Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter
Follow palashbiswaskl on Twitter

Thursday, January 31, 2013

অন্ত্যজ, ব্রাত্য, উদ্বাস্তু, উপজাতি, অস্পৃশ্যের বাংলায় কোনও অস্তিত্ব নেই।থাকলেও তারা সংখ্যালঘু শাসকশ্রেণীর কন্ঠেই অভিব্যক্ত হবেন, তাঁদের নিজস্ব কন্ঠস্বরেরে, বাক্ স্বাধীনতার প্রশ্নই ওঠে না। এই একচেটিয়া আধিপাত্যবাদের সংস্কৃতিকে ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের বুনিয়াদ হিসাবে রক্ষা করতেই যারা বদ্ধপরিকর,তাঁরাই আবার ধর্মনিরপেক্ষতার অজুহাতে প্রগতিবাদ জাহির করার কোনও মোকা হাত ছাড়া করতে চান না।বন্চিত শ্রেণীর স্বার্থে একটি কথাও যাদের মুখে শোনা যায় না, বর্ণ ব্যবস্থা কায়েম রাখতে, বর্ণশ্রেষ্ঠত্বের দোহাই দিয়ে সবকিছুই দখল করতে যারা নির্মম মৌলবাদী, তাঁরাই আবার মৌলবাদের কের্তনে আকাশ বাতাশ মুখরিত করছেন। হুতোম বেঁচে থাকলে এই রঙ্গ নিয়ে কি নক্সা পেশ করতেন জানা নেই।তবে বাংলা থেকে নির্বাসিত হওয়ার আগেই কিন্তু বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেছিলেন , যতক্ষন ধর্ম থাকবে, স্ত্রী মুক্তি অসম্ভব।সমতা ও সামাজিক ন্যায় অসম্ভব।জাতি উন্মুলনের প্রশ্ন ওঠে না।ধর্মনিরপেক্ষতার অবকাশ নেই। এমনকি স্বাধীনতা, ভ্রাতৃত্ব, নাগরিকত্ব,নাগরিক ও মানব অধিকার অপ্রাসঙ্গিক এই ধর্মরাজ্যে।পশ্চিমবঙ্গ ব্রাঙ্মণ্যতান্ত্রিক ধর্মরাজ্য।সেখানে ব্যতিক্রমী কন্ঠস্

 অন্ত্যজ, ব্রাত্য, উদ্বাস্তু, উপজাতি, অস্পৃশ্যের বাংলায় কোনও অস্তিত্ব নেইথাকলেও তারা সংখ্যালঘু শাসকশ্রেণীর কন্ঠেই অভিব্যক্ত হবেন, তাঁদের নিজস্ব কন্ঠস্বরেরে, বাক্ স্বাধীনতার প্রশ্নই ওঠে না। এই একচেটিয়া আধিপাত্যবাদের সংস্কৃতিকে ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের বুনিয়াদ হিসাবে রক্ষা করতেই যারা বদ্ধপরিকর,তাঁরাই আবার ধর্মনিরপেক্ষতার অজুহাতে প্রগতিবাদ জাহির করার কোনও মোকা হাত ছাড়া করতে চান না।বন্চিত শ্রেণীর স্বার্থে একটি কথাও যাদের মুখে শোনা যায় না, বর্ণ ব্যবস্থা কায়েম রাখতে, বর্ণশ্রেষ্ঠত্বের দোহাই দিয়ে সবকিছুই দখল করতে যারা নির্মম মৌলবাদী, তাঁরাই আবার মৌলবাদের কের্তনে আকাশ বাতাশ মুখরিত করছেন। হুতোম বেঁচে থাকলে এই রঙ্গ নিয়ে কি নক্সা পেশ করতেন জানা নেই।তবে বাংলা থেকে নির্বাসিত হওয়ার আগেই কিন্তু বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেছিলেন , যতক্ষন ধর্ম থাকবে, স্ত্রী মুক্তি  অসম্ভব।সমতা ও সামাজিক ন্যায় অসম্ভব।জাতি উন্মুলনের প্রশ্ন ওঠে না।ধর্মনিরপেক্ষতার অবকাশ নেই। এমনকি স্বাধীনতা, ভ্রাতৃত্ব, নাগরিকত্ব,নাগরিক ও মানব অধিকার অপ্রাসঙ্গিক এই ধর্মরাজ্যে।পশ্চিমবঙ্গ ব্রাঙ্মণ্যতান্ত্রিক ধর্মরাজ্য।সেখানে ব্যতিক্রমী কন্ঠস্বর থাকার কথাই নয়।কিন্তু কি আশ্টর্য্য দেখুন, যারা ওবিসি, এসসি এসটি সংখ্যালঘুদের মানুষের মর্যাদা দিতে অস্বীকার করেন তাঁরাই ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে তা ত তা থৈ নাচছেন

পলাশ বিশ্বাস
Pl download Bengali Fonts and avro tool to read and write Bengalngali.

সলিমা নাসরিনের পর এ বার সলমন রুশদি।
২০০৭-এর নভেম্বরে তসলিমাকে কলকাতা ছাড়তে বাধ্য করেছিল রাজ্য সরকার। সেটা ছিল বামফ্রন্টের রাজত্ব। ২০১৩-র জানুয়ারিতে সলমন রুশদির কলকাতায় আসা ঠেকাল রাজ্য সরকার। যখন জমানা তৃণমূলের। কায়েমী মনুস্মৃতি ব্যবস্থার ধারক্ষ রক্ষকরাই এই বঙ্গে নানা রঙ্গের ধর্মনিরপেক্ষতার সোচ্চার ধ্বজাধারী।এমনিতে ধর্মান্ধ জায়নবাদী জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ এই প্রজাতি রক্তবীজের মত চতুর্দিকে বিরাজমান, আধিপাত্যবাদের সামান্যতম সমালোচনা তাঁরা বর্দাশ্ত করবেন না।ওবিসি এসসি এসটির অধিকাররের প্রসঙ্গ তোলাই নিষিদ্ধন তুললেই রে রে করে তেড়ে আসবে।মধ্যযুগীয় গোবলয়ের জাত পাঁতের রাজনীতি এখানে অস্পৃশ্য। অন্ত্যজ, ব্রাত্য, উদ্বাস্তু, উপজাতি, অস্পৃশ্যের বাংলায় কোনও অস্তিত্ব নেইথাকলেও তারা সংখ্যালঘু শাসকশ্রেণীর কন্ঠেই অভিব্যক্ত হবেন, তাঁদের নিজস্ব কন্ঠস্বরেরে, বাক্ স্বাধীনতার প্রশ্নই ওঠে না। এই একচেটিয়া আধিপাত্যবাদের সংস্কৃতিকে ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের বুনিয়াদ হিসাবে রক্ষা করতেই যারা বদ্ধপরিকর,তাঁরাই আবার ধর্মনিরপেক্ষতার অজুহাতে প্রগতিবাদ জাহির করার কোনও মোকা হাত ছাড়া করতে চান না।বন্চিত শ্রেণীর স্বার্থে একটি কথাও যাদের মুখে শোনা যায় না, বর্ণ ব্যবস্থা কায়েম রাখতে, বর্ণশ্রেষ্ঠত্বের দোহাই দিয়ে সবকিছুই দখল করতে যারা নির্মম মৌলবাদী, তাঁরাই আবার মৌলবাদের কের্তনে আকাশ বাতাশ মুখরিত করছেন। হুতোম বেঁচে থাকলে এই রঙ্গ নিয়ে কি নক্সা পেশ করতেন জানা নেই।তবে বাংলা থেকে নির্বাসিত হওয়ার আগেই কিন্তু বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেছিলেন , যতক্ষন ধর্ম থাকবে, স্ত্রী মুক্তি  অসম্ভব।সমতা ও সামাজিক ন্যায় অসম্ভব।জাতি উন্মুলনের প্রশ্ন ওঠে না।ধর্মনিরপেক্ষতার অবকাশ নেই। এমনকি স্বাধীনতা, ভ্রাতৃত্ব, নাগরিকত্ব,নাগরিক ও মানব অধিকার অপ্রাসঙ্গিক এই ধর্মরাজ্যে।পশ্চিমবঙ্গ ব্রাঙ্মণ্যতান্ত্রিক ধর্মরাজ্য।সেখানে ব্যতিক্রমী কন্ঠস্বর থাকার কথাই নয়।কিন্তু কি আশ্টর্য্য দেখুন, যারা ওবিসি, এসসি এসটি সংখ্যালঘুদের মানুষের মর্যাদা দিতে অস্বীকার করেন তাঁরাই ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে তা ত তা থৈ নাচছেন

ধর্মনিরপেক্ষতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝানো হয় কিছু নির্দিষ্ট প্রথা বা প্রতিষ্ঠানকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করা। এক অর্থে ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মীয় স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে। এই মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবে না, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করা হবে না। ধর্মনরপেক্ষতা সেই বিশ্বাসকে ধারণ করে যাতে বলা হয় মানুষের কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধাণ্তগুলো, বিশেষত রাজনীতিক সিদ্ধান্তগুলো, তথ্য এবং প্রমাণ এর নির্ভর করবে, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়। অর্থাৎ বলা যায়, "ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার"।

রাজনৈতিক ব্যবহারের দিক থেকে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতা হল ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে পৃথক করার আন্দোলন,যাতে ধর্মভিত্তিক আইনের বদলে সাধারণ আইন জারি এবং সকল প্রকার ধর্মীয় ভেদাভেদ মুক্ত সমাজ গড়ার আহবান জানানো হয়। প্রকৃতপক্ষে সেকুলারিজম অর্থে উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যবহার করা হয় না। উপমহাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা হল, রাষ্টে্র ধর্ম থাকবে তবে রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকবে না।


Taslima Nasreen accuses author Sunil Gangopadhyay of sexual harassment 

AUTHORS, Updated Sep 04, 2012 at 03:14pm IST

New Delhi: Exiled Bangladeshi author Taslima Nasreen accused noted author Sunil Gangopadhyay of sexually harassing her and other women. She also alleged that the President of the Sahitya Akademi was actively involved in banning her novel 'Dwikhandito' and her "banishment" from West Bengal.

"Sunil Gangapadhyay is for book banning. He sexually harassed me and many other women. He is the President of the Sahitya Akademi. Shame shame!" Nasreen tweeted recently. When contacted, Gangopadhyay refused to comment on the accusations levelled by Nasreen and said he was "too busy with pending work to comment on such a thing."

Violent protests by Muslim groups in 2007 forced Indian authorities to rush out the controversial writer from her home in Kolkata where she lived for four years. After moving her around for a while, the authorities put her in an undisclosed "safe house" in New Delhi, where she only has a mobile phone, a laptop and a television set, but no visitors are allowed.

Screengrab of Taslima's tweet

Nasreen fled Bangladesh in 1994 when a court said she had "deliberately and maliciously" hurt Muslim religious feelings with her Bengali-language novel 'Lajja', or Shame, in which she argued the Hindu minority in Bangladesh was poorly treated.

Nasreen was conferred the Prix Simone de Beauvoir by the French government for her feminist writings, but was not allowed by the Indian government to receive it from visiting French President Nicolas Sarkozy. Leading Indian intellectuals, including Booker prize-winner Arundhati Roy, have criticised India's officially secular government for not doing more for Nasreen and in particular the communist leaders of West Bengal for not allowing her back.

The European Parliament awarded her the Sakharov Prize for freedom of thought in 1994. She lived in Europe before settling down in Kolkata.

Nasreen was campaigning on Twitter for the right to free speech and her accusations came in the wake of the enforcement branch of the Kolkata Police raiding a renowned publishing house's office and shop at College Street after it published a book 'Musalmander ki Karaniya' (What Muslims Should Do) written by senior police official Dr Nazrul Islam.

The raid happened despite no official order being issued for it. Dr Islam, in his book, has indirectly criticized Chief Minister Mamata Banerjee's government's minority appeasement policies and vote-bank politi

cs including announcing stipends for Imams, and more madrasas.

"Fight for Nazrul Islam's freedom of expression in West Bengal. Speak against book banning," Nasreen appealed to her supporters.

"My previous four tweets are only to prove that Sunil G is now lying in the media that he did not support the banning of 'Dwikhandito'," she said. "Sunil Gangopadhyay was the mastermind behind banning of my book 'Dwikhandita' and my banishment from West Bengal. Sunil Gangopadhyay asked former WB government to ban my book 'Dwikhandita'. Now he is speaking against book banning. WB govt banned Nazrul Islam's book today. Sunil Gangapadhay and other writers (are) speaking for free speech. The same people are against my free speech," alleged Nasreen in a sharp attack against Gangopadhyay.

'Dwikhandito', the third volume of Nasreen's autobiography, was banned by the Buddhadeb Bhattacherjee government for "hurting religious feelings of the people". Nasreen did not specify when the alleged incident took place or whether she had - then or now - lodged a police complaint. (With additional information from Reuters)

http://ibnlive.in.com/news/taslima-nasreen-accuses-author-sunil-gangopadhyay-of-sexual-harassment/288344-40-103.html


চেয়েও কলকাতা আসা হল না সলমন রুশদির
এই সময়: তিনি মুম্বই যেতে পারেন, বেঙ্গালুরু যেতে পারেন, দিল্লি যেতে পারেন৷ কিন্ত্ত কলকাতায় আসতে পারলেন না৷ 'ভুবন ভ্রমিয়া শেষে' মিডনাইটস চিলড্রেন-এর লেখক সলমন রুশদির পথ আটকে গেল সংস্কৃতির পীঠস্থান শহর কলকাতাতেই৷ পুলিশের হাতে নাকি 'পর্যান্ত নিরাপত্তা' নেই৷ তাই কলকাতার লজ্জা কয়েক গুণ বাড়িয়ে এ যাত্রায় আর বাংলার পারে ঘেঁষতে পারলেন না রুশদি৷ লেখকের গায়ে যদি 'বিতর্কিত' তকমা থাকে, তা হলে বাম, ডান কোনও সরকারই যে বরণডালা হাতে দাঁড়িয়ে থাকবে না, 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক' পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা তা এ দিন বিলক্ষণ বুঝিয়ে দিয়েছেন৷ ফলে, রুশদি নিজেই এলেন না, নাকি 'অশান্তির আশঙ্কায়' তাঁকে আসতে দেওয়া হল না, তা নিয়ে খোলাখুলি বললেন না কোনও মন্ত্রীই৷ তবে, রুশদির আসা নিয়ে যাঁদের আপত্তি ছিল তাঁরা হাঁফ ছাড়লেও, কলকাতা ছেড়ে পালানোর পথ পাচ্ছে না একরাশ লজ্জা৷

রুশদির কাহিনি মিডনাইটস চিলড্রেন নিয়ে পরিচালক দীপা মেহতা একটি ছবি বানিয়েছেন৷ ছবির চিত্রনাট্যকার স্বয়ং রুশদি৷ সেই ছবির প্রচারে পরিচালকের সঙ্গে দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও মুম্বইয়ে গিয়েছেন রুশদি৷ বুধবার কলকাতায় একটি পাঁচতারা হোটেলে আসার কথা ছিল৷ এই ছবির সূত্রে এটাই ছিল তাঁর শেষ সফর৷ বইমেলাতেও ছবিটি নিয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্ত্ত বইমেলার কর্তারা জানিয়ে দেন, ওই অনুষ্ঠানে দীপা মেহতার থাকার কথা থাকলেও রুশদির আসার কোনও সম্ভাবনাই নেই৷ বুধবার সেই অনুষ্ঠানে দীপা মেহতাও আসেননি৷ ছিলেন শুধু রাহুল বসু৷ মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশ খবর পায়, রুশদি আসছেন৷ কলকাতা পুলিশের কর্তারা এর পর যোগাযোগ করেন মুম্বই পুলিশের সঙ্গে৷ মুম্বই পুলিশ জানায়, বুধবার কলকাতায় যাচ্ছেন রুশদি৷ তখন কলকাতা পুলিশের কর্তারা বলেন, এটা তাঁদের জানা ছিল না৷ রুশদির জন্য পর্যান্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এই মুহূর্তে তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ এর পর মুম্বই পুলিশ রুশদির সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতা পুলিশের অপারগতার কথা জানিয়ে দেয়৷ এবং বাতিল হয়ে যায় রুশদির কলকাতা সফর৷

বিষয়টি কি এই পর্যন্তই, নাকি এর পিছনে রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশ ছিল? বুধবার পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমি কিছু জানি না৷ পার্থ চ‌েাপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করুন৷' পার্থবাবুর উত্তর, 'উনি আসবেন কি আসবেন না, তা রাজ্য সরকারের জানাই ছিল না৷' ফিরহাদ হাকিমের কথায়, 'কেউ যদি একবার ভাবেন কলকাতায় যাব, আবার ভাবেন যাব না, তাতে আমার কী করার আছে?' অর্থাত্, কেউই বললেন না যে, রুশদি এলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই৷

ফিরহাদ হাকিম 'আমার কী করার আছে' বললেও ফুরফুরা শরিফের ইমাম ত্বহা সিদ্দিকি বলেছেন, 'সলমন রুশদি আসবেন শুনে আমি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে মঙ্গলবার রাতে ফোন করি৷ তাঁকে আমাদের আপত্তির কথা জানাই৷' আব্দুল আজিজ মিল্লি-ইত্তেহাদ পরিষদের নেতা আব্দুল আজিজের বক্তব্য, 'কলকাতা পুলিশকে আমরা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলাম রুশদি এলে আমাদের আপত্তি আছে৷ বুধবার সকালে প্রায় চারশো সমর্থক নিয়ে আমরা হাজির ছিলাম এয়ারপোর্টে৷ উনি এলেই বিক্ষোভ শুরু হত৷ ভালোই হয়েছে, তিনি শেষ পর্যন্ত আসেননি৷' টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম ইমাম বরকতি বলেন, 'বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আমি দার্জিলিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করি৷ আমাদের আপত্তির কথা জানাই৷ তিনি তখনই প্রতিশ্রীতি দিয়েছিলেন সলমন রুশদিকে এ রাজ্যে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না৷'

বোঝাই যাচ্ছে, সবাই সব কিছু জানতেন৷ মুখে বলছেন না, এই যা৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, রাজ্য সরকারের আশঙ্কা, রুশদি এলে অশান্তির আগুন জ্বলবে৷ তসলিমা নাসরিনের সময় যে অশান্তি হয়েছিল, তার থেকেও অনেক বেশি৷ ২০০৭ সালে তসলিমার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বুদ্ধদেব ভাচার্যের ইস্তফা দাবি করে প্রবল অশান্তি হয় পার্ক সার্কাস এলাকায়৷ বুদ্ধদেববাবুকে সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়৷ তসলিমা কলকাতা ছেড়ে জয়পুরে চলে যান৷ প্রগতিশীল বাম সরকারও কিন্ত্ত তসলিমাকে কলকাতায় রাখার ঝঁুকি নেয়নি৷ ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট-এর সভাপতি সিদিকুল্লা চৌধুরি বলেছেন, 'এগুলি হচ্ছে ভোটের জন্য মেকি ইসলাম দরদ৷ কলকাতায় তৃণমূলের কিছু পেটোয়া লোক রুশদিকে নিয়ে হইচই করছেন৷ কিন্ত্ত মুসলিমদের অনেক সমস্যা আছে৷ আসল সমস্যা ভাত-কাপড়ের৷ এ-সব নিয়ে আমরা ভাবছিই না৷'

কী বলছেন বিদ্বজ্জনেরা?

অভিনেতা সৌমিত্র চ‌ট্টোপাধ্যায় বলেন, 'রুশদির এই শহরে না-আসতে পারা আমার মতে দুর্ভাগ্যজনক৷ এ ভাবে কোনও সদর্থক প্রতিবাদ সম্ভব বলে মনে করি না৷ ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর রচনার সঙ্গে কেউ একমত না-ই হতে পারেন, তার জন্য স্বাধীন চিন্তার অধিকারকে অস্বীকার করা হবে কেন?' নাট্য পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায় বলেন, 'ভারতের কোথাও যদি রুশদির আসার কথা হয়, তা হলে তা কলকাতাতেই হওয়া উচিত৷ কলকাতায় তো শিবসেনা নেই৷ মৌলবাদীদের তুষ্ট করতে গিয়ে এ ধরনের রাজনৈতিক চাল আসলে প্রমাণ করে, কোথাও একটা ভয় কাজ করছে৷ সব কিছুতেই সরকার এত ভয় পাচ্ছে কেন? রুশদিকে আসতে না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের সবার লজ্জা৷' সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য মনে করেন, 'এটা একটা আন্তর্জাতিক কেচ্ছা৷ শালীনতা সম্পর্কে জ্ঞানগম্যি না-থাকাতেই এই অবস্থা৷ মাঝেমধ্যে তো চ্যালেঞ্জও নিতে হয় সরকারকে৷'

সরকারের সিদ্ধান্তকে কারা স্বাগত জানালেন?

তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের নেতা ইদ্রিশ আলি বললেন, 'রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ৷ তারা সলমন রুশদিকে কলকাতায় আসার অনুমতি দেননি৷' ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়ার রাজ্য সভাপতি রইসুদ্দিনের মতে, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্বাভবিক৷ 'মিজান' পত্রিকার সম্পাদক মসিহুর রহমানও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন৷

কলকাতার বহু মুসলিম ছাত্র কিন্ত্ত রুশদির সফর বাতিল হওয়াকে মোটেই ভাল চোখে দেখছেন না৷ এটাই বড় আশার কথা৷

http://eisamay.indiatimes.com/-/Salman-Rushdies-Kolkata-visit-cancelled-due-to-security-reasons/articleshow/18267391.cms



আশ্চর্য হইনি এতটুকুও



আশ্চর্য হইনি এতটুকুও
কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে রুশদি-বিরোধী বিক্ষোভ। বুধবার সকালে। -- নিজস্ব চিত্র

তসলিমা নাসরিন

রুশদিকে কলকাতায় আসতে দেওয়া হবে না৷ খবরটি যখন শুনলাম, সত্যি বলতে কি, অবাক হইনি৷ অবাক হব কেন, আমাকেও তো আসতে দেওয়া হয় না৷ শুধু কলকাতায় নয়, পশ্চিমবঙ্গেই আমার পা রাখা নিষেধ৷ সেই যে ২০০৭ সালে আমাকে তাড়ানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে, আজও আমি নিষিদ্ধ সেই রাজ্যে৷ শুধু আমার উপস্থিতিই নয়, আমার বইয়ের উপস্থিতিও নিষিদ্ধ সেখানে৷ গত বছর কলকাতা বইমেলায় আমার বই 'নির্বাসন'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার৷ যে মানুষের বাক্স্বাধীনতার ওপর পঁচিশ বছর ধরে হামলা হচ্ছে, যাকে দুর্বিষহ নির্বাসন জীবন যাপন করতে বাধ্য হতে হচ্ছে, বাংলায় লিখেও বাংলায় যার ঠাঁই নেই, শারীরিক আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে যাকে, সাত-আটটি মাথার দাম যার মাথার ওপর, সে কেন এই ঘটনায় চমকে উঠবে?

অবাক হইনি, কিন্তু রুশদিকে কলকাতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ করছি৷ প্রতিবাদ করেছি মকবুল ফিদা হুসেন, এ কে রামানুজন, জেমস লেইন, রহিন্তন মিস্ত্রি, কমল হাসানের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর যখন আঘাত এসেছে৷ যখনই কট্টরপন্থীরা কোনও কিছুর দাবি করে, সে দাবি যতই অন্যায় হোক, সরকারের মধ্যে তা-ই মেনে নেওয়ার একটা প্রবল প্রবণতা লক্ষ করেছি৷ অনেক সময় তারা অখুশি হতে পারে, বা ঝামেলা পাকাতে পারে এই ভয়ে আগ বাড়িয়ে সরকার-পক্ষ থেকে অনেক অযৌক্তিক এবং অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ আমার 'দ্বিখণ্ডিত' বইটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০০৩ সালে 'যদি কিছু হয়' ভয়ে নিষিদ্ধ করেছিলেন৷ হতে পারে, রুশদিকে কলকাতায় আসতে বাধা দেওয়ার পেছনে সরকারের সেই ভয়ই কাজ করেছে৷

কিন্তু এসব আর কতদিন? আর কতদিন ওদের ভয়ে সিঁটিয়ে থাকবে সরকার? আর কতদিন ওদের অন্যায় আবদার মাথা নত করে মেনে নেবে? ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ, ভারত তো বাংলাদেশ বা পাকিস্তান নয়৷ ওসব দেশের নড়বড়ে নাম কা ওয়াস্তে গণতন্ত্রের মত ভারতের গণতন্ত্র নয়৷ ভারত শিল্পে, শক্তিতে, শিক্ষায়, স্থিতিতে আজ উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়িয়েছে৷ এই রকম এক দেশ কেন নিজেকে করপন্থীদের স্বর্গরাজ্য হতে দিচ্ছে? হাতে গোনা কিছু লোকের ভয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভারতের সংবিধানকেও (১৯ক ধারা) অপমান করতে দ্বিধা করছে না, দেশকে হাজার বছর পিছনে ঠেলে দিতে আপত্তি করছে না৷ এর ফলে গোটা একটা সম্প্রদায়, একটা পুরো ধর্মই যে অসহিষ্ণু বলে প্রমাণিত হয়ে গেল, তার দায় কে নেবে! কেবল নির্বাচনে জেতার হিসেব! দেশ গোল্লায় যাক, দেশের ভবিষ্যত্ গোল্লায় যাক, আমার নির্বাচনে জেতা চাই৷ প্রগতিবিরোধী, নারীবিরোধী, অর্বাচীন, অগণতান্ত্রিক, অশিক্ষিত, অসুস্থ, অসভ্য কিছু করপন্থীর দাবি মেনে নিয়ে যারা আজ সভ্য শিক্ষিত প্রগতিশীল শিল্পী সাহিত্যিকদের স্বাধীনতা হরণ করছে, মৌলবাদীদের শক্তি এবং সাহস বাড়াচ্ছে, তারা দেশের এবং দশের শত্রু, এ কথা আমি বলতে পারি৷ জীবনের ঝুঁকি আছে, তারপরও বলছি৷

http://eisamay.indiatimes.com/-/reaction-of-taslima-nasrin-in-rushdie-contro/articleshow/18267440.cms


তসলিমা নাসরিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তসলিমা নাসরিন

কলকাতায় আনন্দ পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে তসলিমা নাসরিন
জীবিকাকবিকলামিস্টঔপন্যাসিক
জাতীয়তাবাংলাদেশিসুইডিশ
সময়কাল১৯৭৩ – বর্তমান
বিষয় মানবতাবাদ
সাহিত্যিক আন্দোলননারী অধিকার, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলন

[ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট]

তসলিমা নাসরিন (জন্ম: ২৫ আগস্ট১৯৬২[১]বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিতনারীবাদী সাহিত্যিক। তসলিমা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ন করেন এবং সেখান থেকে ১৯৮৬ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসক হিসাবে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ অবধি কাজ করেন।[২] ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে মামলায় জড়িয়ে পড়ে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন। এরপর তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ছাত্রজীবনে ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে কবি হিসেবে তাঁর পরিচিতি ঘটতে থাকে। নির্বাসন জীবনে তসলিমা লেখালিখিকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বিদ্রোহী নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইসলামের সমালোচনার জন্য বিশ্বব্যাপী তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন][৩] স্বীয় জন্মভূমি বাংলাদেশ ত্যাগের পর তিনি প্রতিবেশী বাংলাভাষীপশ্চিমবঙ্গে বসবাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় ইসলামী ধর্মগুরুদের আপত্তি ও মৌলবাদীদের প্রাণনাশের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে তাঁকে কলকাতা পরিত্যাগ করতে হয়। বর্তমানে তিনি সুইডেনে বসবাস করছেন। তাঁর রচনাসমূহের মধ্যে লজ্জাআমার মেয়েবেলা,দ্বিখণ্ডিতগোল্লাছুট, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

পরিচ্ছেদসমূহ

  [আড়ালে রাখো

[সম্পাদনা]প্রাথমিক জীবন

তাঁর প্রকৃত নাম নাসরিন জাহান তসলিমা। স্কুল জীবনে কবিতা চর্চ্চার সময় তিনি 'তসলিমা নাসরিন' নাম গ্রহণ করেন। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ শহরে তাঁর জন্ম।[৪]) দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁর পিতা রজব আলী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। মা ইদুল আরা সাধারণ ধর্মভীরু বাঙ্গালী গৃহিনী, তসলিমার পিতার দ্বিতীয় স্ত্রী। । ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে এস, এস, সি পাস করেন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে এইচ এস সি পাস করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে এম বি বি এস পাস করেন। অথঃপর তিনি সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসকের চাকুরী গ্রহণ করেন। তিনি যখন ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে দেশত্যাগ করেন তখন সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞানবিশেষজ্ঞ (অ্যানেসথেসিওলজিস্ট) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার শৈশব ও যৌবনের বিশদ বিবরণ তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থাদির বিভিন্ন খণ্ডে পাওয়া যায়।

[সম্পাদনা]বিবাহ

১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে তিনি কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ'র প্রেমে পড়েন এবং বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজন কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন। ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খানের সাথে বিয়ে এবং ১৯৯১ সালে বিচ্ছেদ হয়। তিনি ১৯৯১ সালে সাপ্তাহিক বিচিন্তা'র সম্পাদক মিনার মনসুরকে বিয়ে করেন এবং ১৯৯২ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি আর বিয়ে করেন নি। তার কোন সন্তানাদি নেই। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যুগল জীবন যাপন করেছেন। তিনি একজন উভকামী। প্যারিস অবস্থান কালে একজন ফরাসী মেয়ের সঙ্গে যৌন জীবনযাপনের বিবরণ তাঁর আত্মজৈবিনক উপন্যাস ফরাসী প্রেমিক এবং আত্মজীবনিক রচনায় বিবৃত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] [৫]

[সম্পাদনা]সাহিত্যিক জীবন

সাহিত্যে জগতে প্রবেশ সত্তর দশকের শেষভাগে কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে স্ব-উদ্যোগে প্রথম কবিতা সংকলন প্রকাশ করেন যার নামশিকড়ে বিপুল ক্ষুধা[৬] তাঁর কবিতা গীতিময়তায় পুষ্ট। আত্মজৈবনিকতা তাঁর কবিতার বৈশিষ্ট্য। প্রথম থেকেই তাঁর কবিতায় যৌনানুষঙ্গ প্রবলভাবে উপস্থিত, যা পরবর্তীতে তাঁর গদ্য রচনাতেও পরিদৃষ্ট হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

[সম্পাদনা]নির্বাসিত জীবন

তাঁর নির্বাসিত জীবন শুরু হয় ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে দেশ ত্যাগের সময় থেকে। এর আগে আদালতে মামলা দায়ের হলে এবং আদালত তাঁর বিরূদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারী করলে তিনি বিভিন্ন বন্ধু বান্ধবের বাসায় আত্মগোপন করেন। বাংলাদেশ ত্যাগের পর তিনি প্রধানত ফ্রান্স,সুইডেন এবং ভারত, এই তিনটি দেশে বসবাস করেছেন। বাংলাদেশের বাইরে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করতে তিনি আগ্রহী। প্রায়শ তাঁর ধর্ম ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী লেখা ও মন্তব্য জনরোষ সৃষ্টি করে বিধায় সামাজিক শান্তির স্বার্থে ২০০৭ থেকে ভারত সরকার তাঁর ভারতে অবস্থানের ওপন নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করে। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ ত্যাগ ও ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে ভারত থেকে বিতারণ এবং পরবর্তী নিবার্সিত জীবনের বর্ণনা নিয়ে ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১২ ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার আত্মজৈবনিক গ্রন্থ নির্বাসন। [৭] [৮]

[সম্পাদনা]১৯৯৪-২০০৪, পাশ্চাতে নির্বাসিত

[সম্পাদনা]২০০৪-২০০৭ কলকাতার জীবন

[সম্পাদনা]২০০৭ কলকাতা থেকে বিতারণ

[সম্পাদনা]২০০৮ দিল্লীতে অন্তরীণ

[সম্পাদনা]সাহিত্যকর্ম

[সম্পাদনা]পত্রিকার কলাম ও নিবন্ধ

[সম্পাদনা]উপন্যাস

[সম্পাদনা]আত্মজীবনী

তসলিমা নাসরিন প্রধানত আত্মজীবনীমূলক রচনায় বেশী সময় ব্যয় করেছেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের সংখ্যা ৭ যার সর্বশেষ খণ্ড ২০১২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। আত্মজীবনী বিবিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বর্ণনা দিয়ে তিনি বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন এবং এ কারণে তাঁর বিরূদ্ধে সৈয়দ শামসুল হক সহ অনেকে আদালতে মর্যাদাহানির জন্য ক্ষতিপূরণ মামলা করেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

[সম্পাদনা]পুরস্কার ও সম্মাননা

তসলিমা তার উদার ও মুক্তচিন্তার মতবাদ প্রকাশ করায় দেশ-বিদেশ থেকে একগুচ্ছ পুরস্কার ও সম্মাননা গ্রহণ করেছেন। সেগুলো হলো -

[সম্পাদনা]সমালোচনা

[সম্পাদনা]সাহিত্য

সাহিত্য রচনায় ব্যক্তিগত ও শারীরিক আকাঙ্খাকে কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে আবর্তন তসলিমার লেখার বৈশিষ্ট্য। এর সাথে তিনি ইসলামধর্ম, কুরআন এবং নবী মুহাম্মদকে (সা:) সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু করেন এবং এ কারণে বাংলাদেশে এবং বিদেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। একটি ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতৃত্ব তাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে এবং তাঁর বিরূদ্ধে ধর্মদ্রহিতারর মাধ্যমে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ আদালতে মামলা করা হয়। । কুরআন ও হাদিসকে ভুল অনুবাদ করে তার ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা প্রদান বাংলাদেশের সাধারণ মুসলমান জনগণের মনে অসন্তোষের সৃষ্টি করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

[সম্পাদনা]নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি

[সম্পাদনা]গ্রন্থ তালিকা

বাংলাদেশের আগামী প্রকাশনীর তাঁর অধিকাংশ গ্রন্থ বাংলাদেশে প্রকাশ করেছে। পশ্চিম বঙ্গে তার প্রধান প্রকাশক প্রকাশক শিবানী মুখোপাধ্যায়।

[সম্পাদনা]কবিতা

  • শিকড়ে বিপুল ক্ষুধা (Hunger in the Roots), ১৯৮১
  • নির্বাসিত বাহিরে অন্তরে (Banished Without and Within), ১৯৮৯
  • আমার কিছু যায় আসে না (I Couldn't Care Less), ১৯৯০
  • অতলে অন্তরীণ (Captive In the Abyss), ১৯৯১
  • বালিকার গোল্লাছুট (Game of the Girls), ১৯৯২
  • বেহুলা একা ভাসিয়েছিল ভেলা (Behula Floated the Raft Alone), ১৯৯৩
  • আয় কষ্ট ঝেঁপে, জীবন দেবো মেপে (Pain Come Roaring Down, I'll Measure Out My Life for You), ১৯৯৪
  • নির্বাসিত নারীর কবিতা (Poems From Exile), ১৯৯৬
  • জলপদ্য (Waterlilies), ২০০০
  • খালি খালি লাগে (Feeling Empty), ২০০৪
  • কিছুক্ষণ থাকো (Stay For A While), ২০০৫
  • ভালোবাসো? ছাই বাসো! (It's your love! or a heap of trash!), ২০০৭
  • বন্দিনী (Prisoner), ২০০৮

[সম্পাদনা]প্রবন্ধ সংকলন

  • নির্বাচিত কলাম (Selected Columns), ১৯৯০
  • যাবো না কেন? যাব (I will go; why won't I?), ১৯৯১
  • নষ্ট মেয়ের নষ্ট গল্প (Fallen prose of a fallen girl), ১৯৯২
  • ছোট ছোট দুঃখ কথা (Tale of trivial sorrows), ১৯৯৪
  • নারীর কোন দেশ নেই (Women have no country), ২০০৭
  • 'নির্বাসন', ২০১২।

[সম্পাদনা]উপন্যাস

  • অপরপক্ষ ১৯৯২
  • শোধ, ১৯৯২. ISBN 978-81-88575-05-3
  • নিমন্ত্রণ, ১৯৯৩
  • ফেরা , ১৯৯৩
  • লজ্জা, ১৯৯৩. ISBN 978-0-14-024051-1.
  • ভ্রমর কইও গিয়া, ১৯৯৪
  • ফরাসি প্রেমিক ,২০০২
  • শরম,২০০৯

[সম্পাদনা]ছোট গল্প

  • দু:খবতী মেয়ে ১৯৯৪
  • মিনু ২০০৭

[সম্পাদনা]আত্মজীবনী

  • Amar Meyebela (My Girlhood), 1999 (ISBN 978-1-58642-051-2)
  • Utal Hawa (Wild Wind), 2002
  • Ka (Speak Up), 2003; published in West Bengal as Dwikhondito (Split-up in Two), 2003
  • Sei Sob Andhokar (Those Dark Days), 2004
  • Ami Bhalo Nei, Tumi Bhalo Theko Priyo Desh ("I am not okay, but you stay well my beloved homeland"), 2006.


[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র

  1.  স্বীয় আত্মজীবনীতে উল্লিখিত তাদের পারিবারিক কথোপকথনের বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় তসলিমা নাসরিনের জন্ম ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে বা আগে।
  2.  Condemned to life as an outsider The Guardian, November 302007
  3.  Chazan, David (1999-01-26). World: South Asia: Taslima goes back into exile. প্রকাশক: BBC। সংগৃহীত হয়েছে: 2009-05-28.
  4.  স্বীয় আত্মজীবনীতে উল্লিখিত তাদের পারিবারিক কথোপকথনের বর্ণনা থেকে প্রতীয়মান হয় তসলিমা নাসরিনের জন্ম ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে বা আগে।
  5.  [দ্রস্টব্যঃ নির্বাচিত কলাম
  6.  তসলিমা নাসরিনের অফিসিয়েল তথ্যতীর্থে এই গ্রন্থের প্রকাশ কাল ১৯৮৬ হিসেবে উল্লিখিত যা ভুল।
  7.  শেষ হয়নি স্টলসজ্জার কাজ
  8.  ফের নিষিদ্ধ করলেন বহুল বিতর্কিক তসলিমা নাসরিনকে
  9.  1994 - Commission nationale consultative des droits de l'homme. প্রকাশক: Cncdh.fr। সংগৃহীত হয়েছে: 2010-12-14.
  10.  [১][অকার্যকর সংযোগ]
  11.  Targett, Simon (1995-02-24). "She who makes holy men fume"Times Higher Education। সংগৃহীত হয়েছে: 2009-06-01.

[সম্পাদনা]আরও দেখুন

[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে ১৫ বছর। রাষ্ট্রপ্রধান চার্লস দে গলের ফরাসী সেনাবাহিনী দখলদারী চালাচ্ছে আলজিরিয়ায়। সেই দখলদারীর বিরুদ্ধে ক্রমাগত লিখে চলেছেন আধুনিক ফ্রান্সের ভলতেয়র, চিন্তাবিদ জ্যঁ পল সার্ত্র। সাধারণ মানুষের কণ্ঠে বিক্ষোভের সুর এনে দিচ্ছে তাঁর লেখনী। স্বভাবতই রেগে আগুন দ্য গলের মন্ত্রিসভার একাংশ। নিষিদ্ধ করা হোক সার্ত্রকে, এমন দাবি নিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে হাজির হন মন্ত্রীরা। তাঁদের নিবৃত্ত করতে দ্য গলের ঐতিহাসিক উক্তি, `রাষ্ট্র কখনও তাঁর ভলতেয়রকে জেলে পোরে না`। 

স্বাধীনোত্তর ভারতে এই দ্বন্দ্বে রাষ্ট্র বহুক্ষেত্রেই দ্য গলের স্থৈর্য্য রাখেনি। জেলে না পুরলেও নির্বাসনে পাঠিয়েছে। যেমন সলমন রুশদি। অথবা গণতন্ত্রের নিয়ম মেনেই গণতন্ত্র হরণের চেষ্টায় নিষিদ্ধ করেছে বিশ্বরূপম। পুলিসের জেরার মুখে বসতে হয় আশিস নন্দীকে। 

অন্যদিকে, ২০০৫ এর সেপ্টেম্বর। ডেনমার্কের পত্রিকা জিল্যান্ড পোস্টেনে হজরত মহম্মদের কার্টুন প্রকাশিত হয়। সমালোচনা আর বিতর্কের ঝড় ওঠে বিশ্ব জুড়ে। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না এই যুক্তিতে প্রাথমিক ভাবে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় না। বিক্ষোভ ক্রমেই হিংসাত্মক রূপ নেয়। সারা বিশ্বে হিংসার আগুনে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। 

কী মনে করেন আপনি? মত প্রকাশের স্বাধীনতার বনাম সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা। এই দ্বন্দ্বে কোন পথে যাবে প্রশাসন? নিচে কমেন্ট সেকশনে আপনার মতামত জানান। আপনার মতামত প্রচারিত হবে আপনার রায় অনুষ্ঠানে। 

বহু টালবাহানার পর অবশেষে দেশের মধ্যে প্রথম মুম্বইতে মুক্তি পেল 'বিশ্বরূপম'-এর হিন্দি সংস্করণ। অন্যদিকে, আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমল হাসান জানালেন গোটা ঘটনায় আসলে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।  তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প 'বিশ্বরূপম'-কে ঘিরে এই বিতর্ক একেবারেই অনঅভিপ্রেত বললেন প্রখ্যাত এইঅভিনেতা। আজ তিনি জানিয়েছেন গোটা ঘটনায় তিনি পীড়িত। কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা তাঁর উদ্দেশ্য নয় বলেও দাবি করলেন তিনি। তবে এর সঙ্গেই কমল হাসান আবারও জানিয়ে দিলেন ''ধর্ম নয়, আমি রাজনীতির শিকার।'' 

আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে কমল হাসান কিছুটা সমালোচনার সুরেই বলেন ''সরকারের কাছে অনুরোধ এই ভাবে কোন সিনেমাকে ছাপ মেরে দেবেন না।'' একদিন আগেই প্রয়োজনে দেশ ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন এই বিশিষ্ট অভিনেতা-প্রযোজক-পরিচালক। আজও সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি জানালেন এই রকম মন্তব্য করার জন্য তিনি মোটেও দুঃখিত নন। সমগ্র বিষয়টি নিয়ে তিনি অতন্ত ক্ষুব্ধ ছিলেন। এখনই দেশ ছেড়ে না গেলেও তাঁর ক্ষোভ মোটেই কমেনি। এই ঘটনা থেকে কেউই লাভবান হবেন না বলেও মনে করেন তিনি। তবে গোটা ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় তিনি অভিভূত বলেও জানান কমল হাসান। এর সঙ্গেই 'বিশ্বরূপম'-এর সমর্থনে যাঁরা গলা তুলেছেন তাঁদেরকেও আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

অন্যদিকে, আজ 'বিশ্বরূপম' প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুললেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক  সম্মেলনে ডিএমকে প্রধান জানিয়ে দিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতেই তামিলনাড়ুতে 'বিশ্বরূপম'-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার সঙ্গে সরকারের সিদ্ধান্তের সাফাই গেয়ে জয়ললিতা বলেছেন ব্যক্তিগত ভাবে কমল হাসানের সঙ্গে তাঁর সরকারের কোন বিরোধ নেই। কিন্তু রাজ্যে হিংসার পরিবেশকে আটকাতেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানান 'আম্মাজি'।  

সাংবাদিক সম্মেলনে জয়ললিতা বলেন ''চব্বিশটি মুসলিম সংঘটন আমাদের কাছে এই সিনেমাটির প্রদর্শনের বিরোধীতা করে পিটিশন জমা দিয়েছে। এই অবস্থায় আমারা বিশ্বরূপমকে ছাড়পত্র দিলে এই সংঘটনগুলির প্রতিবাদ হিংসাত্মক রূপ নিতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।'' ডিএমকে সুপ্রিমো আরও জানিয়েছেন রাজ্যে মোট ৫২৪টি প্রেক্ষাগৃহে নিরাপত্তা দেওয়ার মত লোকবল তাঁর সরকারের নেই। 

অন্যদিকে, নাটকীয় ভাবে সিদ্ধান্ত বদলিয়ে এখনই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না কমল হাসান। মঙ্গলবার মাদ্রাজ হাই কোর্ট নিষেধাজ্ঞা তুললেও বুধবার ফের এই ছবির মুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রাখায় সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন কমল হাসান।

অন্যদিকে 'বিশ্বরূপম' বিতর্কে নিজের টুইটারে নিজের মত জানালের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি। টুইটারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, "সময় এসেছে 'সিনেমাটোগ্রাফ আইন' পুনর্মূল্যায়ন করার, না হলে রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে সিনেমা সেন্সর করবে।" 

সূত্রে খবর, সিনেমাটোগ্রাফ আইন সংস্কারের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে চলেছেন মণীশ তিওয়ারি।

হাই কোর্টে মঙ্গলবারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তামিলনাড়ু সরকার যে আর্জি জানিয়েছিল তার ভিত্তিতেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে আদালত।




ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতার সঙ্গে বৈঠক করে 'বিশ্বরূপমের' বেশ কিছু অংশ বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কমল। এর পরেও সবুজ সঙ্কেত পেল না এই ছবি।


দুহাজার চোদ্দোর লোকসভা নির্বাচনে কি ফের হিন্দুত্বের তাস খেলতে চলেছে বিজেপি? বিজেপি-আরএসএস বৈঠকের পর এই সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ইস্যুটিকে কী ভাবে জাতীয় রাজনীতিতে ফের প্রাসঙ্গিক করে তোলা যায় তা ঠিক করতে আজ সঙ্ঘের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতারা। 

সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন শাখা সংগঠন রাম মন্দির  নির্মাণের পক্ষে প্রচারে নামবে। আর, নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে উন্নয়নের কথা তুলে প্রচার চালাবে বিজেপি। সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগে এই দ্বিমুখী রণকৌশল নিতে চলেছে তারা। সঙ্ঘ পরিবারের উদ্যোগে এলাহাবাদে কুম্ভমেলায় সাধু-সন্তদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সম্মেলন থেকেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফের অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের দাবি তোলা হবে বলে জানা গেছে। 

আজকের বৈঠকে বিজেপির তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ। আরএসএসের তরফে ছিলেন ভাইয়াজি যোশী ও সুরেশ সোনি। দলীয় সভাপতি নির্বাচন নিয়ে আরএসএসের সঙ্গে বিজেপি শীর্ষ নেতাদের মতান্তর কিছুদিন আগেই সামনে এসেছিল। যদিও, বিজেপির নতুন সভাপতি রাজনাথ সিং আজ বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছেন।    


শাহরুখ খানের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতকে আগ বাড়িয়ে পরামর্শ দিয়ে নয়াদিল্লির সমালোচনার মুখে পড়তে হল পাকিস্তানকে। শাহরুখের নিরাপত্তা বাড়াতে সোমবারই ভারতকে পরামর্শ দিয়েছিলেন পাক অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী রেহমান মালিক। নিজের দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক পাকিস্থান। রেহমান মালিককে পাল্টা পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। আগ বাড়িয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য পাকিস্থানের সমালোচনা করেন শাহরুখ খানও। 

শাহরুখের নিরাপত্তা বাড়াতে সোমবারই ভারতকে পরামর্শ দিয়েছিলেন পাক অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী রেহমান মালিক।

বিতর্ক শুরু একটি পত্রিকায় শাহরুখ খানের নিজের লেখা প্রবন্ধ নিয়ে। ওই প্রবন্ধে কিং খান লেখেন, নাইন ইলেভেনের পর মুসলিম হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। বহু রাজনীতিক তাঁকে দেশবিরোধীদের পর্যায়ে ফেলেছেন। অন্য দেশে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। শাহরুখের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর পরামর্শ দেন রেহমান মালিক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কড়া বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। তাঁর বক্তব্য, আগে নিজের দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক পাকিস্তান। ভারত নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। আগ বাড়িয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সমালোচনা করেছেন শাহরুখ খানও। 

ভারতে তিনি ও তাঁর পরিবার যথেষ্ঠ নিরাপদেই আছেন বলেও জানিয়েছেন কিং খান।  


আন্দোলনের হুমকিতে পাহাড়ে ফের অশান্তির মেঘ। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা সুর নরম করলেন। বললেন, ছোটরা কখনও কখনও অভিমান করে। আমি বড়। মেনে নেব।


মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গর তোলা বিভেদের রাজনীতির অভিযোগ উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করলেন, তিনি বিভেদের রাজনীতি করেন না৷ মোর্চাও করবে না৷ রাজ্য সরকার সম্পর্কে মোর্চার ক্ষোভকেও খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বললেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে জিটিএ-কে সব ধরনের সহযোগিতা করছে সরকার। পাহাড়ের উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্য বজায় রাখারও আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ সবার সংবিধান মেনে চলা উচিত৷ মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, তিনি কখনই অশান্তি চান না। পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নতির ওপরই গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেছেন, পাহাড় হাসছে৷ পাহাড়কে হাসানোও তাঁর চ্যালঞ্জ বলে মন্তব্য করেন মমতা৷ পাহাড়ের উন্নয়ন ও শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে রাজ্য সরকার বদ্ধ পরিকর বলে এদিন দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ হিংসার রাজনীতি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। গতকালই গুরুঙ্গ হুঁশিয়ারি দেন গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তাদের আন্দোলন আর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হবে না৷ সেই হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, সংবিধান মেনেই সবাইকে চলতে হবে৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, আমরা যেমন জন্মভূমির স্লোগান দিই, তেমনই মোর্চা গোর্খাল্যান্ডের স্লোগান দেয়৷ ওই স্লোগান না দিলে এদের দল চলবে না৷ আজ শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, গোখার্ল্যান্ডের দাবি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার রাজনৈতিক দাবি৷ তা তাদের থাকতেই পারে বলে এদিন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের কথা জিটিএ চুক্তিতেই উল্লেখ রয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উল্লেখ্য, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী লেপচা উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের ঘোষণা করায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন মোর্চা নেতারা। তাঁরা দাবি করেন, পাহাড়ে বিভেদের রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে মমতা এদিন বলেছেন, প্রয়োজনে বৌদ্ধদের জন্যও আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ ঘোষণা করবেন তিনি।
এর আগে, আজ শিলিগুড়ির এনএইচপিসি বাংলোয় রাজেন সুখিয়া, বিশাল ছেত্রীর মতো পাহাড়ের প্রথম সারির তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বৈঠকে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব সহ সমতলের তৃণমূলের নেতারাও৷ গোর্খাল্যান্ড নিয়ে গুরুঙ্গের হুঁশিয়ারির পর আগামীদিনে মোর্চাকে চাপে রাখতে পাহাড়ে তৃণমূলের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যেই এই বৈঠক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

http://abpananda.newsbullet.in/state/34-more/33086-2013-01-31-10-41-50

উপলক্ষ্য ছিল সুনীল স্মারক বক্তৃতা৷ আর সেখানেই অনাবশ্যক রাজনীতি টেনে এনে বিতর্ক উস্কে দিলেন মমতাপন্থী শিল্পী শুভাপ্রসন্ন৷ সোমবার বইমেলায় সুনীল স্মারক বক্তৃতা দিতে গিয়ে শুভাপ্রসন্ন অভিযোগ করেন, অকৃতীদের উঁচুতে তুলেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আর অনেক কৃতিকেই তিনি দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন৷


নিজের অভিযোগের স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন মমতাপন্থী এই শিল্পী৷ নাম না করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর ব্যাখ্যা, এক ব্যক্তির প্রতি ভালবাসার জন্য সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামের মতো ঘটনায় গর্জে উঠতে পারেননি প্রয়াত সাহিত্যিক৷ 
প্রয়াত এই সাহিত্যিকের শেষযাত্রা হাইজ্যাকের অভিযোগ ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে৷ এবার সেই সাহিত্যিকের সম্পর্কে অভিযোগ করে বিতর্কের ঝড় তুললেন এক মমতাপন্থী৷ সুনীলের স্মৃতিচারণা করলেন শুভাপ্রসন্ন৷ কিন্তু, সেখানে সুনীলের লেখার থেকেও বেশি গুরুত্ব পেল তাঁর ব্যক্তিগত জীবন৷ প্রশ্ন উঠছে, প্রয়াত সাহিত্যিকের স্মরণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে  মন্তব্য কী আদৌ যুক্তিযুক্ত? পাশাপাশি প্রবাদপ্রতীম এই সাহিত্যিক সম্পর্কে মমতাপন্থীর শিল্পীর এই অভিযোগ নয়া বিতর্কের জন্ম দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷  

http://abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/33008-2013-01-29-04-34-23


কাঙ্ক্ষিত নন কলকাতায়, বার্তা রুশদিকে
সলিমা নাসরিনের পর এ বার সলমন রুশদি।
২০০৭-এর নভেম্বরে তসলিমাকে কলকাতা ছাড়তে বাধ্য করেছিল রাজ্য সরকার। সেটা ছিল বামফ্রন্টের রাজত্ব। ২০১৩-র জানুয়ারিতে সলমন রুশদির কলকাতায় আসা ঠেকাল রাজ্য সরকার। যখন জমানা তৃণমূলের। কী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অসহিষ্ণুতার উত্তরাধিকার অব্যাহত কলকাতায়।
অথচ এই কলকাতাই ২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গার সময় গুজরাত থেকে পালিয়ে আসা কুতবউদ্দিনকে আশ্রয় দিয়েছিল। ধর্ম-সম্প্রদায় ভেদে বিপন্ন মানুষ এখানে আশ্রয় পান, এটাই ছিল এই রাজ্য তথা শহরের রেওয়াজ, সংস্কৃতি। কিন্তু ২০০৭-এর ২১ নভেম্বর কলকাতার রাজপথে এক দল লোকের বিশৃঙ্খল তাণ্ডব ও তার জেরে সেনা নামানোর পরিপ্রেক্ষিতে পর দিনই যখন তসলিমাকে এক রকম জয়পুরে যেতে বাধ্য করা হয়, তখনই জানা গিয়েছিল, এই শহরের চরিত্র বদলাচ্ছে। আর বুধবার রুশদি যখন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি সত্ত্বেও তাঁর এক দিনের কলকাতা সফর বাতিল করে দিলেন, তখন বোঝা গেল, এই শহর তার সহিষ্ণুতার ধর্মই হারিয়ে ফেলেছে।
ভারতের স্বাধীনতা ও দেশভাগের প্রেক্ষাপটে রুশদির লেখা 'মিডনাটইস চিলড্রেন'-এর উপর ছবি তৈরি করেছেন দীপা মেটা। বুকার পুরস্কার জয়ী এই উপন্যাসে বাংলার প্রসঙ্গও রয়েছে, সুন্দরবনের সূত্র ধরে। সেই ছবিরই প্রচার উপলক্ষে গত সাত দিন ধরে বিনা বাধায় দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ে গিয়েছেন রুশদি। এবং কোনও রকম ঝঞ্ঝাট ছাড়াই। কলকাতা ছিল দীপাদের প্রচার-তালিকায় একেবারে শেষে। রুশদির সঙ্গে দীপা এবং অভিনেতা রাহুল বসুরও আসার কথা ছিল এখানে। পাঁচ বছর আগেও রুশদি কলকাতায় এসেছিলেন। তখন কোনও গোলমাল হয়নি। তাই রুশদি ঠিক করেছিলেন, কলকাতায় যাচ্ছেন বলে বইমেলাও ঘুরে যাবেন। পুলিশের কাছে রুশদির যে-সফরসূচি এসে পৌঁছয়, তাতে দেখা যায়, তিনি বুধবার সন্ধ্যা সাতটার পর বইমেলায় যাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হল না। রুশদির সঙ্গে দীপাও তাঁর কলকাতা সফর বাতিল করেন। কলকাতায় এ দিন সন্ধ্যায় ছবির প্রচারের ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন শুধু রাহুল বসু। দীপা মেটার স্বামী ডেভিড হ্যামিল্টন ওই ছবির প্রযোজক। গত বছর জয়পুর সাহিত্য উৎসবে রুশদিকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। জয়পুরের দেখানো সেই পথেই এ বার হাঁটল কলকাতা।
কলকাতায় বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র
কী ঘটেছিল মঙ্গলবার? মহাকরণ সূত্রের খবর, এ বার একেবারে শেষ মুহূর্তে, রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরোক্ষে রুশদির কাছে এই মর্মে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় যে, তিনি কলকাতায় কাঙ্ক্ষিত নন। এক জন মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে তাঁকে তা জানায় সরকার। পুলিশের বক্তব্য, রুশদি শহরে ঢুকলে কিছু মৌলবাদী সংগঠন বিক্ষোভ দেখাত, ছড়াত উস্কানি। কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ মঙ্গলবার লালবাজারে যে রিপোর্টটি পাঠায়, তাতে বলা হয়, বিমানবন্দরে নামা মাত্র রুশদিকে বিক্ষোভ, স্লোগান, কালো পতাকা দেখানো বা পথরোধের মুখে পড়তে হতে পারে। কিন্তু লালবাজার ও মহাকরণের আশঙ্কা ছিল, রুশদির এই সফর ঘিরে শহর জুড়ে এর চেয়েও বড় অশান্তি হতে পারে। বস্তুত, এ দিন সকালে দু'টি সংগঠনের 'শ দেড়েক যুবক দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। রুশদির সফর যে বাতিল হয়ে গিয়েছে, সে খবর তাঁদের কাছে ছিল না। পরে খবর পেয়ে তাঁরা ফিরে যান। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, তাঁদের আশঙ্কা অমূলক ছিল না। বিশেষ করে, ২০০৭ সালে তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে ঝুঁকি নেওয়ার পথে রাজ্য হাঁটতে চায়নি। স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তার কথায়, "আমরা রুশদিকে আসতে বারণ করিনি। গোটা পরিস্থিতিটা তাঁকে জানিয়েছিলাম। তার পর তিনি নিজেই সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন।" 
রাজ্যের মুখপাত্র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ববি হাকিমের দাবি, রুশদির কলকাতা সফর নিয়ে রাজ্যের কাছে আগাম খবর ছিল না। তিনি বলেন, "কে রুশদিকে ডেকেছে, কেনই বা তিনি কলকাতায় আসবেন? সরকারের কাছে ওঁর আসার ব্যাপারে আগাম খবর ছিল না। কেউ মনে মনে ভেবে থাকতে পারেন বাংলায় যাব, আবার হয়তো ভেবেছেন যাব না এতে আমাদের কী করার আছে?"
রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তারও দাবি, "মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমাদের কাছে খবর আসে যে, লেখক সলমন রুশদি বুধবার মুম্বই থেকে কলকাতায় আসছেন। সঙ্গে সঙ্গে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানানো হয়, ১২ ঘণ্টা আগে খবর পেয়ে রুশদির জন্য নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা কঠিন। কিছু ক্ষণ পর মুম্বই পুলিশ জানিয়ে দেয়, উনি কলকাতায় আসবেন না।"
মন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা এ কথা বললেও ওই দফতরের অন্য এক কর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার চূড়ান্ত হলেও পুলিশ কিন্তু দু'তিন দিন আগেই জেনেছিল, রুশদির কলকাতায় আসার সম্ভাবনা আছে। প্রশাসনের একাংশ জানিয়েছে, রুশদির নিরাপত্তার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, বুধবার সকালে দশটা দশ নাগাদ মুম্বই থেকে জেট সংস্থার বিমানে (ফ্লাইট নম্বর নাইন ডব্লিউ ৬১৯) কলকাতায় নামার পরে রুশদিকে সকলের চোখের আড়ালে ছয় বা সাত নম্বর গেট দিয়ে বের করে আনা হবে। তার পর সেখানে গাড়ি বদল করে এক পাঁচতারা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। জানা গিয়েছে, সেখানে থেকে তাঁর বাইপাসের ধারে আর একটি পাঁচতারা হোটেলে আসার কথা ছিল 'মিডনাইটস চিলড্রেন'-এর সাংবাদিক বৈঠকে। রুশদি নিজে চেয়েছিলেন বইমেলার এত কাছে এসে সেখানে ঘুরে যেতে।
রুশদি আসতে চেয়েও আসতে পারছেন না, এটা লজ্জার! প্রশাসন ওঁর আসার ব্যাপারে অন্য রকম ভয় পাচ্ছে, এটা দুঃখের!
নিরাপত্তাজনিত কোনও কারণ থাকলে আলাদা কথা! তবে আদর্শগত কারণে আসা নিয়ে আপত্তি করাটা অযৌক্তিক। 
রুশদির ভারতের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছে। কলকাতায় তাঁকে আসতে না-দেওয়া অন্যায়।
লেখকের মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। তবে অবাক হইনি। আমার চেয়ে বড় ভুক্তভোগী আর কে? 
এত কিছুর পরেও তড়িঘড়ি কেন বিশ্বখ্যাত লেখকের জন্য দরজা বন্ধ করে দিল কলকাতা? 
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে সংখ্যালঘুদের ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে, এমন কোনও কাজই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাই রুশদির কলকাতায় আসার খবর পেয়ে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বইমেলার আয়োজকদের ফোন করে জানতে চান, তাঁরা রুশদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কি না এবং তিনি আসছেন কি না। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বইমেলার আয়োজকরা লিখিত ভাবে জানান যে, রুশদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সেই নথি রুশদির কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়। গিল্ড-এর সভাপতি সুধাংশু দে বলেন, "মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিই, রুশদিকে গিল্ড-এর পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ক্যালকাটা লিটারারি মিট-এর তরফে মালবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের জানান, রুশদি নন, তবে রুশদির কাহিনির উপর তৈরি ছবির পরিচালক দীপা মেটা ও রাহুল বসুর উপস্থিত থাকার কথা তাঁদের মঞ্চে।" 
সরকারের এই সিদ্ধান্ত যে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিবৃতিতেই। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কারণে ক্ষুব্ধ সিদ্দিকু্ল্লা কিন্তু এ দিন বলেছেন, "মমতার সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে সংখ্যালঘুদের মন জয়ের চেষ্টা করছে।" তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান ইদ্রিশ আলি তো উচ্ছ্বসিত: "রুশদির পশ্চিমবঙ্গে আসা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন।" ঘটনাচক্রে, ২০০৭-এর নভেম্বরে তসলিমাকে ঘিরে অশান্তির ঘটনায় এই ইদ্রিশকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। 
সিপিএম কিন্তু মাপা ও সতর্ক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "রুশদির কলকাতায় আসা রাজ্য সরকার চাইছে না, এটা সরকারি ভাবে বলা হয়নি। সরকারি ভাবে কিছু বলা না-হলে তার প্রতিক্রিয়া দেওয়া মুশকিল। নতুন করে সমস্যা তৈরি হতে দেওয়া উচিত নয়।" তসলিমাকে কলকাতা থেকে বিতাড়নের দাবিতে যে-দিন তাণ্ডব চলে, সে রাতেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেছিলেন, "তসলিমার থাকা নিয়ে শহরে অশান্তি হলে তাঁর কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়াই উচিত।" 
তবে বিজেপি এর তীব্র সমালোচনা করেছে। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "সলমন রুশদি গুজরাতের যে কোনও শহরে এলে তাঁকে লাল কার্পেট পেতে স্বাগত জানানো হবে।" দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র নির্মলা সীতারামনের কথায়, "সলমন রুশদি, কমলহাসনদের বিরুদ্ধে যা ঘটছে, আমরা সেগুলিকে সঠিক বলে মনে করছি না।" দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, "সিপিএমের আমলে তসলিমা নাসরিন আর তৃণমূলের আমলে সলমন রুশদি। তৃণমূল তো সবেতেই সিপিএমের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে!" 
তসলিমা অবশ্য এ বারের ঘটনায় অবাক নন। বলেছেন, "আমার চেয়ে বড় ভুক্তোভোগী আর কে আছে?" খেদের সঙ্গে তিনি বলেন, "কলকাতা বইমেলায় আমায় যেতে দেওয়া হয় না। আমার বই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। সবাই যেন ভয় পায়।" রুশদির ঘটনায় তাঁর একটাই কথা বলার, "এ রকম ভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না।"কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কেউই এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি নন। সূত্রের বক্তব্য, আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। তাই গোটা বিষয়টি রাজ্যই জানবে। কংগ্রেস মুখপাত্র পি সি চাকো বলেন, "আমাদের দল স্বাধীন মতপ্রকাশের পক্ষে। তবে আমি জানি না ওখানে কী হয়েছে। কোনও ব্যক্তি তাঁর নিজের মত দিতেই পারেন আর দেশের সব জায়গাতেও যেতে পারেন।"
http://www.anandabazar.com/31cal1.html

শিকড়ে ফেরার সুরে শুরু সাহিত্য উৎসব
র্ব করার দিন কলকাতার। কারণ, এই প্রথম কোনও সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধন করলেন অমিতাভ ঘোষ। এই প্রাপ্তি নিয়েই দ্বিতীয় সাহিত্য উৎসবে ঢুকে পড়ল এ শহর। এবং প্রথম 
দিনেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা নিয়ে আলোচনা করলেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। 
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং অমিতাভ ঘোষের হাত ধরে উদ্বোধন। কত দিন বাদে সাহিত্য উৎসবে দেখা গেল 'শ্যাডোলাইন্স'-এর লেখককে? এক দশক আগে রাজস্থানের নিমরানা দুর্গে 'ভারতীয় ইংরেজি সাহিত্য সমাবেশ' উজ্জ্বল হয়েছিল তাঁর উপস্থিতিতে। তার পরে অনেক আলো-আঁধারি। সাহিত্য উৎসবকে 'তামাশা' বলেও অভিহিত করেছিলেন 'ক্যালকাটা ক্রোমোজোম'-এর স্রষ্টা। বৃত্ত কি এত দিনে সম্পূর্ণ হল?
"বৃত্ত-ফিত্ত নয়," হাসলেন লেখক, "গত বারই গোয়ার এক সাহিত্য উৎসবে ছিলাম। আর কলকাতা বইমেলার সঙ্গে কত স্মৃতি! ছোট থেকে ময়দানে গিয়েছি, নিজের শহরের ডাক ফেরানো যায় নাকি?" লিট মিটের উদ্বোধন দেখাল অন্য অমিতাভকে। যিনি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশকে ভোলেননি। উদ্বোধনের বোর্ডে লিখে দিলেন 'কলম'। কলকাতা লিটারারি মিটের আদ্যাক্ষর।
দ্বিতীয় সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অমিতাভ ঘোষ। বুধবার, কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণে। —নিজস্ব চিত্র
এই শহর স্মৃতির শহর। 'অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় জীবন বদলে নিলাম আমি ও নিখিলেশ'...সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'জুয়া' কবিতাটা পড়ছিলেন গায়ত্রী। রণজিৎ গুহের মতো তাঁরও মনে হয়েছে, স্বচ্ছতাই সুনীলের কবিতার প্রধান গুণ। আর সেই স্বচ্ছতাই যেন এই কবিতাগুলিকে অন্য মাত্রায় উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে, 'ফিলজফি আনডান'। কথায় কথায় বিনয় মজুমদারের 'অঘ্রাণের অনুভূতিমালা' কবিতার কথাও বললেন তিনি। জ্ঞানতত্ত্বের মহাকাব্য' কিংবা 'এপিস্টেমোলজিক্যাল এপিক'। কলকাতা স্মৃতির শহর, 'ফিরে এসো চাকা'র শহর।
আরও কত কথাই যে বললেন তিনি! লাইব্রেরির ক্যাটালগে দেরিদা নামটি পছন্দ হয়েছিল, তখনও পড়া হয়ে ওঠেনি। তার পরই 'অন গ্রামাটোলজি' অনুবাদ। বাংলা 'পরিভাষা', 'নিম্নবর্গ', 'বিশ্বায়ন' ইত্যাদি শব্দগুলি যে তাঁর কাছে জবরজং ঠেকে, জানালেন সেই কথাও। কে ভুলতে পারে গায়ত্রীর সেই নিবন্ধ 'ক্যান দ্য সাবঅল্টার্ন স্পিক'! জ্ঞান উৎপাদনও যে রাজনীতির হাতিয়ার, প্রথম বিশ্ব থেকে তৃতীয় বিশ্বে তা সরবরাহ করা হয়, নিবন্ধে দেখিয়েছিলেন তিনি। এখন অবশ্য তৃতীয় বিশ্ব শব্দটি তাঁর কাছে ক্লান্তিকর ঠেকে। যেমন ক্লান্তিকর ঠেকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সিভিল সোসাইটির আন্দোলন! প্রতিবাদ অবশ্যই দরকার, আইন অবশ্যই বদলানো দরকার, কিন্তু আইন বদলই তো সব নয়। যৌতুক না নেওয়ার আইন, বাল্যবিবাহবিরোধী আইন থাকা সত্ত্বেও সেই অনুযায়ী কাজ হয় না কেন? প্রশ্ন তুললেন, কাশ্মীর, অরুণাচল বা সীমান্ত এলাকায় যখন যুদ্ধ চলে, প্রতিনিয়ত ধর্ষণ ঘটে। শুধু দিল্লি বা কলকাতার মতো মেট্রোপলিসে ঘটলেই সেটি নিয়ে নাগরিক সমাজ আন্দোলনে নামে কেন? 'রাষ্ট্র আর সিভিল সোসাইটি, দুইয়ের ব্যর্থতা থেকেই মানবাধিকার আন্দোলনের চিন্তা তৈরি হয়,' বললেন গায়ত্রী। গায়ত্রী এবং অমিতাভ ঘোষই প্রথম দিনের উজ্জ্বল উদ্ধার।
http://www.anandabazar.com/31cal5.html

অসহিষ্ণুতা
মল হাসান অভিনীত তামিল চলচ্চিত্র 'বিশ্বরূপম্' লইয়া জল ঘোলা করিবার বৃত্তান্ত এখনও অসমাপ্ত। চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনের যোগ্যতা অর্থাৎ সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাইয়াছে। তামিলনাড়ুর প্রেক্ষাগৃহগুলিও প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু দুই-একটি সংগঠনের আপত্তি এবং তামিলনাড়ুর রাজ্য প্রশাসনের দুর্বলচিত্ততার ফলে বিচিত্র পরিস্থিতির সৃষ্টি হইয়াছে। আপত্তির কারণ, মুসলিমদের ইহাতে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে দেখানো হইয়াছে কিংবা বলা যায়, সন্ত্রাসবাদীরা এখানে মুসলিম হিসাবে চিত্রিত। বিষয়টি স্পর্শকাতর, এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ভারতে মুসলিমরা যেহেতু ধর্মীয় সংখ্যালঘু, তাই এ ধরনের চিত্রায়ন সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির বিপজ্জনক আশঙ্কা লইয়া উপস্থিত হয়। সেই শঙ্কাই প্রবল আকার ধারণ করিয়াছে।
পরিস্থিতিটি দুর্ভাগ্যজনক। কমল হাসান একজন প্রবীণ চিত্রতারকা এবং পরিচালক। ব্যক্তিগতভাবে তিনি অসাম্প্রদায়িকও বটেন। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আঘাত করার মতো কোনও কাজ যে তিনি সচেতনভাবে করিবেন না, সেই মর্মে রজনীকান্ত, অজিথ, ভারতী রাজা, শরৎ কুমার ও রাধিকার মতো প্রখ্যাত দক্ষিণী চলচ্চিত্রশিল্পীরাও শংসাপত্র দিয়াছেন। কমল হাসান নিজে সংখ্যালঘুদের সংশয় দূর করিতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার আগেই মুসলিমদের জন্য পৃথক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেন, সেখানেও কোনও আপত্তি উচ্চারিত হয় নাই। তথাপি কিছু লোকের প্রতিবাদে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শন ব্যাহত হইয়াছে। শিল্পী ও শিল্পকর্মের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্রে শিরোধার্য হইলেও কোনও সম্প্রদায়ই সহসা এই স্বাধীনতা মঞ্জুর করে না, যূথবদ্ধতার কাছে ব্যক্তি-শিল্পীকে নত হইতেই হয়। বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর তরফে সমালোচনা সম্পর্কে বর্ধমান অসহিষ্ণুতা শিল্পকলার স্বাধিকার খর্ব করে। আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডে যখন দেশের নানা স্থানে সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে 'হিন্দু জঙ্গি'দের দোষারোপ করেন এবং সে জন্য আরএসএস ও সংঘ পরিবারকে দায়ী করেন, তখন সন্ত্রাসবাদীদের সাম্প্রদায়িক পরিচয় লইয়া তাঁহার দৃষ্টিভঙ্গির গোলযোগ ধরা পড়ে। সন্ত্রাসবাদীর কোনও ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক পরিচয় থাকিতেই পারে না, কেননা কোনও ধর্মই সন্ত্রাসবাদ অনুমোদন করে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংজ্ঞায়ন অতএব ভ্রান্ত। বিজেপির ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও তাই অস্বাভাবিক নয়।
কিন্তু প্রতিবাদে সংসদ অচল করিয়া দেওয়া কিংবা দেশময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানোও মনে হয় হিন্দুত্ববাদীদের তরফে অতিরিক্ত স্পর্শকাতর প্রতিক্রিয়া। এ ধরনের বাড়াবাড়িই কিন্তু অসহিষ্ণুতার জন্ম দেয়, অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি অকারণ বিদ্বেষ ও বিরূপতার উত্তেজনা জাগাইয়া তোলে। এই সব কিছুর পরিণামেই সমাজে অবাঞ্ছিত নানা ঘটনা ঘটিতে থাকে। সকলকেই তাই সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করিতে হইবে। কমল হাসানের মতো প্রতিভাবান ও নন্দিত চলচ্চিত্রশিল্পীর দায় ও দায়িত্ব এ ক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে বেশি, কেননা তাঁহাদের শিল্পকর্মের প্রভাব অন্য শিল্পীদের তুলনায় অধিকতর।
http://www.anandabazar.com/31edit2.html

প্রবন্ধ ১...
যদি মূর্খ থাকতে চাও, বইমেলায় যাও
মরা নিজেদের কতটা জানি, কতটা বুঝতে পারি? মাঝে-মাঝে সন্দেহ হয়, গোটা বাঙালি জাতির মানসিক কাঠামো এমন যে মাদক ছাড়া তার বাঁচা অসম্ভব। পুজো-পার্বণগুলিতে তদ্গত দেবদেবী বা ঋতুবন্দনার মধ্য দিয়ে আত্মনিবেদন যতটুকু, তা ছাপিয়ে উত্তেজনার উৎস অন্বেষণ। আদি অভিপ্রেতগুলি ধুয়েমুছে গিয়েছে, এখন শুধু একটি মাতোয়ারার ঝাঁপি থেকে ক্রমান্বয়ে অন্য অন্য উন্মত্ততার ভিড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বছরটিকে কাটিয়ে দেওয়া। দৈনন্দিন জীবনযাপন হয় বড় কঠিন, নয় অতি সাদামাঠা, উত্তেজনার প্লাবনের পর প্লাবন তা ভুলিয়ে দেয়, অন্তত ভুলিয়ে দেবে সেই ভরসায় বাঙালি পুজো-পার্বণ আঁকড়ে থাকে। একটা সময় আসে যখন প্রাচীন ও প্রচলিত পুজো-পার্বণগুলি থেকে আর তেমন 'তার' পাওয়া যায় না, নতুন কোনও মাদকবস্তুর জন্য বাঙালিকে তাই আকুলিবিকুলি শুরু করতে হয়। আংশিক বা পরিপূর্ণ সফলতাও মেলে, যেমন হয়েছে বইমেলার ক্ষেত্রে। বাঙালির ঈষৎ নাক-উঁচু গর্বের সঙ্গে উত্তেজনার নিটোল মিশেল, যা ঘটেছে গত চার-পাঁচ দশকের রুদ্ধশ্বাসে পেরিয়ে আসা বছরগুলিতে।
গত শতকের সত্তরের দশকে বইমেলা একটি মোলায়েম, সীমিত পরিমাপের প্রচার-অনুষঙ্গ হিসেবে পরিকল্পিত হয়েছিল, সম্ভবত বিদেশি অনুপ্রেরণাও কিছুটা কাজ করেছিল। অস্বীকার করে লাভ নেই, প্রাথমিক স্তরে উৎসাহের প্রধান জোগানদার ছিলেন প্রকাশক সম্প্রদায়, এখনও তাঁরাই কলকাতাস্থ কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের হাল ধরে আছেন। কিন্তু একটু একটু করে গোটা ব্যাপারটি আদি উদ্যোক্তাদের গণ্ডি ছাড়িয়ে এক সামাজিক অনুভবে পরিণত হল, আত্মশক্তিই যার চালক। প্রকাশকদের প্রাথমিক পৌরোহিত্যের পালা চুকতে না চুকতেই রাজ্য প্রশাসন এ দিক পানে ঝুঁকল। তার পর হাওয়ায় হাওয়ায় কী যে মাদকতা, পাড়ায় পাড়ায় দাদাদিদিরা এগিয়ে এলেন, তাঁদের গত তো বাঁধাই ছিল, সুরও তৈরি, এমন একটি অভিনব উপলক্ষ, আমরা মিলেছি আজ মেলার ডাকে। পরবর্তী পর্যায়ে বইমেলার বিকেন্দ্রীকরণ শুরু, কলকাতা বইমেলাকে আগলে রাখতে পারল না, প্রতিটি জেলা শহরে, ক্রমে আধো-গ্রাম-আধো-শহর গোছের অঞ্চলে, তার পর গহনতম গ্রামে তা দীপ্তশিখা হয়ে ছড়িয়ে পড়ল। বাঙালি জাতি একটি নতুন পার্বণ আবিষ্কার করল: আমাদের তল্লাটে একটা বইমেলার ব্যবস্থা না করতে পারলে মুখ দেখাব কী করে!
বিদ্যানুরাগী। 'বইমেলা'। কলকাতা ২০১২। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য
যে কোনও পার্বণ একটি সামাজিক বাস্তব হয়ে উঠলে তার জন্মবৃত্তান্তের উৎস নিয়ে বিস্তৃত হওয়া যায়, সমাজবিজ্ঞানীরা জ্ঞানগর্ভ প্রবন্ধ লিখে নানা ধরনের বিশ্লেষণ পেশ করতে পারেন। কেউ কেউ বাঁকা চোখে পার্বণটির মুণ্ডপাতও করতে পারেন। তবে ইতিমধ্যে সেই পার্বণ এর-ওর-তার নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। কী ভাবে বাঙালি বইমেলা এখন থেকে বিবর্তিত হবে, কারও পক্ষেই আর স্পষ্ট প্রত্যয়ে বলা সহজ নয়। বইমেলার ভবিষ্যৎ ইতিহাস এখন থেকে বাঙালির সামগ্রিক সামাজিক প্রক্রিয়া-বিক্রিয়ার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য, বাঙালি সমাজ যে-রকম চাইবে বইমেলাও সে-রকম আদল নেবে।
স্ব-ঘোষিত বাঙালি বুদ্ধিজীবী গর্ব করে দাবি করতে পারেন, এই পার্বণটির উৎসে কোনও ধর্মীয় নামগন্ধ নেই। বাঙালি মানসের একটি বিশেষ ঝোঁক বুদ্ধির চর্চা। বাঙালিদের ধারণা যার কোনও দোসর পৃথিবীর অন্য কোথাও মিলবে না। সেই বুদ্ধির চর্চাই নাকি বইমেলাকে লালন করেছে, পালন করে যাবে। কূপমণ্ডূক আস্ফালন, হয়তো শূন্যকুম্ভের আস্ফালন।
এই পর্যন্ত স্বচ্ছন্দে মেনে নেওয়া যায়। বাঙালি পার্বণ ছাড়া বাঁচতে পারে না। সে একটি নতুন পার্বণের জন্ম দিয়েছে, কৃতিত্বটুকু তার প্রাপ্য। অথচ মুশকিলটা তো সেখানেই, সব পার্বণই তো শেষ পর্যন্ত হুজুগে গিয়ে দাঁড়ায়। বইমেলাই বা সেই ললাটলিখন এড়াতে পেরেছে কি? প্রকাশক সম্প্রদায় খুব বেশি দূর ভাবতে শেখেননি, যতটুকু পেয়েছেন, তা-ই তাঁদের আশাতীত। গোটা প্রাঙ্গণ জুড়ে কর্তালি করবার অধিকার হারানোর দুঃখ তাঁরা পুষে রাখেননি। গন্ধ শুঁকে বৃহৎ পুঁজির মালিকরাও এখন বইমেলার দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত: এক সঙ্গে এত সচ্ছল-সঙ্গতিসম্পন্ন মানুষ বইমেলায় জড়ো হচ্ছেন, সেই সুযোগটা বাজারের স্বার্থে ব্যবহারের প্রতিজ্ঞা তাঁদের চোখেমুখে। তাঁদের দৌলতে বড় বড় বইমেলার অঙ্গ হিসেবে নানা ধরনের সাহিত্য সভাটভা হচ্ছে পর্যন্ত। বইকে ছুতো করে নানা ধরনের টিপ্পনীর সম্ভার, সব মিলিয়ে বইমেলার চরিত্র অন্য যে কোনও পার্বণ থেকে এখন আর আলাদা করা যায় না। মেলা উপলক্ষ করে কয়েকটা দিন ঘোরের মধ্যে কাটানো, সাড়ে বত্রিশভাজা উপভোগ। মেলায় জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতার ব্যবস্থা, বিদগ্ধ ব্যক্তিদের যে-কোনও পার্থিব-অপার্থিব বিষয় নিয়ে আলোচনা, খোঁজ নিয়ে দেখুন, অনেক মেলায় এখন সব ধরনের অনুষ্ঠানাদির আয়োজন হয়। যেমন কাচ্চাবাচ্চাদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা চলে, মেলা প্রাঙ্গণের এই ঘুপচিতে-ওই ঘুপচিতে এক জন-দু'জন জাদুকর জমিয়ে বসেন, অন্য এক কোণে শোনা যায় ঘোর বিপ্লবী রাজনৈতিক বক্তৃতার বহর, খাদ্যরসিকদের নানা বাহানা মেটানোর ব্যবস্থার তো কথাই নেই। কয়েকটা বছর ধৈর্য ধরে থাকুন, সরকার বাহাদুর রাজস্ব বাড়াবার মহান উদ্দেশ্যে বিশেষ বিশেষ পানীয়ের জন্য লাইসেন্স প্রথা চালু করে দেবেন হয়তো-বা। এক কথায় সব ছাপিয়ে নিজেদের দেখবার-দেখাবার উৎসব। ঝলমলে শাড়ি-গয়না-সালোয়ার, উঠতি কবি-সাহিত্যিকদের একান্ত আপন খুদে-পত্রিকার সমারোহ, তিথি মেনে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের জন্য পড়ি-কি-মরি প্রতিযোগিতা, বড়, মাঝারি, খুদে আরও খুদে বইয়ের স্টল, কম্পিউটারের প্রসাদে মরসুমের মেজাজের সঙ্গে খাঁজে খাঁজে মিলিয়ে গ্রন্থপ্রকাশের প্লাবন। লাউডস্পিকারে উচ্চনিনাদে রবীন্দ্রনাথের গানের দাপট তো আছেই। তেমন কেউ যে সেই গানে কান পাতছেন তা নয়, কিন্তু আবহ তো তৈরি হচ্ছে! আবহ তৈরি হচ্ছে বলেই কিনা কে জানে, একটু ছায়া ছায়া আলো-অন্ধকারে কোনও সদ্য-প্রস্ফুটিতা কিশোরী কারও পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে আবিষ্কারের মুগ্ধতায় রূদ্ধবাক্। 
অথচ বইমেলার সাম্রাজ্য যত বিস্তৃততর হচ্ছে বই পড়ার অভ্যেস ততই, আশঙ্কা হয়, অন্তর্হিত হচ্ছে। প্রকাশক-পুস্তকবিক্রেতারা এই মরসুমে প্রচুর ব্যবসা করেন, কিন্তু সম্ভবত মেলা উপলক্ষ করে আরও যাঁরা পসরা সাজিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণেই জড়ো হন তাঁদের বিক্রিবাটার পরিমাণ ঢের বেশি। প্রধানত কোন ধরনের বই বিকিকিনি হয়, তা-ও তো আমাদের জানা। বড়লোকেরা কোনও কালেই বই কেনেন না। মেলার বর্বর ভিড়ে জুটে গিয়ে কেনার তো প্রশ্নই নেই। অন্য দিকে, গরিব নিম্নবিত্তের তো বই কেনার সংগতি নেই। উঠতি মধ্যবিত্তের জীবনবোধে বিপ্লব এসেছে। তাঁরা এমন ধরনের বই খোঁজেন যার সারবত্তা অনুধাবন করে কাজে লাগালে বই পড়ার প্রয়োজনই চিরতরে লুপ্ত হবে। সম্ভ্রান্ততর বইমেলায় ইতিমধ্যেই তো বৈদ্যুতিনগ্রন্থের উপস্থিতি একটু-আধটু টের পাওয়া যাচ্ছে।
বইমেলা জমছে, বাড়ছে, রাজ্য জুড়ে সাক্ষরতার হার পর্যাপ্ত ঊর্ধ্বগতি পাচ্ছে না। মেলাগুলি বিনোদন শিল্পে পরিণত। গরিবগুর্র্বোদের যেহেতু বিনোদনে অধিকার নেই, সাক্ষরতার বাইরেই তাঁদের অধিকাংশ থেকে যাচ্ছেন। ভারী ভারী বইমেলায় ভর-সন্ধ্যায় ঠাসা ভিড়ের সামনে মঞ্চে উপবিষ্ট পণ্ডিতজনেরা এন্তার ভারী ভারী বিষয়ে আলোক বিতরণ করেন। কিন্তু কোথাও সাক্ষরতার সঙ্গে গ্রন্থপাঠের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে সামান্যতম আলোচনাও কানে আসে না। প্রতি বছর গোটা রাজ্যে অন্তত হাজারখানেক নানা পরিমাপের নানা ঘরানার পুস্তকমেলা অনুষ্ঠিত হয়, কলকাতায়, মফস্সল শহরে, গঞ্জে, বন্দরে, বনেবাদাড়ে। যদি প্রতিটি মেলার সঙ্গে নিরক্ষরতা দূরীকরণের একটি সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা যেত, আখেরে বই বেচনেওয়ালাদের লাভ বই ক্ষতি হত না। একটু গুছিয়ে ছক কেটে এগোলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-কর্তাদের সহযোগিতায় উৎসবের দিনগুলি জুড়ে মেলাপ্রাঙ্গণের ঈষৎ নিভৃত কোনও কোণে এ-রকম সাক্ষরতার পাঠশালার ব্যবস্থা করা নিশ্চয়ই সম্ভব। কয়েক লক্ষ নিরক্ষর নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা-বালক-বালিকাদের ওই ক'দিন বইমেলার আশ্রয়ে নিয়ে এসে মজবুত অক্ষর-পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রবর্তন ঘটলে হুজুগ আর নিছক হুজুগ থাকত না। একটু সামাজিক দায়িত্ব পরিপূরণের স্পর্শ লাগত তাতে। 
উদ্যোক্তারা সম্ভবত প্রস্তাবটি হেসে উড়িয়ে দেবেন। এমনিতেই মেলার ওই ক'টা দিন নাওয়া খাওয়া নেই, হাজার বায়নাক্কা সামলাতে হয়। পুলিশের-প্রশাসনের আইনকলা পুঙ্খানুপুঙ্খ মেনে চলা, ক্ষমতার উচ্চমার্গে বিহাররত সমাজ-বিরোধীদের নানা মর্জি ও বায়না মেটানো, আরও কত কী। এর মধ্যে গরিব-হাবড়াদের পাকড়ে এনে ক খ গ শেখানো এবং এটাকে তাঁদের কর্মসূচির মধ্যে ঢোকানো সম্ভবপর নয়। প্রযোজকরা না হয় মুখ ফিরিয়ে রইলেন, প্রশাসনের তরফ থেকেও কি কোনও উদ্যোগ নেওয়া যায় না? রাজ্যের সর্বত্র অধিকাংশ বইমেলা সরকারি খাস-জমি দখল করে অনুষ্ঠিত হয়। তার জন্য সরকার থেকে একটি মামুলি সম্মতিপত্র প্রয়োজন। সম্মতি দেওয়ার শর্ত হিসেবে প্রশাসনের তরফ থেকে কিছু কিছু বাধ্যতামূলক নির্দেশনামা স্বচ্ছন্দে যুক্ত করা যেতে পারে। সাক্ষরতা কর্মসূচি গ্রহণ সেই তালিকার শীর্ষে ঢুকিয়ে দিতে কীসের অসুবিধা? সরকারকে একটু বাড়তি সক্রিয় হতে হবে মাত্র। শর্তটি যথাযথ পালিত হচ্ছে কি না তা নির্ণয় করে পরের বছর মেলার অনুমতি বাতিল করে দেওয়ার সতর্কবাণী ঘোষণাও এমন কিছু কঠিন নয়। অন্য কিছু মহৎ উদ্দেশ্য সাধিত হোক না হোক, প্রশাসনিক চাপ থাকলে মেলার উদ্যোক্তারা অন্তত লেখাপড়ার এবং বইয়ের উপযোগিতা নিয়ে নিজেরা শিক্ষিত হতে পারবেন। 
এই মুহূর্তে বইমেলার সঙ্গে বিদ্যাচর্চার বড় অসদ্ভাব। যদি-মূর্খ-থাকতে-চাও-বইমেলায়-যাও গোছের নিন্দাবাদ যদি খানিকটা বন্ধ হয়, তা হলে, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, এ জগতে ক্ষতি কার?
http://www.anandabazar.com/31edit3.html

শেষ হাসি
পাহাড় হাসছে— দার্জিলিঙের গোর্খাল্যান্ড সমস্যা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা গত কয়েক মাস ধরিয়া স্লোগানে পরিণত হইয়াছিল। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা ইহাকে প্রায় জপমন্ত্রের মতো উচ্চারণ করিতেন। পার্বত্য দার্জিলিঙের জনজাতীয় আত্মপরিচয়ের রাজনীতি এবং আত্মশাসন সংক্রান্ত সমস্যা তিনি সমাধান করিয়া ফেলিয়াছেন, এই মর্মে আস্ফালন ও বাহ্বাস্ফোটও নিত্য শুনা যাইতেছিল। সংশয়বাদীরা তখনই প্রশ্ন তুলিয়াছিলেন, বিমল গুরুঙ্গের সহিত সহাস্য করমর্দনেই পাহাড়ে হাসির ফোয়ারা ছুটানো যায় কি না। সস্তায় এবং সহজে বাজিমাত করার যে প্রবণতা রাজ্য সরকারকে পাইয়া বসিয়াছে, তাহা যে সত্য-সত্যই কোনও কঠিন ও গুরুতর সমস্যার মীমাংসা করিতে অপারগ, এই সন্দেহও ক্রমশ দানা বাঁধিতেছিল। মঙ্গলবার দার্জিলিঙের ম্যালে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় সন্দেহটি সত্য হইয়া দেখা দিল। মুখ্যমন্ত্রী এবং গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের অধুনা নেতা বিমল গুরুঙ্গের উপস্থিতিতেই দর্শক-শ্রোতাদের মধ্য হইতে স্বতন্ত্র গোর্খাল্যান্ড রাজ্য চাহিয়া স্লোগান উঠিল, পোস্টার দেখানো হইল। দার্জিলিঙের 'ভাইবোনেরা' মা-মাটি-মানুষের বঙ্গীয় নেত্রীর তীব্র আপত্তি অগ্রাহ্য করিয়া গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অবিচল রহিলেন।
তাঁহারা যখন দার্জিলিঙে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি জানাইতেছেন, তখন দিল্লির যন্তরমন্তরে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্য নেতারা একই দাবিতে ধর্নায় বসিয়াছেন। অন্ধ্রপ্রদেশকে দ্বিধাবিভক্ত করিয়া পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের সম্ভাবনা মূর্ত হইতেই মোর্চা-নেতৃত্ব গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি সমগ্র দেশবাসীর সামনে তুলিয়া ধরিয়াছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিটিএ অর্থাৎ স্বশাসিত গোর্খা আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করিয়া জনজাতীয় আত্মশাসনের সমস্যা মিটাইয়া ফেলিয়াছেন বলিয়া যে দাবি করিতেছিলেন, তাহা যে কত অসার, মুহূর্তেই তাহা প্রকট। ইহা অপ্রত্যাশিত ছিল না। জনজাতীয় আবেগ যখন আত্মপরিচয়ের প্রশ্নকে ঘিরিয়া আন্দোলিত হয়, তখন কেবল প্রতীকী কিছু সৌজন্য প্রদর্শন ও মিষ্টি হাসি বিনিময়ে তাহা প্রশমিত হওয়ার নয়। মুখ্যমন্ত্রী ভাবিয়াছিলেন, স্বায়ত্তশাসনের এলাকা, এক্তিয়ার ও তহবিলের প্রশ্নটির মীমাংসা না-করিয়াই তিনি কেল্লা ফতে করিয়া ফেলিবেন। তাহা যে হইবার নয়, গোর্খাল্যান্ডের আকাঙ্ক্ষা 'বুকের মধ্যে চাপিয়া রাখিয়া' জিটিএ শিরোধার্য করার নিরুপায় সিদ্ধান্তের মধ্যেই তাহা নিহিত ছিল। উপরন্তু এই জিটিএ-ও যে গোর্খা স্বাধিকারপ্রমত্ততার দাবি পূরণে ব্যর্থ হইবে, তাহাও সমতলের রাজনীতিকদের আচরণে নিশ্চিত হইয়া যায়।
দার্জিলিঙ ম্যালে মুখ্যমন্ত্রী যে জনসভার আয়োজন করেন, তাহাকে উত্তরবঙ্গ উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ রূপে তুলিয়া ধরা হয়, যাহাতে জিটিএ-র স্বতন্ত্র মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পায় নাই। ওই জনসভা হইতে মুখ্যমন্ত্রী যে জমির পাট্টা বিলি করেন, তাহা জিটিএ-র এক্তিয়ারভুক্ত জমি, তাহার পাট্টা বিলি করার হইলে জিটিএ-র আধিকারিকরা করিবেন। একা সব কিছু করার প্রবণতায় মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ-র সেই স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করেন। বিজনবাড়ি সেতুর শিলান্যাস অনুষ্ঠানও জিটিএ-র হাতেই ছাড়িয়া দেওয়া উচিত ছিল। মুখ্যমন্ত্রী যে তাহা করেন নাই, তাহার কারণ পাহাড়ের মানুষের প্রতি সমতলের রাজনীতিকদের চিরাচরিত মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যেই নিহিত। বামফ্রন্ট সরকারের আমলের সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনও পরিবর্তন হয় নাই। তাই বিমল গুরুঙ্গরাও আত্মপরিচয়ের রাজনীতির শামুকখোলের ভিতর ঢুকিয়া গিয়াছেন। গণতন্ত্রের মূল কথাই হইল, দূরবর্তী উপরতলা হইতে (এ ক্ষেত্রে মহাকরণ হইতে) স্থানীয় প্রয়োজন ও চাহিদা অনুমান করা ও তদনুযায়ী সেগুলি নিরসনের একতরফা ব্যবস্থা লওয়ার পরিবর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপরেই উন্নয়নের প্রকল্প রচনা ও রূপায়ণের দায়িত্ব ছাড়িয়া দেওয়া। ঘটিতেছে তাহার বিপরীত। তদুুপরি লেপচাদের জন্য পৃথক 'উন্নয়ন পরিষদ' গঠনের ঘোষণাটি বিভাজনের রাজনীতি অনিবার্য অভিযোগ তুলিয়া নূতন জটিলতা সৃষ্টি করিয়াছে। পাহাড় হাসিতেছে না। সমতলেরও হাসিবার কারণ নাই। গভীর উদ্বেগ যদি হাসি উৎপাদন করে, তাহা সুস্থতার পরিচায়ক নয়।
http://www.anandabazar.com/31edit1.html

নামে বাকস্বাধীনতা,
দেশে সেন্সরেরই বিশ্বরূপ
নিয়া গাঁধীর নির্দেশ। তাই সুর বদলে ফেললেন সুশীলকুমার শিন্দে।
কমলহাসনের 'বিশ্বরূপম' ছবিটি প্রদর্শনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোড়ায় কিন্তু নেতিবাচক মনোভাবই নিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ছবি দেখালে যদি দেশে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে ছবির প্রদর্শন আটকানো যেতেই পারে। তবে বিষয়টি যেহেতু বিচারাধীন ছিল, বিতর্ক থেকে দূরে থাকার কৌশল নিয়েছিল কংগ্রেস। গত কাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট ছবিটিকে ছাড়পত্র দিয়ে আজ আবার নতুন করে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এখন সনিয়ার নির্দেশে মত বদলে শিন্দে বলছেন, "আমরা মুক্ত সমাজে বাস করি। এখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। শিল্পীর স্বাধীনতা রয়েছে।"
সমাজবিদরা মনে করছেন, শিন্দের এই দ্বিমুখিতা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তামিলনাড়ুতে কমলহাসনের ছবি নিয়ে বিতর্কও কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। দেশ জুড়েই এক ধরনের সেন্সরশিপের সংস্কৃতি প্রবল আকার নিচ্ছে বলে মনে করছেন ওঁরা। কখনও জয়পুর সাহিত্য উৎসবে পাকিস্তানের সাহিত্যিকদের আসার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। কখনও আটকানো হচ্ছে সলমন রুশদিকে। কলকাতাতেও রুশদির আসার ব্যাপারে রাজ্য সরকার তথা কলকাতা পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সিপিএম জমানায় তসলিমা নাসরিনকে নিয়েও কলকাতায় একই কাণ্ড হয়েছিল। সেই থেকে তসলিমা এখনও কলকাতা যাওয়ার ছাড়পত্র পাননি। কখনও বিতর্কের নিশানা হয়ে উঠছেন আশিস নন্দী থেকে শাহরুখ খান। কমল নিজে আজ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রয়াত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর ছবি নিয়ে বিতর্ক ও মামলা-মোকদ্দমার জেরেই এ দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন হুসেন। 
সমাজবিদদের চোখে একটা বিষয় স্পষ্ট ভারত যতই বৃহত্তম গণতন্ত্রের বড়াই করুক না কেন, দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিড়ম্বনা কম নয়। ইদানীং কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় মনোভাব নেওয়ার চেষ্টা করছে বটে। নাগরিক সমাজের আন্দোলনের পিছনে গণতান্ত্রিক বিক্ষোভের যৌক্তিকতা স্বীকার করে নিচ্ছেন সনিয়া গাঁধী। কথা বলতে চেয়ে চিঠি লিখছেন অণ্ণা হজারেকে। দিল্লিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন। বিচারপতি জে এস বর্মাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। এ সবই হচ্ছে, কিন্তু সামগ্রিক ভাবে সেন্সর-সংস্কৃতির বদল ঘটছে না বলেই সমাজবিদদের মত। তাঁদের ধারণা, রাজনৈতিক দলগুলি আসলে নিজেদের পিঠ বাঁচাতেই যুব সমাজের অসন্তোষকে খানিকটা স্বীকৃতি দিচ্ছে। কারণ, এই অসন্তোষকে কেন্দ্র করে যুবসমাজ সঙ্ঘবদ্ধ হলে তাদের অস্তিত্বের সঙ্কট দেখা দিতে পারে।
সমাজতত্ত্ববিদরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আদতে প্রায় কোনও দলই এই সেন্সর-সংস্কৃতির বাইরে নয়। আজ হয়তো বিজেপি প্রশ্ন তুলছে, "কংগ্রেসের কোন মুখটা আসল? শিন্দে যখন কমলহাসনের বিপক্ষে বিবৃতি দেন সেটা, নাকি আজ যখন তাঁর পক্ষে বিবৃতি দেন সেটা?" কিন্তু জয়পুর সাহিত্য উৎসবের যাবতীয় বিতর্কে সেই বিজেপিই নীতি-পুলিশের ভূমিকা নিয়েছে।
সলমন রুশদি থেকে শুরু করে পাক লেখকদের ভারতে আসার বিরোধিতা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যখন রুশদিকে কলকাতায় আসতে বারণ করছে, তখন আবার বিজেপি তার তীব্র নিন্দা করছে। তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে কমলহাসনের ছবিকে ঘিরে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে ডিএমকে ও এআইএডিএমকের মধ্যে।
সম্প্রতি দলিত-দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে নিজেই এক বিতর্কের কেন্দ্র হয়ে ওঠা সমাজমনস্তত্ত্ববিদ আশিস নন্দীর মতে, সামগ্রিক ভাবে এখানে যে কোনও শাসক দলের মানসিকতাই সেন্সরমুখী। বাকস্বাধীনতা খর্ব করার ক্ষমতাও তাদেরই হাতে। ক্ষমতার সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারা কী ভাবে ব্যবহার করতে পারছেন, বাকস্বাধীনতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সেটাই বড় প্রশ্ন। 
পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি একটি ব্যঙ্গচিত্রকে কেন্দ্র করেই গ্রেফতার হতে হয়েছিল এক অধ্যাপককে। আজও বিশ্বরূপম-বিতর্কের আবহে দেশ জুড়ে একটি কার্টুনের কথাই মুখে মুখে ফিরেছে গাঁধীমূর্তির নীচে লেখা রয়েছে 'হে রাম'। তাই দেখে এক পুলিশ কনস্টেবল মোবাইল থেকে তাঁর বড় কর্তাকে ফোন করে প্রশ্ন করছেন, "স্যার! এটাও কমলহাসনের একটা সিনেমার নাম। এর উপরেও কি কালি লেপে দেব?"
http://www.anandabazar.com/31desh1.html

Taslima Nasrin

From Wikipedia, the free encyclopedia
Taslima Nasrin

Taslima Nasrin speaking at the 2012 European Atheist Convention
Born25 August 1962 (age 50)
MymensinghEast Pakistan (now in Bangladesh)
Occupationpoetcolumnistnovelist
CitizenshipBangladesh, Sweden
Period 1973 – present
SubjectsHumanism
Literary movement Women's rights, Human rights, Secular movements

Signature

taslimanasrin.com

Taslima Nasrin (Bengaliতসলিমা নাসরিন) (also Taslima Nasreen), born 25 August 1962, is a Bengali author and former physician who has lived in exile since 1994. From a modest literary profile in the late 1980s, she rose to global fame by the end of the 20th century owing to her feminist views and her criticism of Islam in particular and of religion in general.

Since fleeing Bangladesh in 1994, she has lived in many countries;[1] as of June 2011 she lives in New Delhi.[2] She works to build support for secular humanismfreedom of thought,equality for women, and human rights by publishing, lecturing, and campaigning.

Contents

  [hide

[edit]Early career

She was born to Rajab Ali and Idul Ara in the town of Mymensingh in 1962. Her father was a physician, and she followed in his footsteps. She later revealed in her autobiography Amar Meyebela that as a child she was physically abused by her parents and molested by two of her uncles.[3]

After high school in 1976 (SSC) and higher secondary studies in college (HSC) in 1978, she studied medicine at the Mymensingh Medical College an affiliated medical college of the University of Dhaka and graduated in 1984 with an MBBS degree;[4] in college, she showed a propensity for poetry by writing as well as editing a poetry journal. After graduation, she practiced gynaecology at a family planning clinic in Mymensingh,[5] "where she routinely examined young girls who had been raped,"[6] and heard women in the delivery room cry out in despair if their baby was a girl.[7] She was reassigned in 1990 to work in Dhaka.[5] Born into a Muslim family she became an atheist over time.[8] In course of writing she took a feminist approach [9]

[edit]Literary career until Lajja

Early in her literary career, she wrote mainly poetry, and published half a dozen collections of poetry between 1982 and 1993, often with female oppression as a theme, and often containing very graphic language.[7] She started publishing prose in the early 1990s, and produced three collections of essays and four novels before the publication of her 1993 novel Lajja (Bengaliলজ্জা Lôjja), or Shame, in which a Hindu family is persecuted by Muslims. This publication changed her life and career dramatically.

Following the publication of Lajja, Nasrin suffered a number of physical and other attacks. She had written against Islamic philosophy, angering many Muslims of Bangladesh, who called for a ban on her novel. In October 1993, an Islamic fundamentalist group called the Council of Islamic Soldiers offered a bounty for her death.[7][10] In May 1994 she was interviewed by the Kolkata edition of The Statesman, which quoted her as calling for a revision of the Quran; she claims she only called for revision of the Sharia, the Islamicreligious law.[5] In August 1994 she was brought up on "charges of making inflammatory statements," and faced death threats fromIslamic fundamentalists and religious Muslims. A major religious organization claims her to be a "paid agent" of anti-islamists.[citation needed] A hundred thousand demonstrators called her "an apostate appointed by imperial forces to vilify Islam"; a "militant faction threatened to set loose thousands of poisonous snakes in the capital unless she was executed."[11] After spending two months in hiding, at the end of 1994 she escaped to Sweden, consequently ceasing her medical practice and becoming a full-time writer and activist.[12]

At Reason Rally Washington D.C. March 23, 2012

[edit]Life in exile

After fleeing Bangladesh in 1994, Nasrin spent the next ten years in exile in the West. She returned to the east and relocated to Kolkata, India, in 2004, where she lived until 2007. After renewed unrest broke out, and after spending several months in hiding, Nasrin left for the West again in 2008.

[edit]1994–2004, exile in the West

Leaving Bangladesh towards the end of 1994, Nasrin lived in exile in Western Europe and North America for ten years. Her Bangladeshi passport had been revoked; she was granted citizenshipby the Swedish government and took refuge in Germany.[13] She even had to wait for six years (1994–1999) to get a visa to visit India, and never got a Bangladeshi passport to return to the country when her mother,[13] and later her father,[citation needed] were on their death beds.

In March 2000, she visited Mumbai to promote a translation of her novel Shodh (translated by Marathi author Ashok Shahane, the book was called Phitam Phat). Secular groups seized upon the occasion to celebrate freedom of expression, while "Muslim fundamentalist groups...threatened to burn her alive."[14]

[edit]2004–2007, life in Kolkata

In 2004, she was granted a renewable temporary residential permit by India and moved to Kolkata in the state of West Bengal, which shares a common heritage and language with Bangladesh; in an interview in 2007, after she had been forced to flee, she called Kolkata her home.[15] The government of India extended her visa to stay in the country on a periodic basis, though it refused to grant her Indian citizenship. While living in Kolkata, Nasrin regularly contributed to Indian newspapers and magazines, including Anandabazar Patrikaand Desh, and, for some time, wrote a weekly column in the Bengali version of The Statesman. Again her anti-Islam comments met with opposition from religious fundamentalists: in 2006, Syed Noorur Rehaman Barkati, the imam of Kolkata's Tipu Sultan Mosque, admitted offering money to anyone who "blackened [that is, publicly humiliated] Ms Nasreen's face."[16] Even abroad she caused controversy: in 2005, she tried to read an anti-war poem titled "America" to a large Bengali crowd at the North American Bengali Conference at Madison Square Garden in New York City, and was booed off the stage.[17] Back in India, the "All India Muslim Personal Board (Jadeed)" offered 500,000 rupees for her beheading in March 2007. The group's president, Tauqir Raza Khan, said the only way the bounty would be lifted was if Nasrin "apologises, burns her books and leaves."[18]

[edit]Expulsion from Kolkata

On August 9, 2007, Nasrin was in Hyderabad to present the Telugu translation of one of her novels, Shodh, when she was attacked by a mob of violent intruders, led by legislators from the All India Majlis-e-Ittehadul Muslimeen, a Muslim political party.[19][20] A week later, on August 17, Muslim leaders in Kolkata revived an old fatwa against her, urging her to leave the country and offering an unlimited amount of money to anybody who would kill her.[21] On November 21, Kolkata witnessed a violent protest against Nasrin by Muslims. A protest organized by the militant islamist "All India Minority Forum" caused chaos in the city and forced the army's deployment to restore order.[22] After the riots, Nasrin was forced to move from Kolkata, her "adopted city,"[23] to Jaipur, and to New Delhi the following day.[24][25][26]

[edit]House arrest in New Delhi

The government of India kept Nasrin in an undisclosed location in New Delhi, effectively under house arrest, for more than seven months.[27] In January 2008, she was selected for the Simone de Beauvoir award in recognition of her writing on women's rights,[28] but declined to go to Paris to receive the award, fearing that she would not be allowed to re-enter India.[29] She explained that "I don't want to leave India at this stage and would rather fight for my freedom here,"[30] but she had to be hospitalized for three days with several complaints.[31] The house arrest quickly acquired an international dimension: in a letter to London-based human rights organisationAmnesty International, India's former foreign secretary Muchkund Dubey urged the organization to pressure the Indian government so Nasrin could safely return to Kolkata.[32]

From New Delhi, Nasrin commented: "I'm writing a lot, but not about Islam, It's not my subject now. This is about politics. In the last three months I have been put under severe pressure to leave [West] Bengal by the police."[6] In an email interview from the undisclosed safehouse, Nasrin talked about the stress caused by "this unendurable loneliness, this uncertainty and this deathly silence." She canceled the publication of the sixth part of her autobiography Nei Kichu Nei ("No Entity"), and—under pressure—deleted some passages from Dwikhondito, the controversial book that was the boost for the riots in Kolkata.[33] She was forced to leave India on March 19, 2008.

[edit]Move to Sweden and New Delhi

Nasrin moved to Sweden in 2008 and later worked as a research scholar at New York University.[34] Since, as she claims, "her soul lived in India," she also pledged her body to that country, by awarding it for posthumous medical use to Gana Darpan, a Kolkata-basedNGO, in 2005.[35] She eventually returned to India, but was forced to stay in New Delhi as the West Bengal government refused to permit her entry.

[edit]Literary works

Nasrin started writing poetry when she was thirteen. While still at college in Mymensingh, she published and edited a literary magazine,SeNjuti ("Light in the dark"), from 1978 to 1983. She published her first collection of poems in 1986. Her second collection, Nirbashito Bahire Ontore ("Banished within and without") was published in 1989. She succeeded in attracting a wider readership when she started writing columns in late 1980s, and, in the early 1990s, she began writing novels, for which she has won significant acclaim.[23] In all, she has written more than thirty books of poetry, essays, novels, short stories, and memoirs, and her books have been translated into 20 different languages.

Her own experience of sexual abuse during adolescence and her work as a gynaecologist influenced her a great deal in writing about the treatment of women in Islam and against religion in general.[6] Her writing is characterized by two connected elements: her struggle with the Islam of her native culture, and her feminist philosophy. She cites Virginia Woolf and Simone de Beauvoir as influences, and, when pushed to think of one closer to home, Begum Rokeya, who lived during the time of undivided Bengal.[36] Her later poetry also evidences a connection to place, to Bangladesh and India.[37]

[edit]Columns and essays

In 1989 Nasrin began to contribute to the weekly political magazine Khaborer Kagoj, edited by her second husband, Nayeemul Islam Khan, and published from Dhaka. Her feminist views and anti-religion remarks articles succeeded in drawing broad attention, and she shocked the religious and conservative society of Bangladesh by her radical comments and suggestions.[citation needed] Later she collected these columns in a volume titled Nirbachita Column, which in 1992 won her first Ananda Purashkar award, a prestigious award for Bengali writers. During her life in Kolkata, she contributed a weekly essay to the Bengali version of The Statesman, called Dainik Statesman.

[edit]Novels

In 1992 Nasrin produced two novellas which failed to draw attention.

Her breakthrough novel Lajja (Shame) was published in 1993, and attracted wide attention because of its controversial subject matter. It contained the graphic description of a rape of a Hindu woman by a Muslim man.[38][39] Initially written as a thin documentary, Lajja grew into a full-length novel as the author later revised it substantially. In six months' time, it sold 50,000 copies in Bangladesh before being banned by the government that same year.[38]

Her other famous novel is French Lover, published in 2002.

[edit]Autobiography

Her memoirs are renowned for their candidness, which has led to a number of them being banned in Bangladesh and India. Amar Meyebela (My Girlhood, 2002), the first volume of her memoir, was banned by the Bangladeshi government in 1999 for "reckless comments" against Islam and the prophet Mohammad.[40] Utal Hawa (Wild Wind), the second part of her memoir, was banned by the Bangladesh government in 2002.[41] Ka (Speak up), the third part of her memoir, was banned by the Bangladeshi High Court in 2003. Under pressure from Indian Muslim activists, the book, which was published in West Bengal as Dwikhandita, was banned there also; some 3,000 copies were seized immediately.[42] The decision to ban the book was criticized by "a host of authors" in West Bengal,[43]but the ban wasn't lifted until 2005.[44][45] Sei Sob Ondhokar Din guli (Those Dark Days), the fourth part of her memoir, was banned by the Bangladesh government in 2004.[46][47]

She received her second Ananda Purashkar award in 2000, for her memoir Amar Meyebela (My Girlhood, published in English in 2002).

[edit]Nasrin's life and works in adaptation

Nasrin's life is the subject of a number of plays and songs, in the east and the west. The Swedish singer Magoria sang "Goddess in you, Taslima,"[48] and the French band Zebda composed "Don't worry, Taslima" as a homage.[49]

Her work has been adapted for TV and even turned into music. Jhumur was a 2006 TV serial based on a story written especially for the show.[50] Bengali singers like Fakir Alamgir, Samina Nabi, Rakhi Sen sang her songs.[citation needed] Steve Lacy, the jazz soprano saxophonist, met Nasrin in 1996 and collaborated with her on an adaptation of her poetry to music. The result, a "controversial" and "compelling" work called The Cry, was performed in Europe and North America.[51] Initially, Nasrin was to recite during the performance, but these recitations were dropped after the 1996 Berlin world premiere because of security concerns.[52]

[edit]Writers and intellectuals for and against Nasrin

Nasrin has been criticized by writers and intellectuals in both Bangladesh and West Bengal for targeted scandalization. Because of "obnoxious, false and ludicrous" comments in Ka, "written with the 'intention to injure the reputation of the plaintiff'", Syed Shamsul Haq, Bangladeshi poet and novelist, filed a defamation suit against Nasrin in 2003. In the book, she mentions that Haq confessed to her that he had had a relationship with his sister-in-law.[53] A West Bengali poet, Hasmat Jalal, did the same; his suit led to the High Court banning the book, which was published in India as Dwikhondito.[54]

Nearly 4 million dollars were claimed in defamation lawsuits against Nasrin by fellow writers in Bangladesh and West Bengal after the publication of Ka / Dwikhandita. Writer Sunil Gangopadhyay, with 24 other intellectuals pressured the West Bengal government to ban Nasrin's book in 2003.[55] Taslima answered why she wrote about known people without their permission when some commented that she did it to earn fame. Taslima defended herself against all the allegations. She wrote why she dared not to hide her sexual relations,[56] she said that she wrote her life's story, not others'. Yet Nasrin enjoyed support of Bengali writers and intellectuals likeAnnada Shankar RaySibnarayan Ray and Amlan Dutta.[57]

Recently she was supported and defended by personalities such as author Mahasweta Devi, theater director Bibhas Chakrabarty, poetJoy Goswami, artist Prakash Karmakar and Paritosh Sen.[58] In India, noted writers Arundhati RoyGirish Karnad, and many others defended her when she was under house arrest in Delhi in 2007, and co-signed a statement calling on the Indian government to grant her permanent residency in India or, should she ask for it, citizenship.[59] In Bangladesh Kabir Chaudhury (writer and philosopher)[60]also supported her strongly.

[edit]Awards

Taslima Nasrin is receiving Ananda Award in 2000

Taslima has received a number of international awards in recognition of her uncompromising demand for freedom of expression. Awards and Honours given to her include the following:

[edit]Bibliography

[edit]Books by Taslima Nasrin

[edit]Poetry

  • Shikore Bipul Khudha (Hunger in the Roots), 1982
  • Nirbashito Bahire Ontore (Banished Without and Within), 1989
  • Amar Kichu Jay Ashe Ne (I Couldn't Care Less), 1990
  • Atole Ontorin (Captive In the Abyss), 1991
  • Balikar Gollachut (Game of the Girls), 1992
  • Behula Eka Bhashiyechilo Bhela (Behula Floated the Raft Alone), 1993
  • Ay Kosto Jhepe, Jibon Debo Mepe (Pain Come Roaring Down, I'll Measure Out My Life for You), 1994
  • Nirbashito Narir Kobita (Poems From Exile), 1996
  • Jolpodyo (Waterlilies), 2000
  • Khali Khali Lage (Feeling Empty), 2004
  • Kicchukhan Thako (Stay For A While), 2005
  • Bhalobaso? Cchai baso (It's your love! or a heap of trash!), 2007
  • Bondini (Prisoner), 2008

[edit]Essay collections

  • Nirbachito Column (Selected Columns), 1990
  • Jabo na keno? jabo (I will go; why won't I?), 1991
  • Noshto meyer noshto goddo (Fallen prose of a fallen girl), 1992
  • ChoTo choTo dukkho kotha (Tale of trivial sorrows), 1994
  • Narir Kono Desh Nei (Women have no country), 2007

[edit]Novels

  • Oporpokkho (The Opponent), 1992.
  • Shodh, 1992. ISBN 978-81-88575-05-3. Trans. in English as Getting Even.
  • Nimontron (Invitation), 1993.
  • Phera (Return), 1993.
  • Lajja, 1993. ISBN 978-0-14-024051-1. Trans. in English as Shame.
  • Bhromor Koio Gia (Tell Him The Secret), 1994.
  • Forashi Premik (French Lover), 2002.
  • Shorom (Shame Again), 2009.

[edit]Short stories

  • Dukkhoboty meye (Sad girls), 1994
  • Minu, 2007

[edit]Autobiography

  • Amar Meyebela (My Girlhood), 1999 (ISBN 978-1586420512)
  • Utal Hawa (Wild Wind), 2002
  • Ka (Speak Up), 2003; published in West Bengal as Dwikhondito (Split-up in Two), 2003
  • Sei Sob Andhokar (Those Dark Days), 2004
  • Ami Bhalo Nei, Tumi Bhalo Theko Priyo Desh ("I am not okay, but you stay well my beloved homeland"), 2006.
  • Nei, Kichu Nei ( Nothing is there), 2010
  • Nirbasan ( Exile), 2012

[edit]Titles in English

  • Nāsarina, Tasalimā (2005). All About Women. New Delhi: Rupa & Co. ISBN 81-291-0630-2.
  • Nāsarina, Tasalimā; Kabir Chowdhury (trans.) (1997). 100 poems of Taslima Nasreen. Dhaka: Ananya. ISBN 984-412-043-8.
  • Nāsarina, Tasalimā; Carolyne Wright (trans.) (c1995). The Game in Reverse: Poems. New York: George Braziller. ISBN 0-8076-1391-6.
  • Nāsarina, Tasalimā; Rani Ray (trans.) (2005). Homecoming. New Delhi: Srishti Publishers. ISBN 81-88575-55-0. Trans. of Phera.
  • Nāsarina, Tasalimā (1994). Shame. New Delhi: Penguin. ISBN 0-14-024051-9. Trans. of Lajja.
  • Nāsarina, Tasalimā; Carolyne Wright (trans.) (1992). Light Up at Midnight: Selected Poems. Dhaka: Biddyaprakash. ISBN 984-422-008-4.
  • Nāsarina, Tasalimā; Ashim Chowdhury (trans.) (c2005). Love poems of Taslima Nasreen. New Delhi: Rupa & Co.. ISBN 81-291-0628-0.
  • Nāsarina, Tasalimā; Gopa Majumdar (trans.) (2002). My Bengali Girlhood. South Royalton: Steerforth Press. ISBN 1-58642-051-8.Trans. of Meyebela
  • Nāsarina, Tasalimā; Gopa Majumdar (trans.) (2001). My Girlhood: An Autobiography. New Delhi: Kali for Women. ISBN 81-86706-33-X.
  • Nāsarina, Tasalimā; Debjani Sengupta (trans.) (2004). Selected Columns. New Delhi: Srishti Publishers. ISBN 81-88575-28-3.Trans. of Tasalimā Nāsarinera nirācita kalāma.
  • Nāsarina, Tasalimā; Kankabati Datta (trans.) (1997). Shame: A Novel. Amherst: Prometheus Books. ISBN 1-57392-165-3.
  • Nāsarina, Tasalimā; Rani Ray (trans.) (2003). Shodh: Getting Even. New Delhi: Srishti Publishers. ISBN 81-88575-05-4.
  • Nāsarina, Tasalimā; Nandini Guh (trans.) (2006). Wild Wind: My Stormy Youth, an Autobiography. New Delhi: Srishti Publishers.ISBN 81-88575-85-2.

[edit]Secondary works

[edit]See also

[edit]References

  1. ^ Chazan, David (1999-01-26). "World: South Asia: Taslima goes back into exile". BBC. Retrieved 2009-05-28.
  2. ^ "I am a Bengali writer, I need to live in Bengal" Open the Magazine, 2011-June-1
  3. ^ Nasrin, Taslima (1998). Meyebela: My Bengali Girlhood. Steerforth Press. pp. 94–95. ISBN 1-58642-051-8.
  4. ^ "Taslima Nasrin". English.emory.edu. Retrieved 2010-12-14.
  5. a b c "Nasrin Sahak, Taslima: Bangladeshi author"Encyclopædia Britannica. Retrieved 2009-05-28.
  6. a b c "Bangladeshi Writer Taslima Nasrin Speaks from Hiding: 'Condemned to Life as an Outsider'"The Guardian (London). 2007-11-30. Retrieved 2009-05-28.
  7. a b c d Targett, Simon (1995-02-24). "She who makes holy men fume"Times Higher Education. Retrieved 2009-06-01.
  8. ^ She described herself as a delegate of the NGO International Humanist and Ethical Union at Commission V of UNESCO's General Conference: "I was born in a Muslim family, but I became an atheist." Nasreen, Taslima (1999-11-12). "For freedom of expression".UNESCO. Retrieved 2009-05-28.
  9. ^ O'Connor, Ashling (2007-11-30). "Feminist author rewrites novel after death threats from Muslim extremists"The Times (London). Retrieved 2009-05-28.
  10. ^ "Bangladesh: A group called the Sahaba Soldiers; the goals and activities of the group; treatment of those who hold progressive religious and social views by the Sahaba Soldier members (1990–2003)"UNHCR. 2003-07-29. Retrieved 2009-06-01.
  11. ^ Walsh, James; Farid Hossain, Anita Pratap, Jefferson Penberthy (1994-08-15). "Death To the Author"Time. Retrieved 2009-06-01.
  12. ^ "Bangladeshi author and doctor Taslima Nasreen threatened by Islamic fundamentalists". Fileroom. Retrieved 2009-05-28.
  13. a b Richards, David (25 July 1998). "Home is where they hate you"The Nation. Retrieved 8 March 2010.
  14. ^ Bavadam, Lyla (18–31 March 2000). "From Bangladesh, with courage"Frontline 17 (6). Retrieved 2009-06-01.
  15. ^ Dam, Marcus (2007-11-26). "Kolkata is my home"The Hindu. Retrieved 2009-05-30.
  16. ^ Bhaumik, Subir (2006-06-27). "Cleric quizzed over author threat". BBC News. Retrieved 2009-06-01.
  17. ^ "Conventions light up July 4 weekend". India Abroad. 2005-07-15.
  18. ^ "Indian Muslim Body Offers Reward for Killing a Female Journalist"Assyrian International News Agency. 2007-03-17. Retrieved 2009-06-01.
  19. ^ "Taslima roughed up in Hyderabad"The Hindu. 2007-08-10. Retrieved 2009-05-31.
  20. ^ "Target Taslima: No room for critics in Islam?"CNN-IBN. 2007-08-10. Retrieved 2009-05-31.
  21. ^ Hossain, Rakeeb (2007-08-18). "Fatwa offers unlimited money to kill Taslima"Hindustan Times. Retrieved 2009-05-31.
  22. ^ "Army deployed after Calcutta riot". BBC News 2007-11-21. Retrieved 2009-05-31.
  23. a b "Taslima Nasreen: Controversy's child". BBC News. 2007-11-23. Retrieved 2009-05-31.
  24. ^ Ramesh, Randeep (2007-11-27). "Bangladeshi writer goes into hiding"The Guardian (London). Retrieved 2009-05-31.
  25. ^ "Shunned writer Taslima Nasreen arrives in Indian capital". DPA. 2007-11-23. Retrieved 2009-05-31.
  26. ^ Bhaumik, Subir (2007-11-22). "Calcutta calm after day of riots". BBC News. Retrieved 2009-05-31.
  27. ^ Vij-Aurora, Bhavna (2007-12-08). "Bad hair days, short of colour: Taslima misses beauty regime and machher jhol in 'house arrest'".The Telegraph. Retrieved 2009-05-31.
  28. ^ "Top French honour for Taslima Nasreen"Hindustan Times. 2008-01-14. Retrieved 2009-05-31.
  29. ^ "Taslima says 'no' to Sarkozy's invitation for French honour"The Statesman. 2008-01-25. Retrieved 2009-05-31.[dead link]
  30. ^ "Taslima wants freedom in India". Reuters/New Age Front Page. 2008-02-19. Retrieved 2009-05-31.
  31. ^ "'Freedom' in hospital, for three nights"The Telegraph. 2008-01-31. Retrieved 2009-05-31.
  32. ^ "Amnesty help on Taslima sought"The Statesman. 2008-02-01. Retrieved 2009-05-31.[dead link]
  33. ^ Bhattacharya, Kajari (2008-01-21). "I've lost all creative freedom: Taslima"The Statesman. Retrieved 2009-05-31.[dead link]
  34. ^ "A memory of home". Ibnlive.in.com. 2010-02-03. Retrieved 2010-12-14.
  35. ^ "Writer Taslima pledges body to Indian NGO". 2005-03-07. Retrieved 2009-05-30.
  36. ^ "Times Higher Education interview". Timeshighereducation.co.uk. 1995-02-24. Retrieved 2010-12-14.
  37. ^ "Statement on Taslima Nasreen's departure from India"Mainstream. 2008-04-07. Retrieved 2009-05-31.
  38. a b "Radicals in Bangladesh Want Writer Put to Death". The State: p. 4A. 1993-09-25.
  39. ^ Ahmed, Anis (1993-10-31). "Bangladesh Author Has Bounty on Her Head". Chicago Tribune: p. 11.
  40. ^ Ahmed, Kamal (1999-08-13). "Bangladesh bans new Taslima book". BBC News. Retrieved 2009-06-01.
  41. ^ "Bangladesh bans third Taslima book". BBC News. 2002-08-27. Retrieved 2009-06-01.
  42. ^ "Bengal bans Taslima's book"The Hindu. 2003-11-28. Retrieved 2009-06-01.
  43. ^ Joshua, Anita (2004-02-18). "West Bengal Government assailed for banning Taslima's book"The Hindu. Retrieved 2009-06-01.
  44. ^ Dhar, Sujoy (2005). "Arts Weekly/Books: Split By Leftists and Fanatics"Inter Press Service. Retrieved 2009-06-01.
  45. ^ "Court lifts ban on Nasreen's book in Bengal"Rediff.com. 2005-09-23. Retrieved 2009-06-01.
  46. ^ "Exiled Taslima Nasrin to return to Bangladesh". Indian Muslims. 2007-07-16. Retrieved 2009-06-01.
  47. ^ "New book banned at behest of Islamic bigots: Taslima"Press Trust of India. 2004-02-20. Retrieved 2009-06-01.
  48. ^ Magoria (1994-01-01). "Goddess in you Taslima Nasreen". Retrieved 2009-05-31.[dead link]
  49. ^ "Zebda: Taslima". Last.fm. Retrieved 2009-05-31.
  50. ^ "Rebel with a cause: Screen On & Off"The Telegraph. 2006-04-27. Retrieved 2009-05-31.
  51. ^ Huotari, Allen. "Steve Lacy: The Cry"All About Jazz. Retrieved 2009-05-31.
  52. ^ Shoemaker, Bill (December 1997). "Steve Lacy: Making the Words Swing"JazzTimes. Retrieved 2009-05-31.
  53. ^ "Syed Shamsul Huq files Tk 10 cr defamation suit against Taslima"The Independent (Bangladesh). 2003-11-10. Retrieved 2009-05-31.
  54. ^ Habib, Haroon; Suhrid Sankar Chattopadhyay (2003-12-19). "A Shocker from Taslima: Taslima Nasreen's New Book Causes a Furore in the Literary Circles of Dhaka and Kolkata"Frontline. Retrieved 2009-05-31.
  55. ^ "Fishing for trouble". Hinduonnet.com. 2004-02-05. Retrieved 2010-12-14.
  56. ^ "homeless everywhere" (PDF). Retrieved 2010-12-14.
  57. ^ "Taslima's visit to India"International Humanist and Ethical Union. 1999-10-28. Retrieved 2009-05-31.
  58. ^ Dhiman Chattopadhyay, TNN, Dec 5, 2003, 02.07am IST (2003-12-05). "Literati rise late to Taslima defence". Timesofindia.indiatimes.com. Retrieved 2010-12-14.
  59. ^ "Intellectuals Demand Indian Citizenship To Taslima Nasreen"Mainstream. 2008-02-24. Retrieved 2009-05-31.
  60. ^ "Prof Kabir Chawdhury". Secularvoiceofbangladesh.org. Retrieved 2010-12-14.
  61. ^ "1994 – Commission nationale consultative des droits de l'homme". Cncdh.fr. Retrieved 2010-12-14.
  62. ^ [1][dead link]
  63. ^ "Eleanor Smeal Announces 1994 Feminist of the Year Awards". Hartford-hwp.com. 1995-01-03. Retrieved 2010-12-14.
  64. ^ [2][dead link]
  65. ^ International Humanist and Ethical Union (2006-03-03). "IHEU awards | International Humanist and Ethical Union". Iheu.org. Retrieved 2010-12-14.
  66. ^ "Festivity of the Erwin Fischer Award 2002 to Ms. Taslima Nasrin | International League of Non-religious and Atheists". IBKA. Retrieved 2010-12-14.
  67. ^ [3][dead link]
  68. ^ "Carr Center for Human Rights Policy". Hks.harvard.edu. Retrieved 2010-12-14.
  69. ^ "UNESCO – Taslima Nasrin, winner of the 2004 UNESCO-Madanjeet Singh Prize for the promotion of tolerance and non-violence". Portal.unesco.org. 2004-10-14. Retrieved 2010-12-14.
  70. ^ Banerjee, Sudeshna (2005-04-30). "Bitter, Taslima stays afloat"The Telegraph (Kolkata). Retrieved 2009-06-01.
  71. ^ [4][dead link]
  72. ^ "Le Groupe Femmes, Politique et Démocratie reçoit le prestigieux 'Prix Condorcet-Aron' du Centre de recherche et d'étude politique de Belgique". 2005-09-22. Retrieved 2009-06-01.
  73. ^ "Official Home Page of Taslima Nasrin". Taslimanasrin.com. Retrieved 2010-12-14.
  74. ^ Hogan, Ron (2009-10-23). "Feminist Press Celebrates 39th Anniversary – GalleyCat". Mediabistro.com. Retrieved 2010-12-14.

[edit]External links

View page ratings
Rate this page
Trustworthy
Objective
Complete
Well-written

Salman Rushdie

From Wikipedia, the free encyclopedia
Salman Rushdie

Rushdie at the 2012 Tribeca Film Festival Vanity Fair party
BornAhmed Salman Rushdie
19 June 1947 (age 65)
BombayBombay Presidency,British India
(now Mumbai, Maharashtra, India)
OccupationWriter
Nationality British
EthnicityKashmiri Indian[1][2]
Alma materKing's College, Cambridge
Genres
Subjects
Spouse(s)
Children2 sons



Signature

Sir Ahmed Salman Rushdie (Kashmiriअहमद सलमान रुशदी (Devanagari)احمد سلمان رشدی(Nastaʿlīq)pron.: /sælˈmɑːn ˈrʊʃdi/;[3] born 19 June 1947) is a British Indian novelist and essayist. His second novel, Midnight's Children (1981), won the Booker Prize in 1981. Much of his fiction is set on the Indian subcontinent. He is said to combine magical realism with historical fiction; his work is concerned with the many connections, disruptions and migrations between East and West.

His fourth novel, The Satanic Verses (1988), was the centre of a major controversy, provoking protests from Muslims in several countries, some violent. Death threats were made against him, including a fatwā issued by Ayatollah Ruhollah Khomeini, the Supreme Leader of Iran, on 14 February 1989.

Rushdie was appointed Commandeur de l'Ordre des Arts et des Lettres of France in January 1999.[4] In June 2007, Queen Elizabeth II knighted him for his services to literature.[5] In 2008, The Times ranked him thirteenth on its list of the fifty greatest British writers since 1945.[6]

Since 2000, Rushdie has lived in the United States, where he has worked at Emory University and was elected to the American Academy of Arts and Letters. His most recent book is Joseph Anton: A Memoir, an account of his life in the wake of the controversy overThe Satanic Verses.

Contents

  [hide

Early life and family background

The only son of Anis Ahmed Rushdie, a University of Cambridge-educated lawyer turned businessman, and Negin Bhatt, a teacher, Rushdie was born in Bombay, India, into a Muslim family of Kashmiri descent.[1][7][8] Rushdie wrote in his 2012 memoir that his father adopted the name Rushdie in honour of Averroes (Ibn Rushd). He was educated at Cathedral and John Connon School in Mumbai,Rugby School, and King's CollegeUniversity of Cambridge, where he studied history.

Career

Copywriter

Rushdie's first career was as a copywriter, working for the advertising agency Ogilvy & Mather, where he came up with "irresistibubble" for Aero and "Naughty but Nice" for cream cakes, and for the agency Ayer Barker, for whom he wrote the memorable line "That'll do nicely" for American Express.[9] It was while he was at Ogilvy that he wrote Midnight's Children, before becoming a full-time writer.[10][11][12] John Hegarty of Bartle Bogle Hegarty has criticised Rushdie for not referring to his copywriting past frequently enough, although conceding: "He did write crap ads ... admittedly."[13]

Major literary work

His first novel, Grimus, a part-science fiction tale, was generally ignored by the public and literary critics. His next novel, Midnight's Children, catapulted him to literary notability. This work won the 1981 Booker Prize and, in 1993 and 2008, was awarded the Best of the Bookers as the best novel to have received the prize during its first 25 and 40 years.[14] Midnight's Children follows the life of a child, born at the stroke of midnight as India gained its independence, who is endowed with special powers and a connection to other children born at the dawn of a new and tumultuous age in the history of the Indian sub-continent and the birth of the modern nation of India. The character of Saleem Sinai has been compared to Rushdie.[15] However, the author has refuted the idea of having written any of his characters as autobiographical, stating, "People assume that because certain things in the character are drawn from your own experience, it just becomes you. In that sense, I've never felt that I've written an autobiographical character."[16]

After Midnight's Children, Rushdie wrote Shame (1983), in which he depicts the political turmoil in Pakistan, basing his characters onZulfikar Ali Bhutto and General Muhammad Zia-ul-HaqShame won France's Prix du Meilleur Livre Étranger (Best Foreign Book) and was a close runner-up for the Booker Prize. Both these works of postcolonial literature are characterised by a style of magic realismand the immigrant outlook that Rushdie is very conscious of as a member of the Indian diaspora.

Rushdie wrote a non-fiction book about Nicaragua in 1987 called The Jaguar Smile. This book has a political focus and is based on his first-hand experiences and research at the scene of Sandinista political experiments.

His most controversial work, The Satanic Verses, was published in 1988 (see section below). Rushdie has published many short stories, including those collected in East, West (1994). The Moor's Last Sigh, a family epic ranging over some 100 years of India's history was published in 1995. The Ground Beneath Her Feet (1999) presents an alternative history of modern rock music. The song of the same name by U2 is one of many song lyrics included in the book, hence Rushdie is credited as the lyricist. He also wrote "Haroun and the Sea of Stories" in 1990.

Salman Rushdie presenting his book Shalimar the Clown

Rushdie has had a string of commercially successful and critically acclaimed novels. His 2005 novelShalimar the Clown received, in India, the prestigious Hutch Crossword Book Award, and was, in Britain, a finalist for the Whitbread Book Awards. It was shortlisted for the 2007 International IMPAC Dublin Literary Award.[17]

In his 2002 non-fiction collection Step Across This Line, he professes his admiration for the Italian writer Italo Calvino and the American writer Thomas Pynchon, among others. His early influences included James JoyceGünter GrassJorge Luis BorgesMikhail Bulgakov, and Lewis Carroll. Rushdie was a personal friend of Angela Carter and praised her highly in the foreword for her collection Burning your Boats.

His latest novel is Luka and the Fire of Life, published in November 2010. Earlier in the same year, he announced that he was writing his memoirs,[18] entitled Joseph Anton: A Memoir, which was published in September 2012.

In 2012, Salman Rushdie became one of the first major authors to embrace Booktrack (a company that synchronises ebooks with customised soundtracks) when he published his short story In the South on the platform.[19]

Other activities

Rushdie has quietly mentored younger Indian (and ethnic-Indian) writers, influenced an entire generation of Indo-Anglian writers, and is an influential writer in postcolonial literature in general.[20] He has received many plaudits for his writings, including the European Union's Aristeion Prize for Literature, the Premio Grinzane Cavour (Italy), and the Writer of the Year Award in Germany and many of literature's highest honours.[21] Rushdie was the President of PEN American Center from 2004 to 2006 and founder of the PEN World Voices Festival.[22]

He opposed the British government's introduction of the Racial and Religious Hatred Act, something he writes about in his contribution to Free Expression Is No Offence, a collection of essays by several writers, published by Penguin in November 2005.

Salman Rushdie having a discussion withEmory University students

In 2007 he began a five-year term as Distinguished Writer in Residence at Emory Universityin AtlantaGeorgia, where he has also deposited his archives.[23]

In May 2008 he was elected a Foreign Honorary Member of the American Academy of Arts and Letters.[24]

Though he enjoys writing, Salman Rushdie says that he would have become an actor if his writing career had not been successful. Even from early childhood, he dreamed of appearing in Hollywood movies (which he later realised in his frequent cameo appearances).

Rushdie includes fictional television and movie characters in some of his writings. He had acameo appearance in the film Bridget Jones's Diary based on the book of the same name, which is itself full of literary in-jokes. On 12 May 2006, Rushdie was a guest host on The Charlie Rose Show, where he interviewed Indo-Canadian filmmaker Deepa Mehta, whose 2005 film, Water, faced violent protests. He appears in the role of Helen Hunt's obstetrician-gynecologist in the film adaptation (Hunt's directorial debut) of Elinor Lipman's novel Then She Found Me. In September 2008, and again in March 2009, he appeared as a panellist on the HBO program "Real Time with Bill Maher".

Rushdie is currently[when?] collaborating on the screenplay for the cinematic adaptation of his novel Midnight's Children with directorDeepa Mehta. The film will be called Midnight's Children.[25][26] Seema BiswasShabana AzmiNandita Das,[27] and Irrfan Khan are confirmed as participating in the film.[28] Production began in September 2010; [29] the film will be released on 26 October 2012.[30]

Rushdie announced in June 2011 that he had written the first draft of a script for a new television series for the U.S. cable networkShowtime, a project on which he will also serve as an executive producer. The new series, to be called The Next People, will be, according to Rushdie, "a sort of paranoid science-fiction series, people disappearing and being replaced by other people." The idea of a television series was suggested by his U.S. agents, said Rushdie, who felt that television would allow him more creative control than feature film. The Next People is being made by the British film production company Working Title, the firm behind such projects as Four Weddings and a Funeral and Shaun of the Dead.[31]

Rushdie is a member of the advisory board of The Lunchbox Fund,[32] a non-profit organisation which provides daily meals to students of township schools in Soweto of South Africa. He is also a member of the advisory board of the Secular Coalition for America,[33] an advocacy group representing the interests of atheistic and humanistic Americans in Washington, D.C. In November 2010 he became a founding patron of Ralston College, a new liberal arts college that has adopted as its motto a Latin translation of a phrase ("free speech is life itself") from an address he gave at Columbia University in 1991 to mark the two-hundredth anniversary of the first amendment to the U.S. Constitution.[34]

He took on Facebook over the use of his name in 2011. He won. Rushdie had asked to use his middle name Salman, which he is most recognised by. He described his online identity crisis in a series of messages posted on Twitter, among them "Dear #Facebook, forcing me to change my FB name from Salman to Ahmed Rushdie is like forcing J. Edgar to become John Hoover" and "Or, if F. Scott Fitzgerald was on #Facebook, would they force him to be Francis Fitzgerald? What about F. Murray Abraham?" Messages such as these were then circulated online. Facebook eventually relented and allowed him to use the name by which he is universally known.[35][36]

The Satanic Verses and the fatwā

The publication of The Satanic Verses in September 1988 caused immediate controversy in the Islamic world because of what was perceived as an irreverent depiction of the prophet Muhammad. The title refers to a disputed Muslim tradition that is related in the book. According to this tradition, Muhammad (Mahound in the book) added verses (sura) to the Qur'an accepting three goddesses who used to be worshipped in Mecca as divine beings. According to the legend, Muhammad later revoked the verses, saying the devil tempted him to utter these lines to appease the Meccans (hence the "Satanic" verses). However, the narrator reveals to the reader that these disputed verses were actually from the mouth of the Archangel Gibreel. The book was banned in many countries with large Muslim communities. (12 total: India, Bangladesh, Sudan, South Africa, Sri Lanka, Kenya, Thailand, Tanzania, Indonesia, Singapore, Venezuela and Pakistan)

On 14 February 1989, a fatwā requiring Rushdie's execution was proclaimed on Radio Tehran by Ayatollah Ruhollah Khomeini, thespiritual leader of Iran at the time, calling the book "blasphemous against Islam" (chapter IV of the book depicts the character of anImam in exile who returns to incite revolt from the people of his country with no regard for their safety). A bounty was offered for Rushdie's death, and he was thus forced to live under police protection for several years. On 7 March 1989, the United Kingdom andIran broke diplomatic relations over the Rushdie controversy.

The publication of the book and the fatwā sparked violence around the world, with bookstores firebombed. Muslim communities in several nations in the West held public rallies, burning copies of the book. Several people associated with translating or publishing the book were attacked, seriously injured, and even killed.[note 1] Many more people died in riots in some countries. Despite the danger posed by the fatwā, Rushdie made a public appearance at London's Wembley Stadium on 11 August 1993 during a concert by U2. In 2010, U2 bassist Adam Clayton recalled that "[lead vocalist] Bono had been calling Salman Rushdie from the stage every night on the Zoo TV tour. When we played Wembley, Salman showed up in person and the stadium erupted. You [could] tell from [drummer] Larry Mullen, Jr.'s face that we weren't expecting it. Salman was a regular visitor after that. He had a backstage pass and he used it as often as possible. For a man who was supposed to be in hiding, it was remarkably easy to see him around the place."[37]

On 24 September 1998, as a precondition to the restoration of diplomatic relations with Britain, the Iranian government, then headed byMohammad Khatami, gave a public commitment that it would "neither support nor hinder assassination operations on Rushdie."[38][39]

Hardliners in Iran have continued to reaffirm the death sentence.[40] In early 2005, Khomeini's fatwā was reaffirmed by Iran's current spiritual leader, Ayatollah Ali Khamenei, in a message to Muslim pilgrims making the annual pilgrimage to Mecca.[41] Additionally, theRevolutionary Guards declared that the death sentence on him is still valid.[42] Iran rejected requests to withdraw the fatwā on the basis that only the person who issued it may withdraw it,[41] and the person who issued it – Ayatollah Khomeini – has been dead since 1989.

Rushdie has reported that he still receives a "sort of Valentine's card" from Iran each year on 14 February letting him know the country has not forgotten the vow to kill him. He said, "It's reached the point where it's a piece of rhetoric rather than a real threat."[43] Despite the threats on Rushdie, he publicly said that his family had never been threatened and that his mother (who lived in Pakistan during the later years of her life) even received outpourings of support.[44]

A former bodyguard to Rushdie, Ron Evans, planned to publish a book recounting the behaviour of the author during the time he was in hiding. Evans claimed that Rushdie tried to profit financially from the fatwa and was suicidal, but Rushdie dismissed the book as a "bunch of lies" and took legal action against Evans, his co-author and their publisher.[45] On 26 August 2008, Rushdie received an apology at the High Court in London from all three parties.[46] A memoir of his years of hiding, Joseph Anton, was released on 18 September 2012. Joseph Anton was Rushdie's secret alias.[47]

In February 1997, Ayatollah Hasan Sane'i, leader of the bonyad panzdah-e khordad (Fifteenth of Khordad Foundation), reported that the blood money offered by the foundation for the assassination of Rushdie would be increased from $2 million to $2.5 million.[48] Then a semi-official religious foundation in Iran increased the reward it had offered for the killing of Rushdie from $2.8 million to $3.3 million dollars.[49]

Failed assassination attempt and Hezbollah's comments

On 3 August 1989, while Mustafa Mahmoud Mazeh was priming a book bomb loaded with RDX explosives in a hotel in Paddington, Central London, the bomb exploded prematurely, destroying two floors of the hotel and killing Mazeh. A previously unknown Lebanesegroup, the Organization of the Mujahidin of Islam, said he died preparing an attack "on the apostate Rushdie". There is a shrine in Tehran's Behesht-e Zahra cemetery for Mustafa Mahmoud Mazeh that says he was "Martyred in London, 3 August 1989. The first martyr to die on a mission to kill Salman Rushdie." Mazeh's mother was invited to relocate to Iran, and the Islamic World Movement of Martyrs' Commemoration built his shrine in the cemetery that holds thousands of Iranian soldiers slain in the Iran–Iraq War.[38] During the 2006 Jyllands-Posten Muhammad cartoons controversy], Hezbollah leader Hassan Nasrallah declared that "If there had been a Muslim to carry out Imam Khomeini's fatwā against the renegade Salman Rushdie, this rabble who insult our Prophet Mohammed in Denmark, Norway and France would not have dared to do so. I am sure there are millions of Muslims who are ready to give their lives to defend our prophet's honour and we have to be ready to do anything for that."[50] James Phillips of the Heritage Foundation testified before the United States Congress that a "March 1989" [sic] explosion in Britain was a Hezbollah attempt to assassinate Rushdie that failed when a bomb exploded prematurely, killing a Hezbollah terrorist in London.

International Guerillas

In 1990, soon after the publication of The Satanic Verses, a Pakistani film entitled International Gorillay (International Guerillas) was released that depicted Rushdie as plotting to cause the downfall of Pakistan by opening a chain of casinos and discos in the country. The film was popular with Pakistani audiences, and it "presents Rushdie as a Rambo-like figure pursued by four Pakistani guerrillas".[51]The British Board of Film Classification refused to allow it a certificate, as "it was felt that the portrayal of Rushdie might qualify as criminal libel, causing a breach of the peace as opposed to merely tarnishing his reputation." This effectively prevented the release of the film in Britain. Two months later, however, Rushdie himself wrote to the board, saying that while he thought the film "a distorted, incompetent piece of trash", he would not sue if it were released. He later said, "If that film had been banned, it would have become the hottest video in town: everyone would have seen it". While the film was a great hit in Pakistan, it went virtually unnoticed elsewhere.[52]

2012 Jaipur Literature Festival events

Rushdie was due to appear at the Jaipur Literature Festival in January 2012.[53] However, he later cancelled, and indeed cancelled his complete tour of India citing a possible threat to his life as the primary reason.[54][55] He investigated police reports that paid assassins had been hired to kill him and suggested the police might be lying.[56]

Meanwhile, the police, on the advice of officials, sought Ruchir JoshiJeet ThayilHari Kunzru and Amitava Kumar. They fled from Jaipur after reading excerpts from The Satanic Verses at the Jaipur Literature Festival. In India the import of the book is banned via customs. However, reading from an existing copy of the book is not illegal.[57]

A proposed video link session between Rushdie and the Jaipur Literature Festival was cancelled at the last minute[58] after the government pressured the festival to stop it.[56] Rushdie returned to India to address a conference in Delhi on 16 March 2012.[59]

Knighthood

Rushdie was knighted for services to literature in the Queen's Birthday Honours on 16 June 2007. He remarked, "I am thrilled and humbled to receive this great honour, and am very grateful that my work has been recognised in this way."[60] In response to his knighthood, many nations with Muslim majorities protested. Parliamentarians of several of these countries condemned the action, and Iran and Pakistan called in their British envoys to protest formally. Controversial condemnation issued by Pakistan's Religious Affairs Minister Muhammad Ijaz-ul-Haq was in turn rebuffed by former Prime Minister Benazir Bhutto. Ironically, their respective fathers Zia-ul-Haq and Zulfikar Ali Bhutto had been earlier portrayed in Rushdie's novel Shame. Mass demonstrations against Rushdie's knighthood took place in Pakistan and Malaysia. Several called publicly for his death. Some non-Muslims expressed disappointment at Rushdie's knighthood, claiming that the writer did not merit such an honour and there were several other writers who deserved the knighthood more than Rushdie.[61]

Al-Qaeda condemned the Rushdie honour. The Al-Qaeda leader Ayman al-Zawahiri is quoted as saying in an audio recording that Britain's award for Indian-born Rushdie was "an insult to Islam", and it was planning "a very precise response."[62]

Religious and political beliefs

Rushdie came from a Muslim family though he is an atheist now. In 1990, in the "hope that it would reduce the threat of Muslims acting on the fatwa to kill him," he issued a statement claiming he had renewed his Muslim faith, had repudiated the attacks on Islam in his novel and was committed to working for better understanding of the religion across the world. However, Rushdie later said that he was only "pretending".[63]

His books often focus on the role of religion in society and conflicts between faiths and between the religious and those of no faith.

Rushdie advocates the application of higher criticism, pioneered during the late 19th century. Rushdie called for a reform in Islam[64] in a guest opinion piece printed in The Washington Post and The Times in mid-August 2005:

What is needed is a move beyond tradition, nothing less than a reform movement to bring the core concepts of Islam into the modern age, a Muslim Reformation to combat not only the jihadist ideologues but also the dusty, stifling seminaries of the traditionalists, throwing open the windows to let in much-needed fresh air. (...) It is high time, for starters, that Muslims were able to study the revelation of their religion as an event inside history, not supernaturally above it. (...) Broad-mindedness is related to tolerance; open-mindedness is the sibling of peace.

Rushdie supported the 1999 NATO bombing of the Federal Republic of Yugoslavia, leading the leftist Tariq Ali to label Rushdie and other "warrior writers" as "the belligerati'".[65] He was supportive of the US-led campaign to remove the Taliban in Afghanistan, which began in 2001, but was a vocal critic of the 2003 war in Iraq. He has stated that while there was a "case to be made for the removal of Saddam Hussein", US unilateral military intervention was unjustifiable.[66]

Paul Auster and Rushdie greeting Israeli President Shimon Peres with Caro Llewelyn in 2008.

In the wake of the Jyllands-Posten Muhammad cartoons controversy in March 2006—which many considered an echo of the death threats and fatwā that followed publication of The Satanic Verses in 1989—Rushdie signed the manifesto Together Facing the New Totalitarianism, a statement warning of the dangers of religious extremism. The Manifesto was published in the left-leaning French weekly Charlie Hebdo in March 2006.

In 2006, Rushdie stated that he supported comments by the then-Leader of the House of Commons Jack Straw, who criticised the wearing of the niqab (a veil that covers all of the face except the eyes). Rushdie stated that his three sisters would never wear the veil. He said, "I think the battle against the veil has been a long and continuing battle against the limitation of women, so in that sense I'm completely on Straw's side."[67]

The Marxist Catholic critic Terry Eagleton, a former admirer of Rushdie's work, attacked him for his positions, saying he "cheered on the Pentagon's criminal ventures in Iraq and Afghanistan".[68] However, Eagleton subsequently apologised for having misrepresented Rushdie's views.

At an appearance at 92nd Street Y, Rushdie expressed his view on copyright when answering a question whether he had considered copyright law a barrier (or impediment) to free speech.

No. But that's because I write for a living, [laughs] and I have no other source of income, and I naïvely believe that stuff that I create belongs to me, and that if you want it you might have to give me some cash. [...] My view is I do this for a living. The thing wouldn't exist if I didn't make it and so it belongs to me and don't steal it. You know. It's my stuff.[69]

When Amnesty International (AI) suspended human rights activist Gita Sahgal for saying to the press that she thought AI should distance itself from Moazzam Begg and his organisation, Rushdie said:

Amnesty ... has done its reputation incalculable damage by allying itself with Moazzam Begg and his group Cageprisoners, and holding them up as human rights advocates. It looks very much as if Amnesty's leadership is suffering from a kind of moral bankruptcy, and has lost the ability to distinguish right from wrong. It has greatly compounded its error by suspending the redoubtable Gita Sahgal for the crime of going public with her concerns. Gita Sahgal is a woman of immense integrity and distinction.... It is people like Gita Sahgal who are the true voices of the human rights movement; Amnesty and Begg have revealed, by their statements and actions, that they deserve our contempt.[70]

Rushdie is a supporter of gun control, blaming a shooting at a Colorado cinema in July 2012 on the American right to keep and bear arms.[71][72]

Personal life

Rushdie has been married four times. He was married to his first wife Clarissa Luard from 1976 to 1987 and fathered a son, Zafar (born 1980). His second wife was the American novelist Marianne Wiggins; they were married in 1988 and divorced in 1993. His third wife, from 1997 to 2004, was Elizabeth West; they have a son, Milan (born 1999). In 2004, he married the Indian American actress and model Padma Lakshmi, the host of the American reality-television show Top Chef. The marriage ended on 2 July 2007, with Lakshmi indicating that it was her desire to end the marriage. In 2008 the Bollywood press romantically linked him to the Indian model Riya Sen, with whom he was otherwise a friend.[73] In response to the media speculation about their friendship, she simply stated "I think when you are Salman Rushdie, you must get bored with people who always want to talk to you about literature."[74]

In 1999 Rushdie had an operation to correct ptosis, a tendon condition that causes drooping eyelids and that, according to him, was making it increasingly difficult for him to open his eyes. "If I hadn't had an operation, in a couple of years from now I wouldn't have been able to open my eyes at all," he said.[75]

Since 2000, Rushdie has "lived mostly near Union Square" in New York City.[76]

Bibliography

Novels

Collections

Children's books

Essays and non-fiction

Awards

See also

Notes

  1. ^ See Hitoshi IgarashiEttore CaprioloWilliam Nygaard

References

  1. a b Shalimar the Clown by Salman RushdieThe Independent. Retrieved 2010-12-02. "Salman Rushdie the Kashmiri writes from the heart as he describes this dark incandescence."
  2. ^ Cristina Emanuela Dascalu (2007) Imaginary homelands of writers in exile: Salman Rushdie, Bharati Mukherjee, and V.S. Naipaul p.131
  3. ^ Pointon, Graham (ed.): BBC Pronouncing Dictionary of British Names, 2nd edition. Oxford Paperbacks, 1990.
  4. ^ "Rushdie to Receive Top Literary Award", Chicago Tribune, 7 January 1999. Retrieved 26 March 2012.
  5. ^ "Birthday Honours List—United Kingdom", London Gazette, Issue 58358, Supplement No. 1, 16 June 2007. Retrieved 26 March 2012.
  6. ^ "The 50 Greatest British Writers Since 1945". The Times, 5 January 2008. Retrieved 1 January 2010. Subscription required.
  7. ^ "Literary Encyclopedia: Salman Rushdie", Literary Encyclopedia. Retrieved 20 January 2008
  8. ^ "Salman Rushdie (1947–)", c. 2003. Retrieved 20 January 2008
  9. ^ Ravikrishnan, Ashutosh. Salman Rushdie's Midnight Child. South Asian Diaspora. 25 July 2012.
  10. ^ "Salman Rushdie biography", 2004, British Counsel. Retrieved 20 January 2008.
  11. ^ Negative because there is little positive to say, Herald Scotland, George Birrell , 18 January 1997
  12. ^ "The birth pangs of Midnight's Children", 1 April 2006
  13. ^ Armstrong, Stephen (13 June 2011). "John Hegarty: Why television is the place advertisers want to be again"The Guardian (London).
  14. ^ "Readers across the world agree that Salman Rushdie's Midnight's Children is the Best of the Booker.". Man Booker Prizes. 2008. Retrieved 10 July 2008.
  15. ^ Saleem (Sinai) is not Salman (Rushdie)(although he marries a Padma) and Saleem's grandfather Dr Aadam Aziz is not him either, but there is a touching prescience at work here. In the opening pages of Midnight's Children, Dr Aziz while bending down on his prayer mat, bumps his nose on a hard tussock of earth. His nose bleeds and his eyes water and he decides then and there that never again will he bow before God or man. 'This decision, however, made a hole in him, a vacancy in a vital inner chamber, leaving him vulnerable to women and history.' Battered by a fatwa and one femme fatale too many, Salman would have some understanding of this. One more bouquet for Saleem Sinai 20 July 2008 by Nina Martyris, TNN. The Times of India
  16. ^ Meer, Ameena. "Salman Rushdie"BOMB Magazine Spring, 1989. Retrieved on [7-24-2012]
  17. ^ "The 2007 Shortlist". Dublin City Public Libraries/International IMPAC Dublin Literary Award. 2007. Retrieved 5 April 2007.
  18. ^ "Salman Rushdie at work on fatwa memoir"The Guardian, 12 October 2010. Retrieved 14 September 2012.
  19. ^ "Salman Rushdie Collaborates With Booktrack And The New Zealand Symphony Orchestra, Booktrack Launches A New E-reader Platform". Booktrack. Retrieved 2/7/2012.
  20. ^ DEMONIZING DISCOURSE IN SALMAN RUSHDIE'S THE SATANIC VERSES
  21. ^ Times of India Story on Rushdie's influence and awardsIndiatimes.com
  22. ^ "PEN New York Times Rushdie, founder of PEN World Voices Festival".
  23. ^ "Salman Rushdie to Teach and Place His Archive at Emory University". Emory University Office of Media Relations. 6 October 2006. Retrieved 26 March 2012.
  24. ^ Academicians Database, American Academy of Arts and Letters. Retrieved 26 March 2012.
  25. ^ "Rushdie visits Mumbai for 'Midnight's Children' film". Movies.indiatimes.com. 11 January 2010. Retrieved 13 March 2010.
  26. ^ SUBHASH K JHA , 13 January 2010, 12.00 am IST (13 January 2010). "I'm a film buff: Rushdie"The Times of India. Retrieved 13 March 2010.
  27. ^ "Dreaming of Midnight's Children"The Indian Express. 5 January 2010. Retrieved 13 March 2010.
  28. ^ "Irrfan moves from Mira Nair to Deepa Mehta"Hindustan Times. 20 January 2010. Retrieved 13 March 2010.
  29. ^ "Tête-à-tête with Deepa Mehta"Hindustan Times. 4 January 2010. Retrieved 13 March 2010.
  30. ^ "Midnight's Children"IMDB. 19 December 2011. Retrieved 5 June 2012.
  31. ^ Thorpe, Vanessa (12 June 2011). "Salman Rushdie says TV drama series have taken the place of novels"The Guardian(London). Retrieved 11 June 2011.
  32. ^ The Lunchbox Fund homepage
  33. ^ Secular Coalition for America Advisory Board Biography
  34. ^ "Collegium Ralstonianum apud Savannenses - Home". Ralston.ac. Retrieved 2012-11-11.
  35. ^ "Salman Rushdie makes friends with Facebook"RTÉ News. 15 November 2011. Retrieved 15 November 2011.
  36. ^ "Salman Rushdie claims victory in Facebook name battle".BBC News. 15 November 2011. Retrieved 15 November 2011.
  37. ^ U2 (July 2010). "Stairway to Devon − OK, Somerset!". Q: p. 101.
  38. a b Anthony Loyd (8 June 2005). "Tomb of the unknown assassin reveals mission to kill Rushdie"The Times(London). Archived from the original on 11 June 2010.
  39. ^ "26 December 1990: Iranian leader upholds Rushdie fatwa". BBC News: On This Day. 26 December 1990. Retrieved 10 October 2006.
  40. ^ Rubin, Michael (1 September 2006). "Can Iran Be Trusted?". The Middle East Forum: Promoting American Interests. Retrieved 10 October 2006.
  41. a b Webster, Philip, Ben Hoyle and Ramita Navai (20 January 2005). "Ayatollah revives the death fatwa on Salman Rushdie"The Times (London). Archived from the originalon 3 March 2007. Retrieved 10 October 2006.
  42. ^ "Iran adamant over Rushdie fatwa". BBC News. 12 February 2005. Archived from the original on 6 February 2006. Retrieved 10 October 2006.
  43. ^ "Rushdie's term". Retrieved 15 February 2007.
  44. ^ "Cronenberg meets Rushdie".
  45. ^ "Rushdie anger at policeman's book". BBC. 2 August 2008. Retrieved 4 January 2010.
  46. ^ "Bodyguard apologises to Rushdie". BBC. 26 August 2008. Retrieved 4 January 2010.
  47. ^ Alison Flood (12 April 2012). "Salman Rushdie reveals details of fatwa memoir"The Guardian (London). Retrieved 27 April 2012.
  48. ^ Buchta, Wilfried (2000). Who rules Iran?. The Washington Institute and The Konrad Adenauer. pp. 6.
  49. ^ "Iran adds to reward for Salman Rushdie's death"The New York Post. Retrieved 16 September 2012.
  50. ^ "Hezbollah: Rushdie death would stop Prophet insults". AFP. 2 February 2006. Archived from the original on 7 August 2007. Retrieved 26 April 2012.
  51. ^ Joseph Bernard Tamney (2002). The Resilience of Conservative Religion: The Case of Popular, Conservative Protestant Congregations. Cambridge, UK: The Press Syndicate of the University of Cambridge.
  52. ^ "International Guerrillas and Criminal Libel". Screenonline. Retrieved 7 February 2008.
  53. ^ 2012 Speakers
  54. ^ Singh, Akhilesh Kumar (20 January 2012). "Salman Rushdie not to attend Jaipur Literature Festival"The Times of India. Retrieved 20 January 2012.
  55. ^ "Salman Rushdie pulls out of Jaipur literature festival"BBC News. 20 January 2012. Retrieved 20 January 2012.
  56. a b Singh, Akhilesh Kumar (24 January 2012). "Jaipur Literature Festival: Even a virtual Rushdie is unwelcome for Rajasthan govt"The Times of India. Retrieved 24 January 2012.
  57. ^ Singh, Akhilesh Kumar; Chowdhury, Shreya Roy (23 January 2012). "Salman Rushdie shadow on Jaipur Literature Festival: 4 authors who read from 'The Satanic Verses' sent packing".The Times of India. Retrieved 23 January 2012.
  58. ^ [1], Rushdie video talk cancelled.
  59. ^ "Salman Rushdie to be a 'presence' at India conference".BBC News. 13 March 2012.
  60. ^ "15 June 2007 Rushdie knighted in honours list". BBC News. 15 June 2007. Retrieved 16 June 2007.
  61. ^ 'Sir Rubbish: Does Rushdie Deserve a Knighthood', Times Higher Educational Supplement, 20 June 2007
  62. ^ "10 July 2007 Al-Qaeda condemns Rushdie honour". BBC News. 10 July 2007. Retrieved 10 July 2007.
  63. ^ "Rushdie: I was deranged when I embraced Islam"Daily News and Analysis, 6 April 2008. Retrieved 14 September 2012.
  64. ^ Muslims unite! A new Reformation will bring your faith into the modern era 11 August 2005
  65. ^ Michael MandelHow America Gets Away With Murder, Pluto Press, 2004, p60
  66. ^ "Letters, Salman Rushdie: No fondness for the Pentagon's politics | World news"The Guardian (London). 9 July 2007. Retrieved 13 March 2010.
  67. ^ Wagner, Thomas (10 October 2006). "Blair, Rushdie support former British foreign secretary who ignited veil debate". SignOnSanDiego.com. Retrieved 10 October 2006.
  68. ^ The ageing punk of lit crit still knows how to spit – Times Online
  69. ^ Radio show Medierna broadcast on Sveriges Radio P1 on 31 January 2009.
  70. ^ Salman Rushdie's statement on Amnesty InternationalThe Sunday Times, 21 February 2010
  71. ^ Salman Rushdie stirs up frenzy with tweets in response to Colorado multiplex shooting | New York Daily News. Nydailynews.com. 2012-07-21. Retrieved 2012-11-11.
  72. ^ Cheney, Alexandra (2012-07-20). Salman Rushdie Sparks Furor With Colorado Theater Shooting Tweets - Speakeasy. Blogs.wsj.com. Retrieved 2012-11-11.
  73. ^ "Salman Rushdie sets his sights on the 'Bollywood Jordan'", The Daily Mail, 12 June 2009
  74. ^ "As Salman Rushdie steps out with another beautiful woman" 21 July 2008, The Evening Standard
  75. ^ "Rushdie: New book out from under shadow of fatwa", CNN, 15 April 1999. Retrieved 21 April 2007.
  76. ^ Laura M. Holson, "From Exile to Everywhere", The New York Times, 23 March 2012 (online), 25 March 2012 (print). Retrieved 26 March 2012.
  77. ^ "Golden Pen Award, official website"English PEN. Retrieved 3 December 2012.

External links

View page ratings
Rate this page
Trustworthy
Objective
Complete
Well-written

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors