Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter
Follow palashbiswaskl on Twitter

Tuesday, June 4, 2013

WE THE PEOPLE -AGAIN '71হেফাজতের ১৩ দফার বিরুদ্ধে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে! পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির ছাদে ককটেলের বিস্ফোরণ!

WE THE PEOPLE -AGAIN '71



<iframe width="560" height="315" src="http://www.youtube.com/embed/gZ1RV1p61XQ" frameborder="0" allowfullscreen></iframe>

জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিলম্বিত করছে : লাকী


জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টার রাশিদা মানজু

হেফাজতের ১৩ দফার বিরুদ্ধে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে


বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের নারী নির্যাতন প্রতিরোধবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টার রাশিদা মানজু বলেছেন, 'আমি হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা সম্পর্কে অবগত। বাংলাদেশের সংবিধান নারী-পুরুষের সমান অধিকার দিয়েছে। তাই হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফায় প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের চলাফেরাসহ যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা এ দেশের সংবিধানসম্মত নয়। নারীর অধিকার রক্ষার স্বার্থে হেফাজতের এ ধরনের দফার বিরুদ্ধে সরকারকেই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।'
আজ বুধবার নগরের একটি হোটেলে বাংলাদেশের জাতিসংঘ অফিস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একজন গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে রাশিদা এসব কথা বলেন। 
সরকারের আমন্ত্রণে ১৯ মে থেকে বাংলাদেশ সফর করছেন রাশিদা মানজু। ১০ দিনের সফরে সরকারের বিভিন্ন মহলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়াও তিনি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খুলনা ও যশোরে সফর করেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, বার্ন ইউনিট, ঢাকা এবং যশোরে সরকার এবং বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এবং ঢাকা জেলখানার নারী ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন। এ সময়ে তিনি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গেও পৃথকভাবে মতবিনিময় করেছেন। 
সংবাদ সম্মেলনে রাশিদা বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানকার নারীদের সঙ্গে তিনি কথা বলতে পারেননি। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকার নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সফরের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিদা মানজু একটি লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। লিখিত বক্তব্যে তিনি নারী নির্যাতন বন্ধে সরকারের কাছে বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানোর পর তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। 
জাতিসংঘের এ ধরনের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রাশিদা মানজুই প্রথম যিনি বাংলাদেশের নারী নির্যাতন, নির্যাতনের কারণ এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন। এ সফরকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালের জুনে তিনি জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলে একটি সমন্বিত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাশিদা বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের মানুষ বসবাস করে। সবার ধর্ম অনুযায়ী বিয়ে, তালাকের মতো বিষয়গুলো নির্ধারিত হয়। তাই এ দেশে সব ধর্মের নারী-পুরুষের অধিকার রক্ষায় অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ ধরনের আইন প্রণয়ন করা সম্ভব।
এ ধরনের আইন প্রণয়নের ফলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রাশিদা বলেন, এখানে ধর্মীয় রীতি বাদ দেওয়ার বিষয়টি আসছে না। ধর্মীয় রীতির পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দেশের সব নাগরিকের জন্য বিয়ে, তালাক ইত্যাদি বিষয়ে নিবন্ধনসহ একটি আইনি কাঠামো মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে।
রাশিদা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে জাতিসংঘের নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ বা 'সিডও' সনদসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সনদ অনুমোদন ও অনুস্বাক্ষর করা, দেশীয় প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন শক্তিশালী আইন প্রণয়নের কথা তুলে ধরেন তিনি।
তবে সিডও সনদের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধারায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা বলবত্ থাকায় এ সনদ নারীর অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না বলে উল্লেখ করেন রাশিদা। তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে, এ সনদের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ধারা থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তিনি সরকারের প্রতি দ্রুত এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছেন। 
বাংলাদেশে নারীর অধিকার রক্ষায় অনেক ভালো আইন থাকলেও আইনের বাস্তবায়ন এবং বিচারপ্রার্থী নারীদের ভোগান্তি এবং অবশেষে নির্যাতকের সঙ্গে আপস করে ফেলার কথা উল্লেখ করে এ বিষয়েও সরকারকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান রাশিদা। আদিবাসী, প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘু এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের বিষয়টি আলাদা গুরুত্ব দেওয়ার জন্যও তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অভিবাসী নারী শ্রমিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিক, গৃহকর্মীদের সস্তা শ্রমিক ভেবে তাঁদের ওপর যে ধরনের নির্যাতন ও যে ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে, তারও অবসান চান রাশিদা মানজু।
রাশিদা তাঁর লিখিত বক্তব্যের সুপারিশে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া, মেয়ের চেয়ে ছেলে সন্তানকে প্রাধান্য দেওয়াসহ যেসব রীতি বা আচার প্রচলিত, তার পরিবর্তন ঘটানো, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য বৈষম্যহীন সমাজ গঠনসহ মোট সাতটি বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। 
জাতিসংঘের ওই বিশেষ র্যাপোর্টার বলেন, বিশ্বব্যাপী নারী নির্যাতন বর্তমানে একটি উদ্বেগের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে প্রত্যেক দেশের সরকারকেই এ ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা, এ ধরনের নির্যাতন মানবাধিকারের লঙ্ঘন। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রমে এ ধরনের নির্যাতনের পেছনে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যেসব কারণ আছে, সেগুলোকে চিহ্নিত করে তা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।
রাশিদা মানজু দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। জাতিসংঘের এ বিশেষ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাশিদা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় 'কমিশন অন জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি'র সাবেক সংসদীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

Photo


পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির ছাদে ককটেলের বিস্ফোরণ


 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির ইস্কাটন গার্ডেন রোডের বাসভবনে ভোরে তিনটি ককটেল ছোড়া হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। মন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ভোর পাঁচটা ২০ মিনিটে ককটেলগুলো বাসার ছাদে গিয়ে পড়ে। এ সময় মন্ত্রী লন্ডনের হিথ্রো বিমান-বন্দরে ছিলেন। তাঁর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যাওয়ার কথা। তবে বাসায় তাঁর স্বামী ও দুই সন্তান ছিলেন। 
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, বাসার ছাদে ককটেলগুলো বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করে। পরে রমনা বিভাগের পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন পরিদর্শন করেন। 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিস্ফোরণ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হরতালের সমর্থনে বের করা ছাত্রদলের মিছিল থেকে সাতটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশে হল এবং বাংলা একাডেমীর সামনে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আশিকুর রহমান নামের এক ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে।
তিনটি গাড়িতে আগুন: ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেন কয়েকজন যুবক। এরপর মতিঝিলের আরামবাগে আইএফআইসি ব্যাংকের একটি পাজেরো জিপে আগুন দেওয়া হয়।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমান আলী বলেন, গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 
নীলক্ষেত এলাকায় বেলা আড়াইটার দিকে র্যাবের একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া হয়। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, র্যাবের প্রশাসনিক কাজে ব্যবহূত একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। র্যাবের সাদা পোশাকের দুজন সদস্য কিছু প্রাতিষ্ঠানিক কেনাকাটার জন্য ওই এলাকায় যান। তাঁরা গাড়ি রেখে একটি দোকানে গেলে দুর্বৃত্তরা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
বোমা হামলার নিন্দা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির বাসভবনে বোমা হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরের হাইমচরে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগও ছাত্রলীগ এক প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে হাসপাতাল মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বোমা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। চাঁদপুর শহরেও জেলা ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এ ছাড়া চাঁদপুর এবং হাইমচরের বিভিন্ন ইউনিয়নে খণ্ড খণ্ড প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমঝোতার পথে হেফাজত!

সালাহউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম অফিস

অবশেষে হেফাজতে ইসলাম সমঝোতার পথে এগুচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সবকিছুই আলোচনার ভিত্তিতেই হচ্ছে। বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিকবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তা হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে আপাততঃ কৌশলী ভূমিকা নিয়েছে বলে অনেকের অভিমত। তাদের মতে, গত ৫ মে'র ঘটনার পর হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা এবং শীর্ষ নেতৃবৃন্দের আত্মগোপনের ফলে বর্তমানে হেফাজতে ইসলামের ঘুরে দাঁড়ানোর পরিস্থিতি নেই। সরকার দলীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গোয়েন্দা বিভাগের লোকজনের আল্লামা শফির সাথে প্রতিটি বৈঠকে পুলিশি মামলার বিষয়গুলো উঠে আসে। এমনকি তাদের বক্তব্যে হেফাজতে ইসলামকে আন্দোলনের পথ থেকে ফিরে আসার বিষয়গুলোই প্রাধান্য পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। তাছাড়া কওমী মাদ্রাসাসমূহের বার্ষিক পরীক্ষা থাকায় হেফাজতে ইসলামের পক্ষে পত্রিকায় বিবৃতি ও বক্তব্য দেয়া ছাড়া কোন প্রকার বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার তেমন একটা সুযোগ নেই। 

হেফাজতের অনেক নেতৃবৃন্দ বলেন, পরীক্ষাকে সামনে রেখে কোন প্রকার আন্দোলনে না যাওয়াই একটি কৌশল হিসেবে নেয়া হয়েছে। হেফাজতের মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কয়েকদিনের মাথায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর সমঝোতার পথ আরো প্রশস্ত হয়েছে। বাবুনগরীর জবানবন্দিতে ৫ মে'র ঢাকা অবরোধে ১৮ দলের সম্পৃক্ততার বিষয় উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ওই বক্তব্যের পর আল্লামা শফি উক্ত বক্তব্যের ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি সন্ধ্যায় তার স্বাক্ষরিত বক্তব্য পত্রিকায় পাঠানোর পর অজ্ঞাত কারণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহারও করেন। এরপর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একজন অতিরিক্ত ডিআইজি ঢাকার হেফাজতে ইসলামের কয়েকজন নেতৃবৃন্দসহ চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসে আল্লামা শফির সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তা হেফাজতে ইসলাম থেকে জানানো হয়নি।

জানা যায়, ওই বৈঠকেও সরকারের সমঝোতার মনোভাব তুলে ধরা হয়। একই সাথে মামলার বিষয়গুলোও আসে। কিন্তু প্রতিদিন সারা দেশ থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ আল্লামা শফি'র সাথে সাক্ষাত্ করে ১৩ দফা দাবিতে আন্দোলনের কথা বলেন। আল্লামা শফিও তাদের ১৩ দফা দাবি আদায়ে তার কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। সূত্রে জানা যায়, হেফাজতে ইসলাম বর্তমানে সরকারের বিভিন্নমুখী চাপ ও মামলার কারণে সমঝোতায় পৌঁছালেও তা শেষ পর্যন্ত টিকবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। কারণ হেফাজতের দেশব্যাপী নেতা-কর্মীদের যে মনোভাব তা থেকে কেউ পিছপা হতে পারবে না। 

সূত্র জানায়, সরকারের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে বর্তমানে পুলিশী হয়রানি এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। শীর্ষ নেতৃবৃন্দ পলাতক থাকলেও মধ্যম সারির নেতৃবৃন্দ মোটামুটি বিভিন্ন স্থানে বৈঠক ও শলাপরামর্শ করছেন। হেফাজতে ইসলামের নেতা ও ইসলামী ঐক্যজোটের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা আবদুর রহমান বলেছেন, সরকারের অনেকেই আল্লামা শাহ আহমদ শফির সাথে সাক্ষাত্ করেছেন। কিন্তু হুজুর ১৩ দফা আন্দোলনের ব্যাপারে অবিচল রয়েছেন। তিনি বলেন, ১৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন চলবে।


সাময়িক নিষিদ্ধ আশরাফুল

দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন জাতির কাছে

ইত্তেফাক রিপোর্ট

সাময়িক নিষিদ্ধ আশরাফুল
দেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল ক্রিকেট তারকা তিনি; বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেট 'মেগাস্টার'! দেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি দিয়ে অভিষেক হয়েছিল তার। এরপর কার্ডিফে, ম্যানচেস্টারে, ঢাকায়, গলে বারবার তার বীরত্ব দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। সেই মোহাম্মদ আশরাফুল এবার ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হলেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্পট ফিক্সিং এ জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে এই শাস্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুলকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। 

এদিকে একই দিন বিকালে গোটা জাতিকে স্তব্দ করে দিয়ে এ ঘটনার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন আশরাফুল। রাজধানীর বনশ্রীর বাসায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ম্যাচে স্পট ফিক্সিং এ নিজের জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমা চান। সেই সঙ্গে স্বীকার করেন, এক যুগের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অন্তত তিন বার নিজের সঙ্গে, দেশের সঙ্গে, ক্রিকেটের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এ সময় আশরাফুল বলেন, 'আমি পুরো জাতির কাছে, আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার ওপর মানুষের যে বিশ্বাস ছিল, আমি সে বিশ্বাস সবসময় রাখতে পারিনি। আমি অন্যায় করেছি। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।'

আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের (আকসু) কাছে দেয়া স্বীকারোক্তি প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, 'আমি হয়তো কখনো কখনো সত্ থাকতে পারিনি। তবে আইসিসির এই তদন্তে একটাও মিথ্যা কথা বলিনি। আমি যা করেছি, যা জানি; সব বলে দিয়েছি। ক্রিকেটের স্বার্থেই আমি সব সত্য বলে দিয়েছি। আর প্রতারণা করিনি নিজের সঙ্গে।'

এর আগে গতকাল বোর্ডের জরুরি বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, বিপিএল-এ ফিক্সিং বিষয়ক আকসু'র চলমান পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট তারা এখনও হাতে পাননি। তবে আকসুর কাছে আশরাফুল যেহেতু নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাই তদন্ত রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। পরে এ বিষয়ে বিসিবি'র পক্ষ থেকে একটা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়। 

দুর্নীতির ব্যাপারে তাদের 'জিরো টলারেন্স'-এর কথা উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতি বলেন, বিপিএল আসলেই খেলোয়াড়দের পাওনা বিতর্ক, মালিকদের আচরণ, ফিক্সিং বিতর্ক মিলিয়ে একটা 'পেইন'-এ পরিণত হয়েছে। তবে তিনি বিপিএলকে অন্তত একটা স্বচ্ছ ইমেজে ফিরিয়ে আনতে চান। তিনি আরো বলেন, আকসুর বিপিএল নিয়ে তদন্তের ভেতর বাংলাদেশের কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিয়েও সন্দেহ উঠে এসেছে। সেগুলো নিয়ে আইসিসির উদ্যোগে অধিকতর তদন্ত করা হবে। সেই সঙ্গে পাপন সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'অপরাধ করে যাতে কেউ পার না পায়, সেটাই আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা এমন একটা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই, যেখানে চাইলেও অন্যায় করা খুব কঠিন হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে যাদের বিপক্ষে প্রমাণ পাওয়া যাবে, বোর্ডের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।'

প্রসঙ্গত, বিপিএল নিয়ে চলতি বিতর্কটা শুরু হয় ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়া বিপিএলের দ্বিতীয় আসর থেকে। সে আসরের পরপরই আকসু জানায়, এই আসরে কয়েকটি ম্যাচে কয়েকজন খেলোয়াড় ও কয়েকজন কর্মকর্তা অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত। এরপর বিসিবি তাদের অধিকতর তদন্ত করার সবুজ সংকেত দিলে আকসু দফায় দফায় তদন্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে আশরাফুলসহ আরো কয়েকজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পায় তারা। জিজ্ঞাসাবাদে সব স্বীকারও করেন আশরাফুল। তার এই 'প্রতারণা'র স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। 

কোটি মানুষের স্বপ্ন ভাংলেন আশরাফুল !

২০০১ সালে কলম্বোতে মুত্তিয়া মুরালিধরণ, চামিন্দা ভাসের বোলিং এর বিপক্ষে টেস্ট সেঞ্চুরি করে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে অভিষেক হয়েছিল আশরাফুলের। এরপর বাংলাদেশকে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অসামান্য সব জয় এনে দিয়েছে আশরাফুলের ব্যাট। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে 'কামব্যাক' সিরিজে গলে ১৯০ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস খেলে আরেকবার স্বপ্ন দেখান আশরাফুল। কিন্তু সব স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে গেল তার এই স্বীকারোক্তির ভেতর দিয়ে!

পাশাপাশি এই ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রায় এক যুগ দীর্ঘ ক্রিকেট ক্যারিয়ারেরও কার্যত সমাপ্তি ঘটলো আশরাফুলের। ক্যারিয়ারে ৬১টি টেস্ট খেলে ২৭৩৭ রান, ১৭৭টি ওয়ানডে খেলে ৩৪৬৮ রান এবং ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪৫০ রান করেছেন তিনি। তিন ধরনের ক্রিকেটে যথাক্রমে ২১, ১৮ ও ৮টি উইকেট নিয়েছেন আশরাফুল। 

তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন,আশরাফুলের ক্রিকেট ক্যারিয়ার এখানেই শেষ হয়ে যাবে কি-না; সেটা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু একটা বিষয় বেশ স্পষ্ট যে জীবনের এই পর্যায়ে এসে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের চেয়েও যেন তিনি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সবকিছু স্বীকার করাকে। আশরাফুলের বক্তব্যও সেটাই প্রমাণ করে। যখন তিনি বলেন, 'আমি কারো নামে কোনো অভিযোগ করিনি। আইসিসি যা জানতে চেয়েছে, ক্রিকেটের স্বার্থে আমি সব বলেছি। যা অন্যায় করেছি, বলে দিয়েছি। ১২ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই প্রথম আমাকে কোনো তদন্ত সংস্থা ডেকেছে। আমি এবার আর কিছু লুকাইনি। আমি আবারও সবার কাছে ক্ষমা চাই।' 

তারেক ফেরারি আসামি, ব্রিটেনকে জানানো হয়েছে

সাংবাদিক সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি

বিশেষ প্রতিনিধি

তারেক ফেরারি আসামি, ব্রিটেনকে জানানো হয়েছে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তারেক রহমান একজন ফেরারি আসামি। মামলায় হাজিরা দেননি। ইন্টারপোল ও যুক্তরাজ্য সরকারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান আর রাজনীতি করবেন না- এমন অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে বিদেশে যান। তিনি কি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন? দায়িত্ব ত্যাগ করেই তিনি বিদেশে যান। তাই তিনি আর রাজনৈতিক ব্যক্তি নন।

ডা. দীপু মনি বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অনেক মামলার আসামি তিনি। হাজিরা দেন না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, পররাষ্ট্রনীতির বিভিন্ন দিক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল, মহাপরিচালক (বহিঃপ্রচার) শামীম আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ভারত দ্বারা প্রভাবিত- যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক সন্ত্রাসদমন রিপোর্টে এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি একান্তভাবে জনগণের স্বার্থকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়। স্বাধীনতার চেতনা, প্রত্যয় আর স্বপ্নকে মূল ভিত্তি করে বর্তমান সরকার পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করছে। কারো দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা, মানবাধিকার, মানব পাচার, সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে। তাদের নিজস্ব পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ায় তৈরি এসব রিপোর্টে বাংলাদেশের প্রশংসা ও সমালোচনা দুটিই থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল ও কার্যকর। বর্তমান আমলে এ সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জে সমীক্ষা ইস্যুতে বলেন, তাদের প্রদত্ত ব্যাখ্যা ঠিক। একটি বেসরকারি উদ্যোগে সমীক্ষা এটি। ফলাফল ইতিবাচক হলে সরকারকে জানাবে। মন্ত্রী আরো বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে মানবিক কারণে চাল পাঠাবার জন্য অনুমতি চেয়েছে ভারত। বাংলাদেশের নৌ ও সড়ক পথ আমরা শর্ত সাপেক্ষে ব্যবহারের অনুমতি দেবো। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যাপক ও বিস্তৃত। আদান প্রদানের সম্পর্ক নয়। এ সময়ে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের ফলে গার্মেন্টস রফতানি বেড়েছে। ত্রিপুরার পালাটানায় বিদ্যুেকন্দ্র নির্মিত হলে আমরা ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ আমদানি করতে পারব। দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। কাঁচামাল আমদানিও বেড়েছে। এজন্য ভারত নয়, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। এটা অস্বাভাবিক নয়। ডা. দীপু মনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে জিএসপি সুবিধার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আশাকরি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পাব। ইউরোপীয় ইউনিয়নও সহায়তা দিচ্ছে।

মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী

অগণতান্ত্রিক পন্থায় আর কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক পন্থায় আর কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেই পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়াঘাট-সংলগ্ন কুমারভোগ পুনর্বাসন কেন্দ্র মাঠে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ওই কথা বলেন। এ ছাড়া ওই পন্থায় আর যাতে কেউ দেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেদিকেও দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সময়মতো এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। এ দেশকে উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান। 
বিরোধীদলীয় নেতার ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী 'কিসের জোরে তিনি আলটিমেটাম দিলেন' তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি দাবি করেন, 'আমরা কাউকে আলটিমেটাম দেই না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।' 
বিরোধীদলীয় নেতাকে হুঁশিয়ার করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনি মানুষ হত্যা করে সরকার উৎখাত করবেন। এটা পারবেন না। সে চিন্তা বাদ দিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে থাকুন। গণতন্ত্রকে অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে অংশ নিন।'
প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, এ সেতু নিজস্ব অর্থায়নেই হবে। ইতিমধ্যে সেতুর ভূমি অধিগ্রহণসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এর নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখার সভাপতি ফকির আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
প্রধানমন্ত্রী বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মাওয়াঘাটে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংগ্রহ করা বিআইডব্লিউটিএর 'প্রত্যয়' ও 'নির্ভীক' নামের দুটি উদ্ধারকারী নৌযান এবং 'দুরন্ত' ও 'দুর্বার' নামের দুটি টাগবোট উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া তিনি সিরাজদিখান-সাপেরচর সড়কে নির্মিত সেতু, সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী এলাকায় অতীশ দীপঙ্করের জন্মভিটায় আবিষ্কৃত বিক্রমপুর বৌদ্ধবিহার এবং শ্রীনগরের বালাশুরে যদুনাথ রায়ের বাড়িতে নির্মিত বিক্রমপুর জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।


হাসানুল হক ইনু

হাসানুল হক ইনু

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, 'খালেদা জিয়া জামায়াতকে রক্ষার যত চেষ্টাই করুন না কেন, কোনো লাভ হবে না। যতই সন্ত্রাস করা হোক না কেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ হবে না। আগামী জুন মাসে যদি আদালতের রায় বহাল থাকে, তাহলে জুলাই-আগস্ট মাসে যুদ্ধাপরাধীদের সাজা কার্যকর করা হবে।' 
আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর জাসদের সমন্বয় কমিটির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাসদের সভাপতি ইনু এসব কথা বলেন। 
হাসানুল হক ইনু বলেন, 'অনেক সহ্য করেছি, আর না। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ১৪ দলকে বলব, আর কালবিলম্ব না করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করুন। যারা নাশকতা করছে, তাদের একটা একটা করে কারাগারে নিক্ষেপ করুন।' 
বিরোধী দলকে উদ্দেশ করে জাসদের সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়া এখন সংলাপ, নির্বাচন কিংবা দেশে শান্তি চান না। তিনি রাজপথে নাশকতা সৃষ্টি করে সরকার উত্খাতের ষড়যন্ত্র করছেন। ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোই খালেদা জিয়ার আসল উদ্দেশ্য। 
হরতাল প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এবার আমরা দেখলাম, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর পাশাপাশি তাঁরা একজন টাকা পাচারকারী ও চোরদের বাঁচানোর জন্য হরতাল ডেকেছে। এ ধরনের হরতাল গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। এটা দেশবিরোধী। বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার বিরোধী।' 
বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ইনু বলেন, 'কোনো টাকা পাচারকারীর পক্ষে আপনি অবস্থান নেবেন না। টাকা পাচারকারী যে-ই হোক, তাদের আপনি ত্যাগ করুন।' তিনি বলেন, 'সংসদে আসুন। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিন। শেখ হাসিনা কোনো শর্ত না দিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। আপনিও শর্ত না দিয়ে আলোচনায় আসুন। আগামী দিনে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করুন।'
যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মীর হোসেন আখতার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য নাজমুল হক প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক করিম সিকদার প্রমুখ।

রাজীব হত্যা

তিন মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি খুনের মূল পরিকল্পনাকারী

রাজীব হত্যা

রাজীব হত্যা

ব্লগার রাজীব হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত অপর চারজনকে শনাক্ত করার পর তিন মাস পার হলেও তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় আগে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের মতো পলাতক এই চারজনও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে (৩৪) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীর নাম রেদওয়ানুল আল আজাদ ওরফে রানা। তিনি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের ছাত্র। বাসা ঢাকার বসুন্ধরার আবাসিক এলাকায়। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩০ দফা অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা। একইভাবে রাজীব হত্যায় জড়িত রানার অপর তিন সহযোগীও পলাতক রয়েছেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবীর পলাশনগরের নিজ বাসার সামনে রাজীবকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি। প্রাথমিক তদন্তে এই খুনের ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করে ডিবি। তাঁরা হলেন ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপ (২২), মাকসুদুল হাসান ওরফে অনিক (২৩), এহসান রেজা ওরফে রুম্মান (২৩), নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯) ও নাফিস ইমতিয়াজ (২২)। তাঁদের গত ১ মার্চ রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এবং পরে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাঁরা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এই পাঁচ ছাত্রকে পরে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। তাঁরা এখন কারাগারে আছেন।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, এঁরা সবাই ধর্মভিত্তিক উগ্র মতাদর্শে বিশ্বাসী। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, ধর্মের অবমাননা করে ব্লগে লেখালেখির কারণে কথিত বড় ভাই রানার পরিকল্পনায় ও নেতৃত্বে তাঁরা রাজীবকে হত্যা করেন।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত-তদারক কর্মকর্তা ডিবির উপকমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের কারণ ও উদ্দেশ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। হত্যায় নয়জনের জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ কারণে অভিযোগপত্র জমা দিতে কিছুটা দেরি হচ্ছে।
পাঁচ আসামির জবানবন্দি: তদন্ত ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, গ্রেপ্তার থাকা পাঁচ আসামি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নামাজের ঘরে তাঁরা সমমনারা বসতেন। ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করতেন। তাঁদের কথিত বড় ভাই রানা একদিন জানান যে 'থাবা বাবা' নামের এক ব্লগার ইন্টারনেটে মহানবী (সা.) ও ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে লেখালেখি করছেন। ব্লগে এসব লেখা দেখে তাঁরা ক্ষুব্ধ হন। তাই এই লেখককে খুন করা 'ইমানি দায়িত্ব' বলে তাঁদের উদ্বুদ্ধ করেন। রাজীবকে খুনের দেড় মাস আগে থেকে তাঁরা হত্যার পরিকল্পনা করেন। তাঁরা 'থাবা বাবা' হিসেবে রাজীবকে শনাক্ত করেন। এরপর তাঁরা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে একাধিক দিন রাজীবকে অনুসরণ করে তাঁর বাসা চেনেন এবং গতিবিধি লক্ষ করেন।
জবানবন্দিতে এই পাঁচজন জানান, রাজীবকে হত্যার জন্য তাঁরা 'ইনটেল গ্রুপ' (গোয়েন্দা দল) গঠন করেন। এই দলের কাজ ছিল তথ্য সংগ্রহ করা, গতিবিধি পর্যবেক্ষণ। আর হত্যার জন্য গঠন করা হয় 'এক্সিকিউশন গ্রুপ'। তাঁদের কাছে তথ্য ছিল, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজীব শহবাগে যাবেন না। তাঁরা ওই দিন সকাল থেকে রাজীবের বাসার কাছে পাহারা দেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজীব বাসায় ফিরছিলেন। বাসার কাছে পৌঁছামাত্র তাঁকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। রাজীব একপর্যায়ে লুটিয়ে পড়লে তাঁরা সবাই দৌড়ে চলে যান। 
রাজিবের বাবা নাজিমুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, হত্যায় জড়িতদের কারও সঙ্গে রাজীবের কোনো বিরোধ ছিল না। একটি বড় চক্র এই ছাত্রদের ব্যবহার করেছে। তিনি মনে করেন, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন থামাতে জামায়াত-শিবির এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। 
জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন চারজনের: ফয়সাল বিন নাঈম ছাড়া বাকি চারজনের পক্ষ থেকে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।
এঁদের মধ্যে এহসান রেজার বাবা আলী রেজা প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে দেখা করতে গেলে তাঁর ছেলে তাঁকে বলেছেন, ডিবি তাঁদের পাঁচজনকে আদালতে জবানবন্দি দিতে পাঠালেও ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদের কোনো কথা জিজ্ঞাসা করেননি। 
আলী রেজা দাবি করেন, আদালতে ডিবির পাঠানো প্রতিবেদনটিই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁর ছেলে এই হত্যায় জড়িত নন। ডিবির চাপে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ কারণে আইনজীবীর মাধ্যমে জবানবন্দি প্রত্যহারের জন্য তিনি আদালতে আবেদন করেছেন।
জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদনের কারণ সম্পর্কে মাকসুদুল হাসান, নাঈম শিকদার ও নাফিস ইমতিয়াজের পরিবারের পক্ষ থেকেও একই দাবি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিবির উপকমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনই স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের কোনো রকমের ভয় দেখানো হয়নি।


রোববারের হরতালে উল্টো ফল

হরতাল দেওয়ার মতো একটি 'ভুল' সিদ্ধান্তের কারণে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি আর শারমেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। হরতাল ডাকার পরিণাম সম্পর্কে অবহিত না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন দলের নেতারা।
তবে বৈঠক না হওয়ার জন্য কেবল হরতালকেই দায়ী করছেন না নেতারা। বিএনপির সঙ্গে কয়েকটি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানগত পার্থক্যের কারণেও এই বৈঠক করার ব্যাপারে শারমেনের আগ্রহ কম ছিল বলে তাঁরা মনে করেন। 
বিএনপির নেতারা বলেছেন, ২৬ মে রোববারের ডাকা হরতাল বিএনপির জন্য 'বুমেরাং' হয়েছে। দলটি চেয়েছিল হরতাল দিয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিরোধী নেতা-কর্মীদের আটক করে রাখার মতো বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরতে। কিন্তু তাদের সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। তা ছাড়া ১৮ দলের শরিকদের সঙ্গে কথা না বলেই রোববার হরতাল দেওয়ার কেন এত প্রয়োজন পড়ল, তা নিয়েও জোটে প্রশ্ন উঠেছে। 
হরতাল দেওয়ার এমন পরিণামের পরও বিএনপি আবার আজ বুধবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই হরতাল দিয়েছে। জানা গেছে, আগামী রোববার একই দাবিতে হরতাল দেওয়ার একটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। গতকাল আরও হরতালের ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপির মুখপাত্র শামসুজ্জামান বলেছেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না হলে আরও হরতাল দেওয়া হবে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল এবং সাংস্কৃতিক ও নাগরিক সংগঠনগুলো এ বছরের জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত দেশব্যাপী ৩২ দিন হরতাল দিয়েছে। এই সময়ে স্থানীয়ভাবেও ২৯ দিন হরতাল হয়।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, অন্তত দুটি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সঙ্গে তাদের দলের অবস্থানগত পার্থক্য আছে। একটি হলো খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে। অন্যটি হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ডে বিএনপির সমর্থন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হরতাল হলে বৈঠক হবে না, এমনটা তাঁরা ভাবেননি। একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে বৈঠক হয়নি। এটা দুঃখজনক। বিএনপি এ ধরনের ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিল না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁদের দলের গভীর সম্পর্ক আছে। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। 
শারমেনের সঙ্গে বৈঠকের আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার এই সফর নিয়ে কথা হয়েছিল। এ ছাড়া আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ ও ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গেও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিএনপির ভবিষ্যৎ প্রধান হওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নেতিবাচক অবস্থান আছে। দলের পরবর্তী নেতা হিসেবে তারেক দায়িত্বভার নেবেন বলেও সম্প্রতি একটি বৈঠকে খালেদা জিয়া মজীনাকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তারেক দেশে ফেরার পর সরকার যেন তাঁকে কোনো ধরনের হয়রানি না করে, সে ব্যাপারে সরকারকে অনুরোধ করতে খালেদা জিয়া সম্প্রতি জার্মানি ও কানাডার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থানের জন্য তারেক অনেকাংশে দায়ী। দ্বিতীয়ত, হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে সমর্থন দেওয়ার কারণ হিসেবে বিএনপির ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। জামায়াতের সহিংসতায় সমর্থন দেওয়াকে একইভাবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। হেফাজতের দাবির ব্যাপারে সমর্থন না থাকলেও তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে কী কারণে সমর্থন থাকতে পারে, বিএনপির ব্যাখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র তা বুঝতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র হেফাজতকে একধরনের জঙ্গি উত্থান বলে মনে করছে বলে বিএনপির এক নেতা জানিয়েছেন। 
বিএনপির একজন উপদেষ্টা বলেছেন, তারেকের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক মনোভাব এখনো বিদ্যমান। এর পেছনে তারেকের 'দুর্নীতি' ও 'জঙ্গিদের মদদ' দেওয়ার অভিযোগকেই দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি দাবি করেছেন, তারেক দলের প্রধান হলে বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো না হওয়াটা এখন দলের দায়িত্বশীল মহলের কাছে পরিষ্কার। কিন্তু দলের হাল ধরতে তারেকের বিকল্প কেউ নেই বলে বিএনপির পক্ষে অবস্থান পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বলে বিদেশি কূটনীতিকদের জানিয়েছেন তাঁরা। 
এদিকে, শারমেন সাক্ষাৎ না করার বিষয়টি দলের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের শরিকেরা ভুগছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। জোটের নেতারা মনে করছেন, এ ঘটনার প্রভাব তাঁদের জন্য ভালো হবে না। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের পর যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে সরকার পতনের আন্দোলনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। 
বিএনপির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য ও কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এমন কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, শারমেনের সফরকালে হরতাল বা এ ধরনের সহিংস কর্মসূচি না দেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সফরকালে একই অনুরোধ জানিয়েছিল দূতাবাস। সে সময় বিএনপি তা মেনেও নেয়। কিন্তু এবার বিএনপি শারমেনের ঢাকায় আসার দিন হরতাল দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের অনুরোধ না রাখাকে 'অসৌজন্যমূলক' মনে করেছে। 
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেছেন, এর ফলে বিএনপি ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
শারমেনের সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় বিএনপি ও জোটে চলছে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের ঘটনা। কূটনীতিকদের সঙ্গে যেসব নেতা যোগাযোগ রাখেন, তাঁদের ওপরই দলের একটি অংশের নেতাদের ক্ষোভ। নয়াপল্টনে বিএনপির এক নেতা বলেন, 'আমরা জেল খাটি। আর তারা গুলশানে এসি রুমে থাকে। তার পরও সব যোগাযোগ রাখতে পারে না।' তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষা করেন এমন নেতারা অবশ্য ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করার উদাহরণ টেনে আত্মতৃপ্তি লাভের চেষ্টা করছেন।


রাজশাহীতে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে হেফাজত

খায়রুজ্জামানের ধ্বংস চাইলেন হেফাজত নেতা


১৮-দলীয় জোট-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীর জন্য মোনাজাত করা হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো

১৮-দলীয় জোট-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীর জন্য মোনাজাত করা হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেনের প্রতি একাত্মতা ঘোষণার জন্য জেলা ১৮-দলীয় জোটের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
আজ বুধবার নগরের একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে জেলা হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মোনাজাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামানের ধ্বংস চান। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে হেফাজতের একটি পুস্তিকা বিতরণ করা হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা। এর শুরুতে রাজনৈতিক সভার মতো জেলা বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী ঐক্যজোট ও হেফাজতে ইসলামের নেতারা আসন গ্রহণ করেন। এতে হেফাজতে ইসলামের রাজশাহী জেলার মহাসচিব মাওলানা আবদুস সামাদ, জামায়াতের পশ্চিম জেলার সেক্রেটারি আবদুল খালেক, বিএনপির সাবেক সাংসদ আজিজুর রহমান, রাজশাহী বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদকসহ জোটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নেতাদের আসন গ্রহণের পরই ১৮-দলীয় জোট-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোসাদ্দেক হোসেনের জন্য দোয়া চেয়ে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হেফাজতের রাজশাহী জেলার মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মাওলানা আবদুস সামাদ। মোসাদ্দেক হোসেনের পক্ষে জেলার জোট নেতারা একত্র হওয়ায় তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। তিনি বলেন, 'আমরা কোরআনের আইন চালু করতে চাই। আল্লাহ, ১৮ দলের মধ্যে মিল-মহব্বত পয়দা করে দাও। নাদিম ভাই ১৮ দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তুমি এই মিলনকে কবুল করে নাও। তুমি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভাইকে কবুল করে নাও।'
মোনাজাতে সদ্য সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামানের সমালোচনা করে আবদুস সামাদ বলেন, 'বিগত মেয়র ইসলামি জলসা করতে দেয়নি। কোরআনের কথা শোনেনি, আলেম-ওলামাদের টিটকারি করেছে। আল্লাহ তুমি তাকে "হালাক" (ধ্বংস) করে দাও। তাকে খতম করে দাও। তারা গুলি করে অনেক মানুষ "হত্যা" করেছে। সেই শহীদদের তুমি জান্নাত নসিব কর। সাবেক মেয়রকে পরাজিত করে দাও। বুলবুল ভাইকে বিজয়ী করে দাও।'
হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তাহলে কেন তারা ১৮-দলীয় জোটের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছে—জানতে চাইলে সাংবাদিকদের আবদুস সামাদ বলেন, 'তাঁরা ইমান ও আকিদা রক্ষার স্বার্থে এই নির্বাচনে মোসাদ্দেককে সমর্থন দিয়েছেন।' 
নাদিম মোস্তফা তাঁর বক্তব্যে রাজশাহীর বর্তমান প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েনেরও দাবি জানান তিনি। 
মেয়র পদপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, নির্বাচিত হলে বিগত মেয়রের সময়ের অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিটি করপোরেশনের মূল্যবান সম্পদ নামমাত্র মূল্যে দলীয় লোকদের কাছে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের পুস্তিকা 
সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই হেফাজতের পক্ষ থেকে 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ইসলাম হেফাজতে ঐক্যবদ্ধ হোন' নামের একটি পুস্তিকা সাংবাদিকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর সামনের ও পেছনের পাতায় শাপলা চত্বরের সমাবেশের ছবি রয়েছে। এতে 'ইসলাম ও দেশ রক্ষায় ৬ এপ্রিলের লংমার্চে ইসলামি চেতনার স্বতঃস্ফূর্ত গণবিস্ফোরণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ইসলাম হেফাজতে ঐক্যবদ্ধ হোন, ইসলামবিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফার ব্যাখ্যা, সকল বিভ্রান্তির নিরসন হবে এবং শাহবাগী 'নাস্তিক-মুরতাদ' বিরোধী আন্দোলন: হেফজাতে ইসলাম ইসলামপন্থী ও দেশপ্রেমিক বৃহত্তর ঐক্যের প্লাটফর্ম' শিরোনামে পাঁচটি প্রবন্ধ রয়েছে।


আবার ১৯৭১ এর চিত্র, এবার কিছু হবেই ।
331324Like ·  · 

শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাহবাগে অবস্থান নেয়া অবরোধকারীরা পোস্টার হাতে অবরোধকারীরা
শাহবাগে বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি ঘৃণা জানাতে জুতো তুলে ধরেছেন বিক্ষোভকারী
রাস্তায় চিত্র একে চারুকলার শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ জামাত শিবিরের সব পণ্যকে বাজেয়াপ্ত করার অঙ্গীকার

প্রথম সারি:শাহবাগে অবস্থান নেয়া অবরোধকারীরা,
পোস্টার হাতে অবরোধকারীরা।

দ্বিতীয় সারি:শাহবাগে বিক্ষোভকারীরা,
যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি ঘৃণা জানাতে জুতো তুলে ধরেছেন বিক্ষোভকারী।

তৃতীয় সারি:রাস্তায় চিত্র একে চারুকলার শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ,
জামাত শিবিরের সব পণ্যকে বাজেয়াপ্ত করার অঙ্গীকার।

শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর[১][২][৩] যা শাহবাগ স্কোয়ার[১][৪] নামেও পরিচিত হচ্ছে সেটি হল বর্তমান শাহবাগ এলাকা। সকল আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত এ স্থান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধেও এ স্থান জ্বলন্ত সাক্ষী হয়ে আছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের গোড়াপত্তন হয়েছিল এই শাহবাগেই।[৫]যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে স্বতঃস্ফূর্ত জনজোয়ারে যেন কায়রোর তাহরির স্কোয়ার হয়ে উঠেছে ঢাকার শাহবাগের এই প্রজন্ম চত্বর। বাবা-মায়ের সাথে এসেছে ছোট ছেলেমেয়েরাও। শিল্পী, নাট্যব্যক্তিত্ব, লেখকদের পাশাপাশি এসেছেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাও। মঞ্চ তৈরি করে দিন-রাত চলছে গান, নাটক, সিনেমা। সেই সঙ্গে একাত্তরের পরিচিত রাজাকার নেতাদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান।[৬] তাই এই প্রজন্ম চত্বর বাংলাদেশের মূলধারার সব দলমতের তরুণদের একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধী রাজাকারদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।[১]

পরিচ্ছেদসমূহ

  [আড়ালে রাখো

সমাবেশের এলাকা [সম্পাদনা]

সমাবেশ এলাকা শাহবাগ মূল প্রজন্ম চত্বর থেকে বাংলামোটর, রমনা পার্ক, এলিফ্যান্ট রোড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে।[৭]

সমাবেশস্থলের পথ [সম্পাদনা]

সমাবেশস্থলে যাওয়ার চারটি পথ হল রূপসি বাংলা হোটেলের মোড়, আজিজ সুপার মার্কেট, ঢাকা কাব ও চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনের পথ।[৭]

সমাবেশের কারণ [সম্পাদনা]

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে এই সমাবেশ যেখানে সোচ্চার হয়েছে প্রতিবাদী মানুষ। কোথাও চলছে গণসংগীত, কোথাও নাটক আবার কোথাও বা যুদ্ধাপরাধী-বিরোধী চিত্রাঙ্কন।[৭]

বিক্ষোভের সূচনা [সম্পাদনা]

৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাগ মোড়ে এই বিক্ষোভের সূচনা করে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ আন্দোলনে যোগ দেন। লাখো জনতার মহাসমুদ্রের কেন্দ্রবিন্দু শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের নবজাগরণ মঞ্চ থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় জনগন।[৩]

প্রজন্ম চত্বর নামকরণ [সম্পাদনা]

মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি আদায়ে শাহবাগ থেকে এর যাত্রা শুরু। রাজধানীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শাহবাগ চত্বর যার চার রাস্তার মোড়টিকে ঘিরে নতুন প্রজন্ম যেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনকে দিয়েছে নতুন মাত্রা। পাকিস্তানি সেনারা আত্মসমর্পণ করেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এমনকি ১৯৯২-সালে শহীদজননী জাহানারা ইমাম যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে গণ-আদালত বসিয়েছিলেন এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই। সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে শাহবাগ চত্বরে যুদ্ধাপরাধীদের অসমাপ্ত বিচার সমাপ্ত করার জন্য এই প্রতিবাদ। তাই অনেকে নাম দিয়েছেন প্রজন্ম চত্বর। রাতে মশালে মশালে প্রতিবাদের অগ্নিশিখা শাহবাগ চত্বরকে আলোকিত করে রাখে। সেখানে কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চায় জনগন। দেশকে রাজাকারমুক্ত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে তরুণ প্রজন্ম।[৮]

গ্যালারি [সম্পাদনা]

আরও দেখুন [সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র [সম্পাদনা]

  1. ↑ ১.০ ১.১ ১.২ শাহবাগ এখন প্রজন্ম চত্বর,ফজলুল বারী, দৈনিক আমাদের সময়। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৭-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  2.  'প্রজন্ম চত্বরে' জনসমুদ্র,সঞ্জীব বর্মন / আরাফাতুল ইসলাম, ডয়েচে ভেলে। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৮-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  3. ↑ ৩.০ ৩.১ সারা বাংলার মোহনা শাহবাগ,নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৯-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  4.  'শাহবাগ স্কয়ার' লন্ডনে বিক্ষোভকারীরা জামায়াত সমর্থকদের হাতে অবরুদ্ধ,বিবিসি, দৈনিক আমার দেশ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৯-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  5.  ৫৬ হাজার বর্গমাইলের শাহবাগ,আদিত্য আরাফাত,বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৮-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  6.  আনন্দবাজার পত্রিকার খবর : গণজোয়ারের ঢাকা যেন তাহরির স্কোয়ার, নিউজডেস্ক, বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৮-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  7. ↑ ৭.০ ৭.১ ৭.২ শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর ঘিরে তিন স্তারের নিরাপত্তা বলয়,ই-রিপোর্টার, নিউজবিডি২৪.কম। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৮-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  8.  প্রতিবাদের সুতোয় গাঁথা বাংলাদেশ,দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ০৮-০২-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।

বহিঃসংযোগ [সম্পাদনা]

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors