Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter
Follow palashbiswaskl on Twitter

Friday, August 30, 2013

মণিপুরে অনুপ্রবেশ মায়ানমার সেনার

মণিপুরে অনুপ্রবেশ মায়ানমার সেনার
মণিপুরে অনুপ্রবেশ মায়ানমার সেনার
ইম্ফল: পাকিস্তান, চিনের পর মায়ানমার৷ আক্রান্ত এ বার ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত৷

ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, মণিপুরের চান্দেল জেলার হাওলেনফাই গ্রামে বেশ কিছু দিন ধরেই ঘাঁটি গেড়েছে মায়ানমার সেনার একটি প্ল্যাটুন৷ একটি সীমান্ত বেস ক্যাম্প তৈরির প্রস্ত্ততি চালাচ্ছে তারা৷ সীমান্তরেখা বরাবর বিভিন্ন অবস্থানে মোট ৯টি সীমানা নির্দেশকারী থামের অবস্থান নিয়ে ভারত-মায়ানমারের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে৷ তার মধ্যে ৭৬ নম্বর থামটির খুব কাছে অবস্থিত হাওলেনফাই৷ ভারতের সীমানায় নবতম অনুপ্রবেশটির পিছনে এই থাম-বিতর্কই কাজ করছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের৷ বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই এলাকা থেকে সেনা সরানোর দাবি তুলে বুধবার মায়ানমারের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা শুরু করেছে নয়াদিল্লি৷
অনুপ্রবেশকারী সেনারা ওই এলাকাকে মায়ানমারের অংশ বলে দাবি করলেও, ভারতের বক্তব্য এ দেশের এলাকার ভিতরেই পড়ে হাওলেনফাইয়ের পার্শ্ববর্তী ওই সীমানা থাম৷ যদিও, সীমানার খুব কাছাকাছি বলে সেখানে কোনও রকম নির্মাণ নিষিদ্ধ৷

ঘটনার সূত্রপাত গত ২২ অগস্ট৷ হাওলেনফাইয়ের গ্রাম প্রধান লালখোলুন হাওকিপ গ্রামের সীমানার ঠিক বাইরে মায়ানমার সেনার ওই প্ল্যাটুনটিকে কাজকর্ম করতে দেখতে পান৷ ওই অঞ্চলে তখন ঘাঁটি তৈরির জন্য জঙ্গলের গাছ কেটে সাফ করছিল তারা৷ গ্রাম প্রধান উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর করলে পরের দিন স্থানীয় আইএএস অফিসার ওই এলাকা পরিদর্শনে আসেন৷ তাঁকে ওই সেনারা জানায় যে এই গ্রামটি মায়ানমারের অন্তর্গত৷ তারা আরও জানায়, এখান থেকে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার তাদের নেই, যেহেতু উপর মহলের নির্দেশেই তারা এখানে ঘাঁটি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে৷ এর পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার৷ সোমবার রাজ্যের মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) সুরেশ বাবুর নেতৃত্বে উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করে একটি প্রতিনিধি দল৷ মোরে ও আশপাশের সমস্ত গ্রামপ্রধানের সঙ্গে কথাবার্তা বলে রাজ্য সরকারের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেবে তারা, যা পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে৷ মঙ্গলবার এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল অশ্বিনী কুমার৷

এমনিতে ভারত-মায়ানমার সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো, দু'দেশের সীমান্তেও সামরিক কড়াকড়ি তেমন নেই৷ কিন্ত্ত একাধিক এলাকার মালিকানা নিয়ে বিতর্ক রয়েই গিয়েছে৷ উপরন্ত্ত গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে খবর, এই আলগা সীমানার সুযোগ নিয়ে মায়ানমার সীমান্তে ঘাঁটি গেড়েছে অন্তত ৩০টি জঙ্গি সংগঠন৷ সুরেশ বাবু এ দিন জানান, এর আগে একাধিক বার বিদেশমন্ত্রককে এই বিতর্কের সমাধানের জন্য জরুরি পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছে মণিপুর সরকার৷ তাতে কান না-দেওয়ার ফল হিসেবেই আজকের পরিস্থিতির উদ্ভব কি না, প্রশ্ন উঠছে সব মহলেই৷

সামনাসামনি অবশ্য এই ঘটনাকে খুব বড় করে দেখতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার৷ এ দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (উত্তর-পর্ব) শম্ভু সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মায়ানমার সেনার সীমান্ত লঙ্ঘন করার খবর সঠিক৷ কিন্ত্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের আটকাতে সফল হয়েছে৷ এই ঘটনাকে এমনকী 'অনুপ্রবেশ' বলতেও রাজি হচ্ছেন না স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও অসম রাইফেল বাহিনীর সামরিক কর্তারা৷ কিন্ত্ত সমস্যা যে মেটেনি তার প্রমাণ, এখনও ওই এলাকাতেই রয়েছে মায়ানমারের প্ল্যাটুনটি৷ সুরেশ বাবু জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মায়ানমারের সঙ্গে মানচিত্র নিয়ে আলোচনায় বসবে নয়াদিল্লি৷ - সংবাদসংস্থা

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

Welcome

Website counter

Followers

Blog Archive

Contributors