsible for forging BJP's alliances with regional parties likePattali Makkal Katchi.[10]
BJP President[edit]
In July 2014, BJP's Central Parliamentary Board unanimously approved Amit Shah's appointment as the President of the party.[27] As a prominent politician, he receives Z plus security Cover from Government.[28]
Electoral record[edit]
Since 1989, Shah has fought 28 elections to the Gujarat State Assembly and various local bodies. As of 2014, he has never lost an election.[8]
Election | Year | Constituency | Result | Votes | % Votes | Source |
---|---|---|---|---|---|---|
Gujarat Legislative Assembly (by-election) | 1997 | Sarkhej | Won | 76839 | 56.10% | [29] |
Gujarat Legislative Assembly | 1998 | Sarkhej | Won | 193,373 | 69.81% | [30] |
Gujarat Legislative Assembly | 2002 | Sarkhej | Won | 288,327 | 66.98% | [31] |
Gujarat Legislative Assembly | 2007 | Sarkhej | Won | 407,659 | 68.00% | [32] |
Gujarat Legislative Assembly | 2012 | Naranpura | Won | 103,988 | 69.19% | [33] |
Personal life[edit]
Amit Shah is married to Sonal Shah, and the couple has a son named Jay. Shah was very close to his mother, who died from an illness on 8 June 2010, around a month before his arrest on 25 July.[6][8] People close to Amit Shah have described him as someone who does not like to socialize much.[34]
References[edit]
- ^ a b c Subhash Mishra and Pratul Sharma (7 July 2013)."In UP, Shah prepares for Modi ahead of 2014 battle".Indian Express.
- ^ "Amit Shah rises". The Economist. 2014-06-09.
- ^ Once behind Modi, Jains question Bill, Indian Express
- ^ What makes Amit Shah so powerful in Gujarat, Aakar Patel
- ^ "Amit Shah elected new BJP president". Patrika Group. 9 July 2014. Retrieved 9 July 2014.
- ^ a b c d e f g h i j k l m n o p q r s t u Poornima Joshi (1 April 2014). "The Organiser". Caravan.
- ^ Sheela Bhatt (28 July 2010). "What Amit Shah's fall really means". rediff.com.
- ^ a b c d e f g h i j k l m n PR Ramesh (11 April 2014). "His Master's Mind". Open.
- ^ a b c d e "Who is Amit Shah?". NDTV. 12 June 2013.
- ^ a b c d "The importance of Amit Shah". Mumbai Mirror. 7 April 2014.
- ^ Andy Marino (8 April 2014). Narendra Modi: A Political Biography. HarperCollins Publishers India. pp. 76–.ISBN 978-93-5136-218-0.
- ^ "Gujarat keeps a terror law spare". The Telegraph(Calcutta, India). 3 June 2004.
- ^ "The journalist who cracked Gujarat fake encounter case". rediff.com. 25 April 2007.
- ^ Abhishek Sharan (26 July 2010). "'Cop transfers part of Shah plan'". Hindustan Times.
- ^ Bhupendra Chaubey (26 July 2010). "CBI 'proof' against Shah: Sohrabuddin tapes". CNN-IBN.
- ^ "He (Amit Shah) smiled and said Sohrabuddin had himself closed the option of keeping himself alive...".Indian Express. 24 November 2011.
- ^ Aman Sharma (14 November 2013). "CBI to file crucial chargesheets in Gujarat fake encounters' case".Economic times.
- ^ Sheela Bhatt (8 October 2013). "'Encounter cases are politically motivated; non-Gujarat encounters are never scrutinised'". rediff.com.
- ^ J. Venkatesan (29 August 2010). "CBI putting pressure on me: Geeta Johri". The Hindu.
- ^ "CBI clean chit for Amit Shah in Ishrat Jahan encounter case". The Times of India. 7 May 2014.
- ^ "News Detail". Cobrapost.com. Retrieved 2013-12-04.
- ^ Deepshikha Ghosh (6 May 2014). "Snoopgate: 'Thankful' for Surveillance, Woman Tells Supreme Court". NDTV.
- ^ Amit Shah set for bigger role if BJP wins, Vinay Kumar, April 12, 2014
- ^ Shekhar Gupta (8 April 2014). Anticipating India. HarperCollins Publishers India. p. 369. ISBN 978-93-5136-256-2.
- ^ Yojna Gosai (18 May 2014). "Sunday Interview: We had 450 video raths with GPS and I'd get feedback on my mobile, says Amit Shah". Deccan Chronicle.
- ^ a b c Prarthna Gahilote (26 May 2014). "Judgement Day Feast For The Shah Of Shahs". Outlook.
- ^ "BJP strategist & Narendra Modi's confidant Amit Shah appointed party president". Economic Times. 9 July 2014.
- ^ "BJP Leader Amit Shah to get Z-plus security from Central Govt". IANS. news.biharprabha.com. Retrieved 3 July 2014.
- ^ "Bye-Elections 1997: Sarkhej". Election Commission of India. Retrieved 27 June 2014.
- ^ "Constituency Data - Summary: Sarkhej - 1998". Rediff.com. Retrieved 26 June 2014.
- ^ "State Elections 2002: 64-Sarkhej Constituency of Gujarat". Election Commission of India. Retrieved 26 June 2014.
- ^ "State Elections 2007: 64-Sarkhej Constituency of Gujarat". Election Commission of India. Retrieved 26 June 2014.
- ^ "Form-21E: 45-Naranpura". Election Commission of India. Retrieved 26 June 2014.
- ^ Deepal Trivedi (23 July 2010). "Shrewd Modi loyalist able to 'manage everything'". Asian Age.
Party political offices | ||
---|---|---|
Preceded by Rajnath Singh | President of the Bharatiya Janata Party 2014–present | Incumbent |
|
No comments:
Post a Comment